প্রয়াত তরুণ মজুমদার (Tarun Majumdar passed away)। তাঁর প্রয়াণে অবসান হল বাংলা চলচ্চিত্রের এক অসামান্য যুগের। যেখানে পদ্মপাতায় জলের মতো জীবনে টলটল করত দেখতে সামান্য অথচ অতি নিবিড় কিছু ভালবাসা। ১৯৩১ সালের ৮ জানুয়ারি অধুনা বাংলাদেশের বগুড়ায় জন্ম হয় তাঁর (Tarun Majumdar)। ১৯৫৯ সালে ছবির জগতে আসেন তিনি। কাজ করেছেন ২০১৮ সাল পর্যন্ত। ১৯৯০ সালে 'পদ্মশ্রী' সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন। তাঁর বাবা বীরেন্দ্রনাথ মজুমদার ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী। রসায়নের ছাত্র হলেও সিনেমা তৈরির ঝোঁক ছিল বরাবরই।
১৯৫৯ সালে উত্তম কুমার এবং সুচিত্রা সেনের সঙ্গে 'চাওয়া পাওয়া' ছবিটি দিয়ে পরিচালক হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেন তরুণ মজুমদার (Tarun Majumdar)। ১৯৬০ সালে বানালেন 'স্মৃতি টুকু থাক'। ১৯৬২ সালে 'কাঁচের স্বর্গ' বানিয়েছিলেন প্রবাদপ্রতিম (Tarun Majumdar passed away) এই পরিচালক। এই ছবির জন্যই জাতীয় পুরস্কার পান তিনি। চারটি জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন পরিচালক। 'ভালোবাসার বাড়ি' তরুণ মজুমদার পরিচালিত শেষ ছবি। যেটি ২০১৮ সালে মুক্তি পায়।
আরও পড়ুন: হেমন্ত থেকে কণিকা, তরুণের সিনেমায় রবীন্দ্র-আবহ
‘গণদেবতা’ থেকে ‘ঠগিনী’, ‘সংসার সীমান্তে’ থেকে ‘যদি জানতেম’— বিষয় বৈচিত্রে মেলানো সম্ভব নয়। দেশপ্রেম থেকে সাসপেন্স— ছুঁয়ে দেখেছেন প্রায় সব বিভাগই। বার বার বদলাতে চেয়েছেন ছবির অন্তর্বস্তু আর বহিরঙ্গকে।
একাধিক জাতীয় পুরস্কার রয়েছে তরুণ মজুমদারে (Tarun Majumdar) ঝুলিতে। পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন কিংবদন্তি পরিচালক। এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় তাঁকে।