শেষ হল সুরের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। রবিবার ছিল 'সারেগামাপা'-র গ্র্যান্ড ফিনালে। অবশেষে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর বিজয়ীর শিরোপা তুলে নিলেন দুই প্রতিযোগী। বড়দের মধ্যে সারেগামাপা-র গ্যান্ড চ্যাম্পিয়ন হলেন দেয়াশিনী রায়। আর ছোটদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন অতনু মিশ্র।
প্রায় ছয় মাস ধরে চলছিল সুরেলা টক্কর। অবশেষে রবিবার রাতে সারেগামাপা-র গ্র্যান্ড ফিনালের আসর বসেছিল। এদিন বিশেষ অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন আদনান সামি। ছিলেন হৈমন্তী শুক্লাও। তাছাড়া উপস্থিত ছিলেন চলতি সিজনের চারটি টিমের আট বিচারক শান্তনু মৈত্র, অন্তরা মিত্র, জাভেদ আলি, জোজো মুখোপাধ্যায়, কৌশিকী চক্রবর্তী, ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত, রাঘব চট্টোপাধ্যায় এবং ইমন চক্রবর্তী। হাজির ছিলেন আসন্ন ড্যান্স বাংলা ড্যান্স রিয়েলিটি শোয়ের এক বিচারক শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় এবং সঞ্চালক অঙ্কুশ হাজরা।
এদিনের চূড়ান্ত পর্যায় জায়গা করে নিয়েছিলেন মোট দশ জন প্রতিযোগী। বড়দের মধ্যে ছিলেন ছয় জন আর ছোটদের থেকে বেছে নেওয়া হয়েছিল চারজনকে। চূড়ান্ত পর্যায়ে বড়দের মধ্যে প্রথম হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে দেয়াশিনীকে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ময়ূরী। তবে, ময়ূরী একা দ্বিতীয় হননি। তাঁর সঙ্গে যৌথ ভাবে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন সাঁই। আর তৃতীয় হয়েছেন সত্যজিৎ। দর্শকদের পছন্দের আরাত্রিকা টপ থ্রি-র মধ্যে না থাকলেও তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে কালিকাপ্রসাদ অ্যাওয়ার্ড।
অন্যদিকে, ছোটদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন অতনু। তাঁর সুরের যাদুতে বরাবরই মুগ্ধ হয়েছেন দর্শকরা। সঙ্গীতশিল্পী মান্না দে-র গানে তাঁর মুন্সিয়ানা আলাদা করে নজর কেড়েছিল সকলের। এদিন ফাইনালেও তাঁর পারফরম্যান্স ছিল নজরকাড়া। সকলকে টেক্কা দিয়ে এদিন সেরার মুকুট উঠল তাঁর মাথায়। দ্বিতীয় স্থানে আছে ঐশী। তৃতীয় স্থানে অনীক। সৃজিতা চতুর্থ হয়েছে।
কে কী পুরস্কার পেয়েছেন দেখে নেওয়া যাক এক নজরে
এই সিজনের চ্যাম্পিয়ন দেয়াশিনী পেয়েছেন পাঁচ লক্ষ টাকা। অতনু পেয়েছেন দুই লক্ষ টাকা। এছাড়াও যুগ্ম ভাবে দু'জন পেয়েছেন আরও ৫ লক্ষ টাকা সঙ্গে সোনার গয়না এবং বাড়ি রঙ করার সুযোগ। এছাড়াও তাঁরা যৌথ ভাবে পেয়েছেন প্রায় আরও ১৮ লক্ষ টাকা। এছাড়া জুনিয়র চ্যাম্পিয়ন অর্থাৎ অতনু আশীর্বাদের তরফে ১.৫ লাখ টাকা পেয়েছেন। আর বাকি খুদে ফাইনালিস্টরা পেয়েছেন ১ লক্ষ টাকা।
তিন ফার্স্ট রানার আপ অর্থ ময়ূরী, সাঁই এবং ঐশী পেয়েছেন পাঁচ লক্ষ টাকা পেয়েছেন। এছাড়া গ্ল্যামার সবাইকে দেবে ১০ হাজার টাকা। যাঁরা সেকেন্ড রানার আপ হয়েছেন তাঁরা ২ লক্ষ টাকা করে পেয়েছেন সঙ্গে রয়েছে গিফট হ্যাম্পার। গ্ল্যামারের তরফে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। বাকি ফাইনালিস্টরা পাবেন গ্ল্যামারের তরফে ৫ হাজার টাকা। সানলাইট টিম অফ দ্য সিজন হয়েছে জাভেদ আলি এবং জোজো মুখোপাধ্যায়ের টিম।