চার বছর বয়স থেকে স্বপ্নের নায়ক দেব। অল্প বয়স থেকেই দেবের ছবির পোস্টারে সাজিয়ে তুলেছিল নিজের ঘর। কাছ থেকে একবার দেবকে দেখতে চেয়েছিলেন। তুলতে চেয়েছিলেন সেলফি। একদিন, সুযোগ এল। পালটে গেল রাইমার জীবনের গল্পটা। আচমকাই স্বপ্নপূরণ হল বার্নপুরের কোলিয়ারি কন্যা রাইমা পালের। শুধু সেলফি তোলা হল তা নয়। বড়পর্দায় তাঁকে দেখা গেল দেবের পাশে।
রাইমা একাধিকবার সেলফি তুলেছেন দেবের সঙ্গে। আর এই সেলফি তুলতে গিয়েই এক নতুন পথ খুলে গিয়েছিল। দেবের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করার সুযোগ এল, আর এই সুযোগটিই বদলে দিল রাইমার জীবন। এখন রাইমা শুধু দেবের ফ্যান নয়, তিনি হয়ে উঠেছেন দেবের ছবি খাদানের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। যাকে স্ক্রিনে দেখে ইস্পাত শহরের সিনেমাহলে গমগম করছিল হাততালি আর সিটি।
বার্নপুরের বাসিন্দা রাইমা পাল। আসানসোল গার্লস কলেজের বাণিজ্য বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। মফস্বলের এই মেয়ে দেবের ফ্যান। যিনি দেবের খাদান ছবিতে কয়লা খাদানে অত্যাচার হওয়া কিশোরী। রাইমার সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই দেখা যাচ্ছে তাঁর অভিনয়ের দৃশ্য। যেখানে দেখা যাচ্ছে, অত্যাচার হয়েছে কোলিয়ারি কন্যা রাইমার উপর।
শ্যাম মাহাতো অর্থাৎ দেব রাইমার উপর অত্যাচারের কথা জানতে পেরেছেন। আর তারপর নিজস্ব কায়দায় অপরাধের বিচার করার সিদ্ধান্ত নিলেন দেব। 'ফয়সলা অন দ্য স্পট'। অত্যাচারীর বিরুদ্ধে নিজের আগ্নেয়াস্ত্র তুলে দিলেন নির্যাতিতার হাতে। কাঁপা কাঁপা হাতে গুলি চালালো নির্যাতিতা (রাইমা)। এই দৃশ্য দেখে হল ফেটে পড়ল বার্নপুরের সিনেমা হল। কারণ স্ক্রিনে যে খাদানের ঘরের মেয়ে।
কীভাবে সুযোগ পেলেন রাইমা?
বার্ণপুরের পুরানহাটের বাসিন্দা রাইমা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। বাবা সুদাম পাল পান বিক্রেতা। রাইমা 'খাদান' সিনেমার শুটিং দেখতে গিয়েছিলেন জামুরিয়ায়। একবার সামনে থেকে প্রিয় অভিনেতাকে চোখের দেখা দেখতে চেয়েছিলেন। ভক্তের কথা শুনে তাঁর সঙ্গে ছবি তুলেছিলেন দেব।
রাইমার সঙ্গে ছবি তোলার পর তাঁকে দিয়ে একটি দৃশ্যে অভিনয় করানোর সিদ্ধান্ত নেন দেব। অভিনেতার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ারের সুযোগ ছিল রাইমার কাছে হাতে চাঁদ পাওয়া। বাড়ির কেউ কখনও অভিনয় করেননি। সামনে আবার প্রিয় অভিনেতা। ঘাবড়ে গিয়েছিলেন রাইমা। প্রায় চল্লিশবার টেক দিতে হয়েছে। হাল ছাড়েননি দেব, ধৈর্য ধরে শট বুঝিয়েছেন। অভিনয়ের পর রাইমার সঙ্গে ছবিও তুলতে ভোলেননি অভিনেতা দেব।