টেলিভিশনে গানের রিয়্যালিটি শো(Reality Show)-এর কমতি নেই । একটার পর একটা সিজন আসছে, যাচ্ছে । প্রচুর ছেলে-মেয়ে সুযোগ পাচ্ছেন । প্রশংসা কুড়োচ্ছেন । হাড্ডাহাডি লড়াইয়ের পর খেতাব জিতে নিচ্ছেন সেরা মেয়ে বা ছেলেটি । কিন্তু, তারপর ? বিশাল ইন্ডাস্ট্রিতে কি কোথাও তাঁদের এতুটুকু জায়গা হচ্ছে ? নাকি এত সেরার মাঝখানে কোথাও হারিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা ? এই রিয়্যালিটি শোগুলো কি আদৌ গানের জগতে প্রতিষ্ঠা পেতে সাহায্য করছে ? বিশ্ব সঙ্গীত দিবসে (World Music Day 2022) এই বিষয়ে কয়েকজন শিল্পীকে প্রশ্ন করেছিল এক সংবাদমাধ্যম । কী জানাচ্ছেন তাঁরা ?আসুন জেনে নিই...
'ইন্ডিয়ান আইডল সিজন ৩’-এর সেকেন্ড রানার আপ ছিলেন ইমন চট্টোপাধ্যায় (Emon Chatterjee)। কিন্তু, বলিউডে সেভাবে জায়গা করে নিতে পারেননি । ওই সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন,শো শেষ হওয়ার পর সঙ্গীত পরিচালক প্রীতমের সঙ্গে বেশ কিছু কাজ করেছিলেন তিনি । লড়াই চলছে এখনও । গান গেয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন ঠিকই । কিন্তু, ওখানেই শেষ । ইমনের কথায়, 'মেনস্ট্রিমে কাজ করতে গেলে কী করতে হয়, সেটা আজও জানতে পারিনি ।'
আরও পড়ুন, গান প্রসেনজিতের কাছে 'থেরাপি', 'বিশ্ব সঙ্গীত দিবস'-এ অভিনেতার পছন্দের গান জেনে নিন
রিয়ালিটি শোয়ের গানের প্রশিক্ষক রথিজিৎ (Rathijit ) এর জন্য গোটা সিস্টেমকে দায়ী করেছেন । তিনি জানিয়েছেন,'সিনেমার গান না গাইলে একজন শিল্পী স্বীকৃতি পায় না ।এটাই এই ইন্ডাস্ট্রির রীতি। নতুন ছেলেমেয়েদের মধ্যে অনেকেই ভাল গান গায়। কিন্তু তারা সুযোগ পাচ্ছে না। '
সঙ্গীত পরিচালক জয় সরকারকে (Joy Sarkar) গানের রিয়্যালিটি শোয়ে বিচারকের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে । তিনি জানাচ্ছেন,শিল্পীর অভাব এখনও রয়ে গিয়েছে । সেরার সংখ্যা বরাবর কম । তাঁর মতে, অনেকেই আছেন, যাঁরা বিজয়ী হওয়ার পর বিরাট কিছু করে ফেলেছেন বলে মনে করেন । এই মানসিকতার কারণে অনেকে গানের জগত থেকে হারিয়ে যাচ্ছেন । অন্যদিকে, সোনু নিগমের (Sonu Nigam) মতে,এই বিষয়টি খুবই আপেক্ষিক ।
ভাল শিল্পীর হারিয়ে যাওয়ার জন্য নেপথ্যে চ্যানেলের উদাসীনতাকেই দায়ী করেছেন পঙ্কজ উদাস । তিনি মনে করেন, মাত্র তিন-চার মাস ছেলে-মেয়েগুলোর সঙ্গে না থেকে, প্রতিযোগিতা শেষ হলেও যেন ভাল ছেলেমেয়েগুলো গানের জগতে প্রতিষ্ঠা পায়, সেটাই দেখা উচিৎ চ্যানেলগুলোর ।