শুক্রবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেন (Suicide Attempt) দেবলীনা দে (Deblina Dey) নামে এক উঠতি মডেল (Model)। প্রাণে বেঁচে গেলেও আপাতত মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে সংকটজনক অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন তিনি। কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দেবলীনা?
দেবলীনা-র ফেসবুক পোস্ট বলছে, এমন সিদ্ধান্তের জন্য তিনি নিজের পরিবারকে দায়ী করেছেন। অথচ, এই দেবলীনাই সম্প্রতি টলিপাড়ার অন্য় মডেল ও অভিনেত্রী পল্লবী, মঞ্জুষা ও বিদিশার অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতকেই সমর্থন করেছিলেন। উল্লেখ্য, এক সংবাদ মাধ্যমকে রচনা বলেছিলেন, ''এঁরা (যে মডেল ও অভিনেত্রীরা সম্প্রতি আত্মহত্যা করেছেন) কেউ স্ট্রাগলটা করতে চাইছে না। সাফল্যের জন্য পরিশ্রম করা জরুরী। অনেকে সবকিছুর জন্য বাবা-মাকে দায়ী করেন। কিন্তু পৃথিবীতে কোনও বাবা-মা-ই সন্তানের খারাপ চান না। বাবা-মা ভালো পরামর্শই দেন, সন্তান শুনবে কিনা সেটা তার বিষয়। আমার এই মেয়েগুলোর জন্য কষ্ট হয় না, কষ্ট হয়, ওঁদের বাবা-মায়ের জন্য। এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা বাবা-মাকে শত্রু বলে মনে করেন। আমার মনে হয়, আজকের প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের স্কুলেই গ্রুমিং প্রয়োজন।''
Uttar Pradesh Viral Video: ভরা ক্লাসেই শিক্ষিকাকে জুতোপেটা প্রধান শিক্ষকের, উত্তরপ্রদেশে নিন্দার ঝড়
২৮ মে, রচনার এই মতকে সমর্থন করে রচনার সেই সাক্ষাৎকার সানিজের ফেসবুক টাইমলাইনে শেয়ার করেছিলেন দেবলীনা। সেই সঙ্গে লিখেছিলেন, ''রচনাদি আমি তোমার সঙ্গে একমত। যাঁরা নিজেদের জীবনে কিছু করতে চান, তাঁদের সকলকেই জীবনে কিছু চ্যালেঞ্জ, উত্থান, পতনের মুখোমুখি হতে হয়। বিশেষ করে শিল্পীরাই সবথেকে বেশি ভুক্তোভোগী। আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, কাদের আমরা ব্যক্তিগত জীবনে ঢোকাব, কাদের পেশাদারি জীবনে রাখব, সেটা আমাদেরকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।'' নিজের অনুগামীদের উদ্দেশ্যে দেবলীনা লিখেছিলেন, ''হে বন্ধুরা, কঠোর পরিশ্রম করো, পরিপক্ক হও, ধৈর্য ধরো, তোমরা কীভাবে কী করবে, তার সিদ্ধান্ত নিজেকেই নিতে হবে।''
তাই এখন ফেসবুকে দেবলীনার অনুগামীদের প্রশ্ন, যিনি কিনা সকলকে ধৈর্য ধরতে বলেছিলেন, পরিশ্রমের কথা বলেছিলেন তিনি কীভাবে এমন একটা সিদ্ধান্ত নিলেন? শুধু তাই নয়, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন উঠতি অভিনেত্রীদের মৃত্যুতে তাঁদের পরিবারকে দোষ দিতে নারাজ ছিলেন, তাঁর সেই বক্তব্যের সঙ্গেও একমত ছিলেন দেবলীনা। তাহলে তারপরেও কীভাবে নিজের পরিবারকে দায়ী করে পল্লবী, মঞ্জুষা, বিদিশাদের পথেই আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন অভিনেত্রী? আপাতত এই প্রশ্নটাই ঘুরপাক খাচ্ছে দেবলীনার অনুগামীদের মধ্যে।