বাংলাদেশের আওয়ামি লিগের সাংসদ আনার আজিমের দেহ উদ্ধারে এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে অভিযান চালালেন রাজ্যের গোয়েন্দারা। ঢোলেরহাটের জঙ্গলে শুক্রবার দুপুরে অভিযান চালান সিআইডি কর্তারা। তাঁদের দাবি, নিউটাউনের আবাসন থেকে সাংসদের দেহকে ট্রলি বন্ধ অবস্থায় এই জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হতে পারে। এদিন এক মিনিট নয় সেকেন্ডের এক সিসি ফুটেজে সবুজ ট্রলির ছবি ধরা পড়েছে। সেই সবুজ ট্রলির সন্ধানে এখন সিআইডি।
এদিকে রাজ্য গোয়েন্দা দফতরের এক সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ঘটনার দিন বাংলাদেশের সাংসদকে খুনের পর ওই আবাসনেই রাত কাটায় দুষ্কৃতীরা। তাদের মধ্যে ছিল মডেল শিলাস্তি রহমানও। প্রাথমিক তদন্ত সিআইডির দাবি, দেহ কুপিয়ে তাতে হলুদ মাখিয়ে ফ্রিজে রাখা হয়েছিল। তারপর চলেছিল উল্লাস।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, শিলাস্তির সঙ্গেই ছিল আরও দুই অভিযুক্ত ফয়জল এবং মুস্তাফিজুর। জেরায় কলকাতা থেকে গ্রেফতার জাহিদ স্বীকার করেছে মূল অভিযুক্ত আখতারুজ্জমানের নির্দেশে দেহ টুকরো করে দুটি ট্রলি ব্যাগে রাখা হয়েছিল। সিআইডি জেরায় জাহিদ আরও জানিয়েছে, সে ও সিয়াম ভাড়া গাড়িতে বাসন্তী হাইওয়ে দিকে গিয়েছিল। ভাঙড়ের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছিল। বাংলাদেশের সাংসদের দেহাংশ বিভিন্ন প্রান্তে ফেলে দেওয়া হয়।