স্কুল সার্ভিসে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় এবার ইডির চার্জশিটে তৃণমূল বিধায়ক ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্য়ান মানিক ভট্টাচার্যের নাম। আদালতে পেশ হওয়া ইডির চার্জশিটে এই ঘটনার পিছনে তৃণমূলের পলাশিপাড়ার বিধায়কের নাম প্রতি পাতায় উল্লেখ করা হয়েছে বলেই দাবি। টেট-দুর্নীতিতে ইতিমধ্য়েই মানিককে জেরা করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। তাঁর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস পর্যন্ত বার করা হয়েছিল। যদিও তারপর আর কোনও পদক্ষেপ এখনও পর্যন্ত করা হয়নি। কিন্তু এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্য়ান যে তাদের নজরে আছেন, তা চার্জশিটে মানিকের নাম তুলেই স্পষ্ট করে দিল ইডি।
স্কুল সার্ভিসে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত গত ২৩ জুলাই রাজ্যের প্রাক্তনমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে তাঁর নাকতলার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ওইদিন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল, পার্থর মোবাইল ফোন। ইডির দাবি, ফোনবুকে মানিক ভট্টাচার্যের নাম ল বলে সেভ করা আছে। ওই মোবাইল ঘেঁটে ইডি জানতে পেরেছে, ২০২০ সালের ১২ ডিসেম্বর পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মানিক ভট্টাচার্য প্রাইমারি টেটের ইন্টারভিউর ব্যাপারে মেসেজ করে লিখেছিলেন, ‘দশ মিনিট দিস কাল বাড়ি যাব’। জবাবে পার্থ লেখেন ওকে। তার পর দেখা যায় ২০২১ সালের ১০ জানুয়ারি পার্থকে ফের মেসেজ করে মানিক লিখেছেন, “ইন্টারভিউ স্টার্টেড অল ওভার দ্য স্টেট।” জবাবে পার্থ লিখেছেন, থ্যাঙ্কস।
এর পাশাপাশি পার্থর ফোন ঘেঁটে, আরও একটি মেসেজ হাতে এসেছে ইডি। সেখানে আবার মানিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, “দাদা মানিক ভট্টাচার্য ইজ টেকিং মানি যা তা ভাবে। কোভিডের সময়ে প্রাইভেট কলেজগুলো থেকে ছাত্রপিছু ও ৫০০ টাকা করে নিয়েছেন।”
চার্জশিটে ইডির দাবি, এর কোনও সদুত্তর পার্থ দেননি। তিনি জবাব এড়িয়ে যেতে চেয়েছেন। পার্থ ইডি অফিসারদের জবাবে বলেছেন, এটা প্রাইমারি বোর্ড বলতে পারবে। তিনি জানেন না।