দুর্গাপুজোর কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে । দেখতে দেখতে কেটে যাবে কয়েকটা দিন । ইতিমধ্যে প্যান্ডেল বাঁধার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে । আবারও থিমের ভিড়, একের পর এক চোখ ধাঁধানো মণ্ডপসজ্জা...এখন থেকেই যেন মনের মধ্যে ঢাকের বাদ্যি বাজছে । পুজোর দিনগুলিতে নিজেকে সুন্দর দেখানোর জন্য অনেকেই এখন থেকে ডায়েট শুরু করে দিয়েছেন । আবার কেউ ভর্তি হয়ে গিয়েছেন জিমে । তবে, জানেন কি কোনও ব্যায়াম ছাড়াই ২১ দিনে আপনি রোগা হয়ে যেতে পারেন ? কীভাবে ? তার টিপস দিলেন বলি অভিনেতা আর মাধবন
বলিউডের অন্যতম 'পাওয়ারফুল' অভিনেতা আর মাধবন । ৯০-এর দশকের সেই রোম্যান্টিক মাধবন হোক বা হাল ফিলালের 'শয়তান', যে কোনও চরিত্রই অসাধারণ দক্ষতার সঙ্গে ফুটিয়ে তুলেছেন । তাঁর অভিনয় দক্ষতা মুগ্ধ করেছে দর্শকদের । সম্প্রতি, এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানিয়েছেন, মাত্র ২১ দিনে কোনও রকম জিমে না গিয়ে, শরীরচর্চা না করে, কোনও ওষুধ না খেয়ে তিনি অতিরিক্ত ওজন কমিয়েছেন । কীভাবে ? জেনে নিন
সম্প্রতি, কার্লি টেলসের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানান, রকেট্রি: দ্য নাম্বি এফেক্ট-এর মুক্তির সময় প্রচুর ওজন বেড়ে গিয়েছিল মাধবনের । অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য ২১ দিন কঠিন অধ্যাবসায় করেছেন মাধবন । তবে, কোনওরকম শরীরচর্চা তিনি করেননি ।
মাধবন জানিয়েছেন, তিনি ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং-এ ছিলেন । যে কোনও খাবার অনেকক্ষণ সময় নিয়ে চিবিয়ে খেয়েছেন । প্রায় ৪৫ থেকে ৬০ বার চিবিয়েছেন তিনি । মাধবন সন্ধে পৌনে সাতটায় দিনের শেষ খাবার খেতেন । অর্থাৎ ৭টার মধ্যেই ডিনার সারা হয়ে যেত । দুপুর তিনটের পর রান্না করা খাবার ছাড়া কিছু খেতেন না । রাতে তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়া আর শুতে যাওয়ার ৯০ মিনিট আগে 'নো স্ক্রিন টাইম' । ভোরবেলা উঠে লম্বা পথ হাঁটা ।
এছাড়া, প্রচুর তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে । এছাড়া, সবুজ শাকসবজি রাখতে হবে প্রতিদিনের ডায়েটে । এমন খাবার খেতে হবে, যাতে তা সহজে বিপাক হয়, ও আপনাকে সুস্থ রাখে ।
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং কী ?
খুব সহজ কথায় বললে উপোস করে ওজনো কমানো । ১০-১২ ঘণ্টা গ্যাপ দিয়ে খাবার খেতে হবে । অনেকে আবার সেটা ১৬ ঘণ্টাও করে থাকেন । অর্থাৎ সকাল ৭টায় যদি আপনি ব্রেকফাস্ট করেন, তাহলে দুপুরের খাবার খাবেন ৪টের সময় । এমনটাই মেনে চলা হয় এই ধরনের ফাস্টিংয়ে । ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ের মাধ্যমে খাবারকে সম্পূর্ণ হজম হতে সময় দেওয়া হয় । ফলে,মেটাবলিজম স্বাভাবিক থাকে। আর ওজনও থাকে নিয়ন্ত্রণে । বিভিন্ন সমীক্ষায় উঠে এসছে, এই ধরনের ডায়েট প্রক্রিয়া শুধু ওজন কমায় না, টাইপ টু ডায়াবেটিস কমাতে ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও দারুণ কার্যকর ।