জেলা ভাগের ঘোষণার পর থেকেই অসন্তোষ দানা বেঁধেছিল শান্তিপুরবাসীর মনে। সকাল হতেই জেলা ভাগের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়েই পথে নামলেন সমাজকর্মী থেকে সাংস্কৃতিক জগতের কর্মীরা। তাঁদের দাবি, শান্তিপুর থাকুক নদিয়াতেই।
সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের অসন্তোষের কথা জানান দিচ্ছিলেন শান্তিপুরের বিভিন্ন মানুষ। তখনই এক প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়। মঙ্গলবার সকাল হতেই শহরের প্রাণকেন্দ্র ডাকঘর মোড়ে নেতাজী মূর্তির পাদদেশে জড়ো হন কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকার-চিত্রকর থেকে শুরু করে ছাত্র-যুব-মহিলা-কৃষক-শ্রমিক সহ বহু সাধারণ মানুষ। রাজনৈতিক রং পতাকা ছাড়াই বিভিন্ন নাগরিক তাদের মতামত রাখেন। বৈষ্ণবীয় চিন্তার আঁতুড়ঘর-প্রাণকেন্দ্র এই নদিয়াকে কিছুতেই তাঁরা ভাঙতে দেবেন না বলেও জানান বিদ্বজনদের একাংশ।
বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামীও আক্ষেপের সুরে বলেন, বিধায়ক বাদেও তিনি শান্তিপুরের বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী বাড়ির সন্তান, তাই বিষয়টি তাঁকে ব্যাথিত করেছে। তবে ইতিমধ্যেই তিনি যোগাযোগ করেছেন সমস্ত প্রশাসনিক আধিকারিকদের সাথে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী কৃষ্টি সংস্কৃতি ঐতিহ্যের সম্মান দিতে জানেন। তাই তিনি বিশ্বাস করেন, মুখ্যমন্ত্রী মহানুভবতায় শান্তিপুর, নদিয়া জেলাতেই রাখার সমস্ত প্রচেষ্টা সার্থক হবে।