একজন ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত। অন্যজন খুনের মামলায় কারাবাসে। জেলেই পরিচয় দুজনের। সংশোধনাগারের সেই পরিচয়কেই সম্পর্কে রূপ দিতে চেয়েছিলেন বন্দি আব্দুল হাসিম। শাহানারা খাতুনও রাজি ছিলেন। সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে চার হাত এক হল। কয়েকদিনের জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বীরভূম বেড়াতে গিয়েছিলেন নবদম্পতি। রবিবার ফের সংশোধনাগারে ফিরে গিয়েছেন তাঁরা।
বর্ধমানের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের ঘটনা। অসমের দোরাং জোলার দলগাঁওয়ের একটি গ্রামে বাড়ি আব্দুলের। শাহানারা বীরভূমের নানুর থানার উচকারণ-বালিগড়ির মেয়ে। মানবাধিকার সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতির প্রতিনিধি সূত্রে খবর, ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত হাসিম বর্ধমানের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে ৮ বছর সাজা কাটাচ্ছেন। খুনের মামলায় ৬ বছর ধরে ওই সংশোধনাগারে রয়েছেন শাহানারাও। কয়েকদিন আগে কারামন্ত্রী অখিল গিরির কাছে আবেদন করেন। আবেদন মঞ্জুর হলেই বিয়ে র তোড়জোড় শুরু হয়। গত বুধবার মন্তেশ্বরে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হন আব্দুল ও শাহানারা।
নবদম্পতি জানিয়েছেন, কপালের দোষে তাঁরা জেলে আসামী হয়েছেন। ছাড়া পেলে এবার সংসার করবেন। মানবধিকার সংগঠনের পদস্থ কর্তা শামসুদ্দিন শেখ জানিয়েছেন, দুই বন্দি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চেয়েছিলেন। কারামন্ত্রীর কাছে আবেদনও করেছিলেন। আবেদন মঞ্জুর হওয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।