সরকারের পক্ষ থেকেই তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মান দেওয়া হয়েছিল। আর সেই সরকারই পদ্মশ্রী সম্মানের মানপত্র ছুড়ে ফেলল। বৃদ্ধ বয়সে এসে এমন অভিজ্ঞতারই সম্মুখীন হতে হলে ওডিশি নৃত্যশিল্পী গুরু মায়াধর রাউতকে। ৯১ বছর বয়সী এই নৃত্যশিল্পীকে মঙ্গলবার দিল্লির সরকারি বাংলো থেকে উচ্ছেদ করল মোদী সরকার। দিল্লিতে নৃত্যশিল্পীর নামে যে বাংলো বরাদ্দ করা হয়েছিল তা ২০০৮ সালের নিয়ম মোতাবেক তার মেয়াদ ফুরিয়েছে। আর সে কারণেই সরকারের তরফে এই উচ্ছেদ অভিযান করা হল।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন থেকে ফেরা মেডিকেল পড়ুয়াদের জন্য বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
৮ নামী শিল্পীকে ২ মের মধ্য সরকারি আবাসন খালি করার নোটিস ধরিয়েছে মোদী সরকার (Modi Government)। সরকারের দাবি, বহু বছর আগে শিল্পী কোটায় সরকারি আবাসন পেয়েছিল তারা। কিন্তু সেই আবাসনে থাকার মেয়াদ ফুরিয়েছিল ২০১৪ সালেই। তার পরেও তাঁরা সরকারি আবাসন ছাড়েননি বলে অভিযোগ।
ওড়িশি নৃত্যশিল্পী গুরু মায়াধর রাউতের বয়স ৯০ ছাড়িয়েছে। পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন তিনি। সেই শিল্পীকেও সরকারি আবাসন ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে মোদি সরকার। সেই মতো বুধবারই সংসারের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে বাড়ি ছেড়েছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল সেই ছবি। যা দেখে কেন্দ্রের নিন্দায় সরব নেটিজেনরা। কয়েক জন এখনও দিল্লির সরকারি আবাসন আঁকড়ে রয়েছেন। তবে তাঁদেরও ২ মে- মধ্যে ছাড়তে হবে ঘর।
সরকারি নীতি অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের সুপারিশে মাসিক ২০ হাজার টাকার কম উপার্জনকারী সর্বাধিক ৪০ জন পর্যন্ত শিল্পীকে বিশেষ কোটায় সরকারি বাসস্থান দেওয়া যায় ৷ এপ্রিলের শেষের মধ্যে দিল্লিতে সরকারি আবাসস্থল খালি করে দেওয়ার জন্য উচ্চাঙ্গ শিল্পী রীতা গঙ্গোপাধ্যায় ও অন্যান্যদের নির্দেশ দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ ৷ এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আরও সময় চাইলে শিল্পীদের সেই দাবি খারিজ করে দেয় উচ্চতর বেঞ্চ ৷