অঞ্জলি সিং কাণ্ডে(Anjali Singh Hit and Run Case) তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই পুলিশের হাতে আসছে নতুন নতুন তথ্য। জানা গিয়েছে, খবর পেতেই ৯টি পিসিআর ভ্যান ওই গাড়িটিকে ধরার চেষ্টা শুরু করে। কিন্তু ওই বোলেনো গাড়িটিকে অনুসরণ করেও পুলিশ ব্যর্থ হয়। পিসিআর ভ্যানগুলির(Delhi Police PCR Vans) মধ্যে ৫টি গাড়ি রাস্তাতেই ছিল বলেও খবর। ঘটনাটি দেখে দীপক দাহিয়া নামক এক ব্যক্তি প্রথম পুলিশকে ফোন করেন। রাত ২টো ১৮ মিনিটের পর ফের ২টো ২০মিনিটে ফোন পায় পুলিশ। আরেক প্রত্যক্ষদর্শী ৩টে ২৪ মিনিট নাগাদ পুলিশকে পর পর দু’বার ফোন করেছিলেন বলেও তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ(Delhi Police)। সবমিলিয়ে আপৎকালীন নম্বরে ৬ বার এবং পুলিশের অন্য নম্বরে মোট ২০ বার ফোন করা হয়েছিল বলেই খবর। তবে পুলিশের দাবি, দিল্লির ঘন কুয়াশাই(Fog Warning in Delhi) গাড়িটিকে অনুসরণে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
মঙ্গলবারই মৃত অঞ্জলি সিংয়ের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট(Anjali Singh's Post Mortem Report) প্রকাশ্যে আসে। রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, অঞ্জলির(Anjali Singh) মাথার ঘিলু অনুপস্থিত। এমনকি, মাথার খুলির গহ্বরও খোলা অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া শিরদাঁড়ার বেশ কয়েকটি জায়গা ভেঙে গিয়েছে বলেও খবর। শুধু তাই নয়, মৃতার দেহের পাঁজরগুলিও বুকের পিছন দিক দিয়ে উন্মুক্ত হয়ে গিয়েছে বলেও উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে(Delhi Hit and Run Case)।
আরও পড়ুন- Covid 19: করোনার অতি সংক্রামক BF 7 ভ্যারিয়ান্ট এবার বাংলায়, রাজ্যে বিদেশ ফেরত ৪ আক্রান্তের হদিশ
আট পাতার এই রিপোর্টে রয়েছে আরও তথ্য। দীর্ঘক্ষণ গাড়ির নীচে আটকে থাকার কারণে ধুলোমাটিতে মাখা ছিল অঞ্জলির সারা দেহ। মৌলানা আজাদ মেডিক্যাল কলেজে(Maulana Azad Medical College) চিকিৎসকদের একটি দল মৃতার ময়নাতদন্ত করে। মঙ্গলবার দুপুর ২টো নাগাদ সেই রিপোর্ট হাতে পায় দিল্লি পুলিশ।