১৫০ জনেরও বেশি মহিলার মর্ফ করা ছবি (Morphed pictures of women) সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social media) পোস্ট করে তাঁদের সরাসরি যৌনতার প্রস্তাব দিত ৩০ বছর বয়সী এক শ্রমিক। দিল্লির শাহবাদ ডেয়ারি এলাকার বাসিন্দা ওই শ্রমিক বুধবার গ্রেফতার করে পুলিশ। তার নাম সচিন কুমার। এই 'কীর্তিমান'কে গ্রেফতার করার পর একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে সামনে। কীভাবে একজন মহিলাকে গোপনে অনুসরণ করতে হবে (Stalking) এবং ব্ল্যাকমেলিং (Blackmailing) করতে হবে, তা সে শিখেছিল ইউটিউব (YouTube) থেকে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৩ মার্চ এক মহিলা একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেখানে বলা হয়, একটি অচেনা নম্বর থেকে তাঁর কাছে বন্ধুত্ব করার জন্য বারবার মেসেজ (WhatsApp) আসছে। তিনি প্রেরককে জানান যে তিনি বিবাহিত এবং তারপর নম্বরটি ব্লক করে দেন। সমস্যা গভীর হয় তারপর। সন্ধেবেলা থেকে বিভিন্ন নম্বরে তাঁর কাছে হোয়াটসঅ্যাপ কল আসতে থাকে।
তিনি ওই ফোন কলগুলির মালিককে নিবৃত্ত হতে অনুরোধ করলে সে ওই মহিলার মর্ফ করা ছবি (Morphed pictures) পাঠিয়ে তাঁর উদ্দেশে কদর্য গালিগালাজ করে। পুলিশ জানায়, তার সঙ্গে ওই মহিলা বন্ধুত্ব না করলে ছবিগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ারও হুমকি দেয় অভিযুক্ত।
আরও পড়ুন: 'আর বিদায় বলার নেই', বিবাহবিচ্ছেদের পরই শোভনের সঙ্গে একগুচ্ছ ছবি পোস্ট বৈশাখীর
ওই মহিলার অভিযোগের ওপর ভিত্তি করেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। বিভিন্ন ফেক অ্যাকাউন্ট (Fake accounts) এবং ভার্চুয়াল নম্বর (Virtual numbers) হাতে আসে পুলিশের। তারপরই সচিন কুমারকে গ্রেফতার করা হয়।
অভিযুক্ত জানিয়েছে, একটি বিশেষ অ্যাপের (Application) মাধ্যমে সে মহিলাদের নম্বর সার্চ করত। তারপর সেই নম্বরগুলোতে বন্ধুত্বের অনুরোধ জানিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) করত। কেউ তার সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে অস্বীকার করলেই তার ডিসপ্লে পিকচার ডাউনলোড করে নিয়ে ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করা নগ্ন ছবিতে (Nude pictures) তাঁদের মুখ বসিয়ে দিয়ে ব্ল্যাকমেল (Blackmail) করত।
যাঁরা তার সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে অস্বীকার করত, তাঁদের ওই মর্ফ করা ছবিই (Morphed pictures) সে ফেক অ্যাকাউন্ট (Fake accounts) থেকে পোস্ট করত সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social media)। পুলিশ জানায়, এতদিনে বিভিন্ন নকল অ্যাকাউন্ট থেকে সে ১৫০ জনেরও বেশি মহিলার মর্ফ করা ছবি পোস্ট করেছে সোশ্যাল মিডিয়াতে।