বগটুই (Bogtui) থেকে হাঁসখালি (Hashkhali)। সাম্প্রতিক সময়ে পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) পর পর সিবিআই (Cbi) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Kolkata High Court) প্রশ্ন হল বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) কী প্রয়াগরাজে (Prayagraj) ঘটনায় সিবিআই তদন্ত হবে। কারণ, রবিবার তৃণমূলের (Tmc) প্রতিনিধি দলের সামনেই এই ঘটনার তদন্তে সিবিআই দাবি করেছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের সাফ কথা, পরিবারের পাঁচজনের খুনের ঘটনার তদন্তে তাঁদের রাজ্য পুলিশের উপর কোনও আস্থা নেই। তাই তাঁরা সিবিআই দাবি করছেন।
এদিন খেবরাজপুরের ঘটনাস্থলে যান তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। কথা বলেন নিহতদের পরিবারের সঙ্গে। সেখানেই অভিযোগ করা হয়, এই ঘটনার পর তাঁদের অনেক অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেছে পুলিশ। নিহত পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, এটা একটা বড় রকমের ষড়যন্ত্র। যার বিহিত করতে সিবিআই প্রয়োজন।
পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদ দোলা সেনা (Dola Sen) জানিয়েছেন, তারা নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন। ঘটনার বিবরণ শুনেছেন পরিবারের জীবিত সদস্য সুনীল যাদবের কাছ থেকেও। দোলার দাবি, সুনীল মনে করেন এই ঘটনায় ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ ধর্ষণের অভিযোগ নেয়নি বলেই অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূল চায় এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক।
শনিবার উত্তরপ্রদেশের একই পরিবারের পাঁচ জনকে খুন করা হয়। উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের থরবই থানার অন্তর্গত খেবরাজপুরে দু’বছরের এক শিশু-সহ একই পরিবারের পাঁচ জনকে কুপিয়ে খুন করে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ জানায়, দুষ্কৃতীরা এক প্রৌঢ় দম্পতি, তাঁদের মেয়ে, পুত্রবধূ এবং নাতনিকে খুন করে। তার পরেই উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে প্রতিনিধিদল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল। রাজনৈতিক মহলের মতে, সম্প্রতি বগটুই ও হাঁসখালিতে কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছিল বিজেপি। তারই পাল্টা এই সত্যানুসন্ধান দলটি পাঠিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।