রিংটোন বেজে গিয়েছিল আগেই। তৃণমূল নেত্রীকে জোটের নেত্রী চেয়ে ইতিমধ্যেই হাত শক্ত করেছেন বর্ষীয়ান লালু প্রসাদ, শরদ পাওয়াররা। শীত অধিবেশনের মধ্যে এবার সেই দাবি আরও জোড়াল হল। মমতাকে ইন্ডিয়া জোটের মুখ চেয়ে এবার সওয়াল করলেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল নেত্রীর রাজনৈতিক পরিসংখ্যান তুলে এদিন সওয়াল করেন অভিষেক। তিনি জানান, সাত বারের সাংসদ, চার বারের কেন্দ্রীয়মন্ত্রী তৃণমূল নেত্রী। বর্তমানে তিনি বাংলার তিন বারের মুখ্যমন্ত্রী। অভিষেক জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসই একমাত্র দল যারা কংগ্রেস এবং বিজেপিকে উভয়কেই রাজনীতির ময়দানে হারিয়ে দিয়েছে। তৃণমূল সাংসদের দাবি, এই মুহূর্তে ইন্ডিয়া জোটের মধ্যে এমন কোনও মুখ নেই, যিনি মমতাকে ছাপিয়ে যেতে পারেন। নরেন্দ্র মোদী বিরোধী মুখ হিসাবে তাই তৃণমূল নেত্রীকে এবার চান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সম্প্রতি এক দেশ, এক ভোটের উপর সিলমোহর বসিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। রাজনৈতিক মহলের দাবি, এই শীত অধিবেশনেই সংসদে এই বিল পেশ করতে পারে মোদী সরকার। তার আগে, কেন্দ্রীয় এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে, এই একই ইস্যুতে কেন্দ্রের সমালোচনা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি চৌকিদার। দেশবাসীকে তিনি পাহাড়া দেন। ভারতবাসীর কাছে এটাই ইমেজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। কিন্তু এক দেশ, এক ভোট নিয়ে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে এবার প্রধানমন্ত্রীকেই কটাক্ষ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কোভিড-কালকে মনে করিয়ে অভিযেকের অভিযোগ, ২৬ দিনের নির্বাচন এখন কেন দু দিনে করতে চান নরেন্দ্র মোদী ? তাঁর সংযোজন, গত লোকসভাতেও সাত দফায় ভোট হয়েছে বাংলায়।
একদিকে নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রকে কটাক্ষ। অন্য দিকে বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের মধ্যে নেত্রী হিসাবে সুকৌশলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামকে ভাসিয়ে দেওয়া। রাজনৈতিক মহলের দাবি, সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমাণ করলেন তিনি এখন অনেক পরিণত। কেন তিনি দিল্লিতে তৃণমূলের মুখ, সেটাই বোঝা গেল অভিষেকের কৌশলে।