গায়ে হলুদ টি-শার্ট। কালো প্যান্ট। মাথার চুল ফের কালো। তিহাড়ের দরজা খুলতেই বেরলেন তিনি। তিনি অনুব্রত মণ্ডল। গত শুক্রবার গরুপাচার তদন্ত মামলায় তৃণমূল নেতাকে জামিন দিয়েছে দিল্লির আদালত। তারপর সোমবার রাতে প্রায় দেড় বছর পর তিহাড় জেল থেকে ছাড়া পেলেন বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি। বাবাকে আনতে তিহাড়ের সদরে অপেক্ষা করতে দেখা গেল মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে। যিনিও সম্প্রতি এই মামলায় জামিন পেয়েছিলেন।
গত শুক্রবার জামিনের পর থেকেই মুক্তির কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছিল। ২০২২ সালের ১১ অগাস্ট গরুপাচার তদন্তে বীরভূমের তৃণমূলের এই নেতাকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। বীরভূমের বাড়ি থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। প্রথমে আসানসোলের জেলা সংশোধনাগারে রাখা হয়েছিল অনুব্রতকে। তার কয়েক মাস পরে তিহারে স্থানান্তরিত করা হয় বীরভূমের জেলা সভাপতিকে।
এই বছরের ৩০ জুলাই গরুপাচার তদন্তে সিবিআই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট অনুব্রত জামিন মঞ্জুর করে। কিন্তু ঝুলে ছিল ইডির মামলা। গত শুক্রবার ব্যক্তিগত ১০ লক্ষ টাকার বন্ডে জামিন মঞ্জুর করেছে দিল্লির আদালত। অনুব্রতর আইনজীবীর দাবি, এই মামলায় তাঁর মক্কেল আর্থিক ভাবে সুবিধা পেয়েছেন, আদালতে তার প্রমাণ দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি।
এদিকে, সোমবার থেকে অনুব্রত আসার খবরে সেজে উঠছে নীচুপট্টিতে তাঁর বাড়ির আশপাশ। গোটা এলাকা মোড়া হয়েছে তৃণমূলের পতাকায়। মঙ্গলবার জেলার বন্যা দেখতে বীরভূম যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করবেন প্রশাসনিক বৈঠক। তার আগে তৃণমূলের তোরণে দেখা গিয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের ছবি।