দেশের বিমান সংস্থাগুলোর অন্যায়কে রুখতে এবার কড়া পদক্ষেপ নিল দেশের বিমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা(DGCA)। বেশিরভাগ সময়েই যাত্রীরা নির্ধারিত সময়ে এয়ারপোর্টে এসে পৌঁছলেও তাঁদের বিমানে তুলতে অসম্মত হচ্ছে বিভিন্ন বিমান সংস্থা।
গত ২ মে দেশের বিমান সংস্থাগুলিকে একটি ই-মেল পাঠায় ডিজিসিএ(DGCA)। সেখানে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, অন্যায়ভাবে যদি যাত্রী প্রত্যাখ্যান করা হয়, তবে সেই ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রীদের ক্ষতিপূরণ এবং সুবিধা দিতে হবে। কিন্তু এই নিয়ম না মানলে নির্দিষ্ট সংস্থার ওপর আর্থিক জরিমানা(Financial Penalties) আরোপ করবে ডিজিসিএ।
পিটিআই (PTI) সূত্রে খবর, করোনাপর্বের(Covid 19) লোকসান পুষিয়ে নিতে বিমান সংস্থাগুলি বেশি সংখ্যক যাত্রী ধরে রাখছে। কিন্তু পরবর্তীতে আসনসংখ্যা ছাপিয়ে গেলে বাধ্য হয়েই তারা বাড়তি যাত্রীদের টিকিট বাতিল করছে। ফলে যাত্রীদের সময়ের পাশাপাশি, অর্থ অপচয়( Wastage of Money) হচ্ছে।
এই ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় ডিজিসিএ ২০১০ সালে একটি নির্দেশ জারি করে। যাঁরা 'অস্বীকৃত বোর্ডিং, বাতিল বা ফ্লাইটে বিলম্ব' ইত্যাদি সমস্যার শিকার হয়েছেন, তাঁদের নির্দিষ্ট ন্যূনতম ক্ষতিপূরণ(Penalties) এবং সুবিধাগুলি বিমান সংস্থাগুলিকে অবশ্যই দিতে হবে।
ডিজিসিএর(DGCA) ২০১০ সালের নিয়মে বলা হয়েছে, সময়মতো বিমানে ওঠার জন্য বিমানবন্দরে রিপোর্ট করা যাত্রীর সংখ্যা যদি নির্দিষ্ট আসন সংখ্যার চেয়ে বেশি হয়, তখন বিমান সংস্থাকে প্রথমে জিজ্ঞাসা করতে হবে স্বেচ্ছাসেবকরা(Volunteers) নির্দিষ্ট সুবিধার বিনিময়ে তাঁদের আসন ছাড়তে রাজি কিনা।
পাশাপাশি এও বলা হয়েছে, পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবকের অনুপস্থিতিতে, কোনও বিমান সংস্থা ক্ষতিপূরণ(Penalties) এড়াতে পারে যদি ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রীকে একটি বিকল্প বিমানের ব্যবস্থা করে দেন যা ওই বিমানের প্রস্থানের এক ঘণ্টার মধ্যে ছেড়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে, মূল বিমান ছাড়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিকল্প বিমানটি ছাড়ার জন্য নির্ধারিত হলে বিমান সংস্থাকে মৌলিক ভাড়ার ২০০ শতাংশ এবং জ্বালানী খরচের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ(Penalties) দিতে হবে। ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় হয়ে গেলেই এই ক্ষতিপূরণের পরিমাণ দাঁড়াবে মূল জ্বালানি খরচের ৪০০ শতাংশ।