শ্রদ্ধা ওয়ালকরের কাটা মাথার খোঁজে পুলিশ। পাশাপাশি, মাথা কাটার সেই অস্ত্রটিকেও পাওয়া যায়নি বলেই জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। এগুলি না পেলে আদালতে খুনের মামলা দাঁড়াবে না। এমনকি প্রমাণাভাবে ছাড় পেতে পারেন মূল অভিযুক্ত আফতাব। ফলে এখন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শ্রদ্ধার কাটা মাথা খোঁজার কাজ শুরু করেছেন পুলিশ আধিকারিকরা। গত মে মাস থেকে শহরের কোনও এলাকায় কোনও বেওয়ারিশ দেহাংশ মিলেছে কি না, তড়িঘড়ি তা দিল্লি পুলিশকে জানাতে শহরের সমস্ত থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, দিল্লি ও সংলগ্ন ১৫টি জেলার মোট ১৭৮টি থানায় এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চলতি সপ্তাহেই আফতাবকে নিয়ে ছতরপুরের কাছে মেহরৌলির জঙ্গলে যায় পুলিশ। এরপর আফতাবের দেখানো এলাকা থেকে মেলে দেহাংশ ভর্তি ১০টি ব্যাগ। পুলিশি তদন্তে আফতাব জানান, তিনি বিভিন্ন সময় গিয়ে ওই জঙ্গলে এই দেহাংশগুলি ফেলে এসেছিলেন। তদন্তের স্বার্থে তাঁকে নিয়ে উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচলেও যেতে পারেন পুলিশ আধিকারিকরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, আফতাব-শ্রদ্ধা দু’জনেই আদতে মুম্বইয়ের বাসিন্দা। কল সেন্টারে কাজ চলাকালীন একটি ডেটিং অ্যাপে দু'জনের পরিচয়। দক্ষিণ দিল্লির অতিরিক্ত ডিসিপি অঙ্কিত চৌহান জানান, তিন বছর আগে লিভ-ইন করতে শুরু করেন এই দুই তরুণ-তরুণী। এরপরেই তাঁরা মুম্বই ছেড়ে দিল্লি চলে যান। কিন্তু কিছুদিন পর থেকে বিয়ের জন্য আফতাবকে চাপ দিতে শুরু করেন শ্রদ্ধা। কিন্তু আফতাব বিয়েতে রাজি না থাকায় রোজই তাঁদের ঝামেলা হত বলেই খবর। গত ১৮ মে তুমুল ঝগড়া বাধে দু’জনের। ঝগড়া চলাকালীন শ্রদ্ধাকে গলা টিপে খুন করেন আফতাব।