দিল্লিকাণ্ডে তৎপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। দিল্লিতে অঞ্জলি সিং মৃত্যুর তদন্ত দ্রুত শেষ করে রিপোর্ট জমার নির্দেশ দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ(Amit Shah on Delhi Accident Case)। সোমবার দিল্লি পুলিশের স্পেশাল কমিশনার শালিনী সিংকে এই নির্দেশ দেন তিনি। এদিন পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে আরও এক তথ্য। দুর্ঘটনার মুহূর্তে অঞ্জলি সিংয়ের(Anjali Singh) সঙ্গে ছিলেন আরও এক বান্ধবী। ঘটনার ভয়াবহতায় আতঙ্কিত ওই বান্ধবী পালিয়ে যান বলেই খবর। সোমবার সন্ধ্যায় ওই বান্ধবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দিল্লি পুলিশ। সেখানেই পথ দুর্ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দেন তিনি। তাঁর বয়ান রেকর্ড করেন পুলিশকর্তারা।
রবিবার ভোরে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকে দেশের রাজধানী(Delhi Horror) বছর কুড়ির অঞ্জলি দুর্ঘটনার দিন রাত ২টো নাগাদ অফিস থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় পিছন থেকে একটি গাড়ি ধাক্কা(Delhi Road Accient) মারে তাঁকে। এখানেই শেষ নয়, ওই তরুণী গাড়ির নিচে আটকে যান। সেই অবস্থাতেই ওই তরুণীকে টেনে-হিঁচড়ে প্রায় ঘন্টাখানেক পথ চলে গাড়িটি। দুর্ঘটনাস্থল থেকে ১২ থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে নগ্ন দেহ উদ্ধার হয় তরুণীর। দিল্লির কাঞ্ঝাওয়ালা এলাকায়(Kanjhawala Accident Case) তরুণীর দেহটি গাড়ি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন- CCTV in Kolkata : নারীদের সুরক্ষায় জোরদার নিরাপত্তা, আরও ৩,৫০০ সিসিটিভি ক্যামেরায় মুড়ছে শহর কলকাতা
পুলিশের দাবি, ওই ৫ অভিযুক্ত দুর্ঘটনার(Delhi Accident Case) সময় মদ্যপ অবস্থায় ছিল। এমনকি, দুর্ঘটনায় যুক্ত ওই মারুতি সুজুকি বালেনোটি তাঁরা ভাড়ায় নিয়েছিল বলেই পুলিশকে জানিয়েছে ওই ৫ ব্যক্তি। পুলিশ সূত্রে খবর গাড়িটির আসল মালিক লোকেশ নামক এক ব্যক্তি। তিনি আশুতোষ নামক এক বন্ধুকে গাড়িটি ধার দেন। দুর্ঘটনার মুহূর্তে আশুতোষ, তাঁর দুই বন্ধু অমিত ও দীপক খান্না গাড়ির ভিতর ছিলেন। সেই সময় গাড়িতে ছিলেন মনোজ মিত্তল নামক দিল্লির এক বিজেপি নেতা(Delhi BJP Leader)। এছাড়া গাড়িতে মিঠুন নামক আরও একজন ছিলেন, যিনি পেশায় হেয়ার ড্রেসার।