গুজরাতের মোরবি নদীর সেতু দুর্ঘটনায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ১৪০ জন ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অভিযোগ, এই সেতু জনসাধারণের জন্য চালু করার আগে প্রশাসনের থেকে সবুজ সংকেত নেওয়া হয়নি। সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে ফিটনেস সার্টিফিকেটও ছিল না বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
কিছুদিন আগেই মোরবি নদীর উপর ঝুলন্ত সেতু সংস্কার হয়েছিল। মাত্র ৬ দিন আগে এই সেতু খুলে দেওয়া হয়। রবিবার সন্ধ্যায় প্রায় ৫০০ মানুষ এই সেতুতে উঠে পড়ে বলে দাবি স্থানীয়দের। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়োতে দেখা যায়, ওই সেতুর উপর অনেকেই ছোটাছুটি, লাফালাফি করছেন। এরপরই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে সেতুটি।
এই সেতুর সংস্কারের দায়িত্বে ছিল ওরেভা নামে একটি বেসরকারি সংস্থা। দীর্ঘ ৭ মাস বন্ধ ছিল সেতুটি। গত ২৬ অক্টোবর খুলে দেওয়া হয়। মোরবি পুরসভার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, সেতুর স্বাস্থ্যপরীক্ষা নিয়ে ওই সংস্থা পুরসভার থেকে কোনও শংসাপত্র নেয়নি। সেতু সম্পর্কে কোনও বিস্তারিত তথ্য জানত না সরকারও। দাবি পুরসভা কর্তৃপক্ষের। রবিবার সেতু ভেঙে পড়ার পর সারারাত ধরে উদ্ধারকাজ চলেছে। সোমবার সকালেও নতুন করে উদ্ধারকাজ শুরু হয়।
মৃতদের পরিবারকে গুজরাত সরকার ৪ লক্ষ টাকা ও কেন্দ্র সরকার ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে। আহতদের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা হবে।
এদিন সেতু বিপর্যয় নিয়ে মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। সরদার বল্লভ ভাই প্যাটেলের জন্মবার্ষিকীতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। সেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আমি একতা নগরে আছি। কিন্তু মন পড়ে আছে মোরবি দুর্ঘটনার বিপর্যস্তদের কাছে। জীবনে খুব কম সময় এমন যন্ত্রণা অনুভব হয়েছে। একদিকে মনে যন্ত্রণা, অন্যদিকে ডিউটি করতে হচ্ছে।"