আতঙ্কের নাম দেবভূমি। গত কয়েকদিন ধরে খারাপ হচ্ছে উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠের অবস্থা। এবার তার সঙ্গেই যোগ হল কর্ণপ্রয়াগ, নৈনিতাল, উত্তরকাশীর মতো পর্যটন কেন্দ্রগুলি। বিশেষজ্ঞদের দাবি, যে কোনও সময়ে তলিয়ে যেতে পারে এই জায়গাগুলি। কারণ, যে ভাবে পাহাড় কেটে এই জায়গাগুলিতে বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। তার জের এখন ভুগতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। ইতিমধ্যেই চামোলি জেলার কর্ণপ্রয়াগে ইতিমধ্যেই ৫০টির বেশি বাড়িতে ফাটল ধরা পড়েছে। ওই পরিবারগুলিকে অন্যত্র সরানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, পরিকল্পনার অভাবেই আজ ডুবতে বসেছে উত্তরাখণ্ডের বিস্তৃণ অঞ্চল। তাদের দাবি, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই ভেসে যেতে পারে নৈনিতালের মতো পর্যটন কেন্দ্রও।
শুধু চামোলি জেলাই নয়, তেহরি জেলার ঘানসালি, পিথোরাগড়ের মুন্সিয়ারি, ধারচুলা, উত্তরকাশী জেলার ভাটওয়ারি, পাউরি, নৈনিতাল-সহ উত্তরাখণ্ডের বেশ কয়েকটি শহর বসে যেতে পারে। হিমালয়ের কোলে যে জনপদগুলি রয়েছে, সেখানে নির্মাণ কাজের জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন, তা হলেই জোশীমঠের মতো বিপর্যয়ে পুনরাবৃত্তি এড়ানো সম্ভব হবে বলে মত ওই ভূতত্ত্ববিদের।
ভৌগোলিক দিক থেকে জোশীমঠ গুরুত্বপূর্ণ। বদ্রীনাথ, ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্সের মতো একাধিক পর্যটনস্থলের প্রবেশদ্বার এটি। শীতে তুষারপাতের সময় বদ্রীনাথের মূর্তি জোশীমঠেরই নরসিংহ মন্দিরে নামিয়ে আনা হয়। ফলে সনাতন হিন্দু ধর্মের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে রয়েছে জোশীমঠ। একই সঙ্গে চিনের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে জোশীমঠের দূরত্ব মাত্র ১০০ কিমি। ফলে এই এলাকার গুরুত্ব ধারেভারে অনেকটাই বেশি। শেষ পর্যন্ত এই এলাকা তলিয়ে যাবে কি না, সে নিয়ে একরাশ আতঙ্ক জমেছে জোশীমঠের আকাশে।