ত্রিপুরার (Tripura Border) পাহাড়ি সীমান্তে নজরদারির অভাব রয়েছে আর তার সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে এদেশে প্রবেশ করছে জঙ্গিরা (Terrorist)। সীমান্ত টপকে অনায়াসে ভারতে চলে আসছে তারা। এদেশে এসে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে জঙ্গিরা।
সম্প্রতি অসম, মধ্যপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ থেকে ধৃত বেশ কিছু জঙ্গিকে জেরা করে এই তথ্য পেয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তাঁদের দাবি, ভোপাল ও অসমে ধৃত সন্দেহভাজন আল-কায়দা জঙ্গি (Al Qaeda) গোষ্ঠীর সদস্যেরা ত্রিপুরার ব্রাহ্মণবেড়িয়া সীমান্ত দিয়ে এ দেশে প্রবেশ করে। জানা গিয়েছে, লকডাউনের আগে তারা কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে পড়ে। তারপর এক দালালের মাধ্যমে সীমান্ত পেরিয়ে এ দেশে ঢোকে। অসমের বরপেটা এবং হাওড়ার বাঁকড়ায় কিছু দিন থাকার পরে তারা ভোপালে চলে যায়। ভোপাল এবং এ রাজ্যে ধৃত জঙ্গিদের জেরা করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। জেরার তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, অন্তত আট জন সন্দেহভাজন জঙ্গি সীমান্ত টপকে এদেশে ঢোকে। বাংলাদেশের জঙ্গিগোষ্ঠীর নির্দেশেই বাঁকড়ায় সন্দেহভাজন জঙ্গিদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছিল বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। আবু তালহা বা আবদুল্লাহ নামের ওই বাংলাদেশি চাঁইয়ের নির্দেশ মেনেই পলাতক জঙ্গি মইনুদ্দিনের রাজ্যে থাকার ব্যবস্থা হয়েছিল। জেরায় এমনটাই জানিয়েছে, এসটিএফের হাতে ধৃত জঙ্গি আমিরুদ্দিন আনসারি।
আরও পড়ুন: দার্জিলিঙে জনসংযোগে ব্যস্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নিজের হাতে বানালেন মোমো
চলতি মাসের গোড়ায় অসমে এক বাংলাদেশি-সহ ৩ জন গ্রেফতার হয়। পরে তাদের জেরা করে ভোপাল পুলিশ ৬ জনকে গ্রেফতার করে। তাদের মধ্যে ৩ জন বাংলাদেশি। অভিযোগ, ওই চার বাংলাদেশি জঙ্গি ত্রিপুরার ব্রাহ্মণবেড়িয়া সীমান্ত দিয়ে দেশে প্রবেশ করে। তাদের জেরা করেই বাঁকড়া থেকে পুরুলিয়ার বাসিন্দা, পেশায় শিক্ষক আমিরুদ্দিনকে পাকড়াও করে পুলিশ। তাকে জেরা করে জানা যায়, মইনুদ্দিন নামে এক ব্যক্তি তাকে ওই বাংলাদেশিদের থাকার ব্যবস্থা করতে বলেছিল। ঘটনার পর থেকেই খোঁজ নেই সেই মইনুদ্দিনের।
গত সপ্তাহে ভোপালে গিয়ে সেখানে ধৃত সন্দেহভাজন আল-কায়দার জঙ্গিদের জেরা করে এ রাজ্যের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের একটি দল। গোয়েন্দারা জানান, এ রাজ্যে সংগঠনের সদস্য বাড়ানো ছিল তাদের লক্ষ্য। ১৫ জন যুবককে সংগঠনের সদস্য করতে পেরেছিল তারা। যাদের অধিকাংশকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে। রাজ্য পুলিশের এক কর্তার দাবি, "জঙ্গিরা ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের কিছু যুবককে আল-কায়দার সদস্য করতে সফল হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এখানে আল-কায়দার শিকড় কতটা গভীরে ঢুকেছে, তা জানার জন্য অন্যান্য জায়গায় ধৃতদেরও এ রাজ্যে নিয়ে আসা হবে।"