টিকাকরণই (Vaccination) একমাত্র করোনাকে রুখতে পারে।
ভারতের (India) টিকাকরণ শুরুর প্রথম দিন থেকে এই তত্ত্বেই বিশ্বাস করে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। তাই বড়দিনের রাতে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্মদিবসকে স্মরণ করে দেশবাসীর কাছে সবচেয়ে বড় ঘোষণা করলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী জানালেন, নতুন বছরের ৩ জানুয়ারি থেকে টিকা দেওয়া হবে ১৫ থেকে ১৮ বয়সিদের। স্কুল, কলেজের পড়ুয়াদের করোনা থেকে সুস্থ রাখতে এবং তাদের অভিভাবককের উদ্বেগ দূর করতেই তাঁর সরকারের এই সিদ্ধান্ত।
শুধু তাই নয়, করোনার প্রথম দিন থেকে লড়াই করছেন চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাঁদের জন্য এবার প্রিকসন ডোজের কথা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী। করোনা-যোদ্ধাদের (Corona Warrior) সঙ্গে এই তালিকায় রাখা হয়েছে কোমর্বিডিটি সম্পন্ন ষাটোর্ধ্বদেরও। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই ব্যাপারে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে এই ডোজ নিতে পারবেন ষাটোর্ধ্বরা।
আরও পড়ুন : Covid in Bengal: রাজ্যে নতুন করে কোভিড আক্রান্ত হলেন ৫৫২ জন, মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের
এই বছরের ১৬ জানুয়ারি থেকে ভারতে শুরু হয়েছে করোনার টিকাকরণ। এখনও পর্যন্ত ১৪১ কোটি ভারতবাসী করোনার টিকা পেয়েছেন বলেও জাতীর উদেশ্যে ভাষণে এদিন দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, ৬১ শতাংশের বেশি ভারতবাসী ইতিমধ্যে করোনা দুটি ডোজ নিয়েছেন। গোয়া, উত্তরাখণ্ডের মতো পর্যটন নির্ভর রাজ্যগুলিতে ১০০ শতাংশ টিকাকরণ সম্পন্ন হয়েছে।
করোনার সঙ্গে ভারতে বাড়ছে ওমিক্রনের সংখ্যা। তাতে আতঙ্কিত না হতেই দেশবাসীকে এদিন অনুরোধ করেছেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর দাবি, ওমিক্রন ঠেকাতে তাঁর সরকার সর্বত্র ভাবে তৈরি। বিশেষ করে দেশের প্রতিটি হাসপাতালে বাড়ানো হয়েছে আইসোলেশন বেডের সংখ্যা। এছাড়াও প্রতিটি আইসিইউকে তৈরি রাখা হয়েছে। করোনা ঠেকাতে বিশ্বকে পথ দেখিয়েছিল ভারত। জোড়া টিকা উৎপাদনে তামাম দুনিয়ার কাছে ভারত আজ উদাহরণ। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুব দ্রুত ভারতে চালু হবে ন্যাজল এবং ডিএনএ টিকাও।