লাউ মুখে রোচে না ছেলের, একথা জেনেও সেই সবজিই রান্না করছিলেন মা। আর তাতেই মাথায় ‘আগুন’ জ্বলে যায় ছেলের। লাউ রান্নার ‘অপরাধে’ প্রথমে মাকে মারধর। তারপর দোতলা থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে সুরিন্দর সিং নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে লুধিয়ানার অশোক নগরে। ঘটনার তদন্তে নেমে ২৬ বছরের সুরিন্দরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মৃতা চরণজিৎ কৌরের পরিবার সূত্রে খবর, সোমবার দুপুরে খাওয়ার সময় লাউ রান্না করা নিয়ে মা ও ছেলের মধ্যে বচসা বাধে। লাউ অপছন্দ বলে মাকে অন্য কিছু রান্না করার ‘নির্দেশ’ দেয় ছেলে। মা তাতে রাজি না হওয়ায় রাগ মাথায় উঠে যায় সুরিন্দরের। অভিযোগ, এরপরেই মা’কে লাঠি দিয়ে মারতে শুরু করে সে। বাবা ঠেকাতে গেলে তাঁকেও দু’ঘা বসিয়ে দেয় সুরিন্দর। এরপর ছেলের হাত থেকে বাঁচতে দোতালায় পালান মা। কিন্তু সেখানে গিয়েও হল না শেষ রক্ষা, পরে দোতালা থেকেই চরণজিৎ-কে ছেলে ঠেলে ফেলে দেন বলে অভিযোগ।
তড়িঘড়ি চরণজিৎ দেবীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, মঙ্গলবার চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। স্থানীয়দের কথায়, বরাবরই বদরাগী সুরিন্দর, এর আগেও রাগের জন্য চাকরি গিয়েছে তাঁর। দিন কয়েক আগে তাঁর স্ত্রীও ছেড়ে যাওয়ায় সুরিন্দর মানসিক অবসাদে রয়েছেন বলেও জানান তারা। তদন্তে নেমে সুরিন্দরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।