রোগী নিয়ে যাচ্ছিলেন ওড়িশার অ্যাম্বুলেন্স চালক। হঠাৎ থেমে গেল গাড়ি। অ্যাম্বুল্যান্স থেকে বেরিয়ে এসে রোগীর গ্লাসে মদ ঢেলে দিলেন ওই প্রৌঢ় চালক। ঢাললেন নিজের গ্লাসেও। এক ঢোকে শেষ করে ফেললেন নিজের গ্লাসের মদ। পায়ে প্লাস্টার নিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সের বেডে শুয়ে মদ খাচ্ছেন রোগীও। ওই অ্যাম্বুল্যান্সের ভিতরে বসে থাকতে দেখা যায় এক মহিলা আর শিশুকেও।
ওই রোগী মদ খাওয়ার সময় অভিযুক্ত অ্যাম্বুল্যান্স চালককে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। অ্যাম্বুল্যান্স চালককে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি দাবি করেন, রোগী নিজে থেকেই মদ চেয়েছিলেন।
ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার তিরতল এলাকায়। এই ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় ব্যাপক চাঞ্চল্য। অ্যাম্বুল্যান্স চালকের এ রকম দায়িত্বজ্ঞানহীন মনোভাবের জন্য প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের দিকেও।
জগতসিংপুরের জেলা চিফ মেডিক্যাল অফিসার কে দাস সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ওটি ছিল একটি প্রাইভেট অ্যাম্বুল্যান্স। তাই বেশিকিছু বলতে পারব না। তবে পুলিসের উচিত ওই অ্য়াম্বুল্যান্স চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।
যে এলাকার ওই ঘটনা সেই তিরতল থানার আইসি যুগল কিশোর দাস বলেন, এনিয়ে এখনও কোনও অভিযোগ হয়নি। এফআইআর হলেই একমাত্র তদন্ত হতে পারে।