প্রয়াগরাজ-কাণ্ডে(Prayagraj Incident) দুই মহিলার ধর্ষণের(Rape & Murder Case) অভিযোগ নিয়ে কেন তদন্ত শুরু করেনি উত্তরপ্রদেশ পুলিশ(UP Police)। এবার এই প্রশ্ন তুলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের(NHRC) দারস্থ তৃণমূল(TMC)। তাঁদের দাবি, অভিযোগপত্রে ধর্ষণের ধারাও যুক্ত করা হয়নি। শুক্রবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে এই বিষয়ে একটি স্মারকলিপি পেশ করে তৃণমূলের সত্যানুসন্ধান কমিটি(TMC Fact Finding Team)।
শুক্রবার সত্যানুসন্ধান কমিটির তরফে মানবাধিকার কমিশনকে এই স্মারকলিপি জমা দেন তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন(TMC MP Dola Sen), জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলে(Saket Gokhle) এবং উত্তরপ্রদেশের তৃণমূল নেতা ললিতেশ ত্রিপাঠী। এই স্মারকলিপিতে সত্যানুসন্ধান কমিটির আরও দুই সদস্য বনগাঁর প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর(TMC Leader Mamata Bala Thakur) এবং রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডিও সই করেছেন। ওই স্মারকলিপিতে মোট ১২টি বিষয়ের উল্লেখ করেছেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা(TMC)।
স্মারকলিপিতে তৃণমূলের সত্যানুসন্ধান কমিটির দাবি, গ্রামবাসী এবং প্রয়াগরাজ জেলার গঙ্গাপারের পুলিশ সুপারের(Prayagraj Police Super) সামনেই তাঁদের কাছে ওই পরিবারের সদস্য সুনীল যাদব অভিযোগ করেছিলেন যে তাঁর স্ত্রী এবং ২২ বছরের প্রতিবন্ধী বোনকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও এফআইআরে ধর্ষণের ধারা (ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারা) যুক্ত করা হয়নি। ঘটনার পর ওই দু’জনের নগ্ন দেহ উদ্ধার হয়েছিল। এমনকি, তাঁদের জামাকাপড় ছেঁড়া ছিল এবং যৌনাঙ্গে রক্তপাতের চিহ্ন মিলেছিল বলেও অভিযোগ।
তৃণমূলের(TMC) দাবি, সুনীলের অভিযোগ অনুযায়ী ধর্ষণের ধারা যুক্ত না করেই তা খতিয়ে দেখতে এই দু’জনের শারীরিক নমুনা সংগ্রহ করে ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। যা একেবারেই বেআইনি। স্মারকলিপিতে সত্যানুন্ধান কমিটির আরও অভিযোগ, এই ঘটনায় যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন সুনীল, তাঁকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। এই সমস্ত বিষয়কে তুলে ধরেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দারস্থ হয়েছে তৃণমূল(TMC Fact Finding Team)। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যসচিব, ডিজি এবং প্রয়াগরাজের সিনিয়র পুলিশ সুপারের কাছ থেকে জবাব চাওয়া উচিত বলেও এই স্মারকলিপিতে দাবি জানিয়েছে তৃণমূল(TMC)।