দেশজুড়ে একের পর এক হাড় হিম করা অপরাধের ঘটনা। দিল্লির শ্রদ্ধাকাণ্ড যখন চারপাশ তোলপাড়, আরও এক ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী উত্তরপ্রদেশের সীতাপুর। এক মহিলাকে খুন করে দেহ কুচিকুচি করে দূরে ফেলে দিল তাঁর স্বামীই। গোটা ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রধান অভিযুক্ত হিসাবে দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ৮ নভেম্বর সীতাপুর জেলার রামপুর কালান এলাকা থেকে এক যুবতীর খণ্ড-বিখণ্ড দেহ উদ্ধার করা হয়। দেহের একাধিক টুকরো বিভিন্ন জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে থাকায় প্রথমে সমস্যা হয়। পরে জানা গিয়েছে, দেহটি জ্যোতি ওরফে স্নেহা নামক এক যুবতীর। স্বামীর নাম পঙ্কজ মৌর্য। স্ত্রীর কাটা দেহ উদ্ধার নিয়ে একাধিক গল্প ফাঁদলেও, বারংবার বয়ান বদল করায় স্বামীর কথা বিশ্বাস করেনি পুলিশ। পরে কড়া জেরার মুখে পড়ে পঙ্কজ স্বীকার করে নেন তিনিই স্ত্রীকে খুন করেছেন। এক বন্ধুর সাহায্য নিয়ে সেই দেহ বিভিন্ন জায়গায় ফেলে আসে। আশেপাশে জঙ্গলের বুনো জন্তু এসে সেই দেহের টুকরোগুলি খেয়ে নেবে, এমনটাই ভেবেছিল পঙ্কজ।
অভিযুক্তের দাবি, তাঁর স্ত্রী স্নেহা ওরফে জ্যোতি নিয়মিত মদ্য পান করে অন্যের বাড়িতে থাকত। এই নিয়ে ১০ বছরের বিবাহিত জীবনে অশান্তি লেগেই থাকত। সেই রাগেই তিনি এক বন্ধুর সাহায্য নিয়ে স্ত্রীকে খুন করেন। স্বামী এবং তার বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।