বিরোধীদের কার্যত গুঁড়িয়ে দিয়ে উত্তরপ্রদেশে (Uttar PradePradesh) বিপুল জয় পেল বিজেপি। আরও একবার মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি দখল করতে চলেছেন যোগী আদিত্যনাথ। যদিও ২০১৭ সালের তুলনায় আসন কমেছে গেরুয়া শিবিরের।
কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে হওয়া কৃষক আন্দোলনের ভালো প্রভাব ছিল পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে। ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের প্রভাবশালী নেতারাও বিজেপির বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিছুই কাজে এল না। দাপটেই ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন করল বিজেপি।
আরও পড়ুন: Assembly Election Results 2022: যোগীরাজ্যে ফের গেরুয়া ঝড়, সরকার গড়ার পথে বিজেপি
উত্তরপ্রদেশের লড়াইয়ের দিকে নজর ছিল গোটা দেশের। এই রাজ্যে রয়েছে ৮০টি লোকসভা (Loksava) আসন। অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav) জয় ছিনিয়ে নিতে পারেন কি না, সেদিকে নজর ছিল বিরোধী নেতাদের। উত্তরপ্রদেশে প্রচারে গিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee)। দেখা গেল, সেই প্রচারে কাজ হয়নি।
ভোট প্রচারে বার বার এসেছে সাম্প্রদায়িক প্রসঙ্গ। ৮০ শতাংশ এবং ২০ শতাংশের কথা বলেছেন আদিত্যনাথ। বিভাজনের রাজনীতি করার অভিযোগে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। ফলাফল অবশ্য আদিত্যনাথের প্রচারকেই ভোটের অঙ্কে বৈধতা দিচ্ছে।
উত্তরপ্রদেশের ফলাফলের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক কংগ্রেস (Congress) এবং বহুজন সমাজ পার্টির (BSP) নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর (Priyanka Gandhi) নেতৃত্বে লড়তে নেমে শোচনীয় ফলাফল কংগ্রেসের। গান্ধী পরিবারের গ্রহনযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন আরও জোরালো হল।
২০০৭ সালে অভূতপূর্ব সোস্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জোরে ক্ষমতায় এসেছিলেন মায়াবতী (Mayawati)। দেড় দশক পরে কার্যত গুরুত্বহীন হয়ে গেলেন তিনি।