বাংলার প্রায় প্রতিটা ঘরেই ছোট হোক, বড় হোক, বাগদেবীর (Saraswati Temple) আরাধনা হয় মাঘ পঞ্চমীতে। দেশজুড়ে বিদ্যাদেবীর মন্দির কিন্তু রয়েছে হাতে গোনা।
জেনে নেওয়া যাক সেরকম কিছু বাগদেবীর মন্দিরের কথা।
শ্রীঙ্গেরি শরদম্বা মন্দির
কর্ণাটকের চিকমাগালুরে শ্রীঙ্গেরি শরদম্বা মন্দির (Sringeri Saradamba) অবস্থিত। তুঙ্গভদ্রা নদীর তীরে এই মন্দির। চতুর্দশ শতাব্দীতে তৈরি সরস্বতীর মূর্তিটি চন্দন কাঠের।
পুষ্করের সরস্বতী মন্দির
পুষ্করেই বিশ্বের একমাত্র ব্রহ্মা মন্দিরটি অবস্থিত, আমরা সকলেই জানি। স্বাভাবিক ভাবেই ব্রহ্মাপত্নী সরস্বতীর মন্দিরও (Pushakar saraswati temple) রয়েছে ব্রহ্মা মন্দিরের পাশেই।
আমাদের সরস্বতী পুজো, আর সারা ভারতের বসন্ত পঞ্চমী
মাইহারের শারদা দেবীর মন্দির
মধ্যপ্রদেশের সাতানা জেলার চিত্রকুটের মাইহারে এই মন্দির (Maihar sarada temple)। স্থানীয়রা একে মাইহার দেবীর মন্দিরও বলেন। পাহারের ওপরে ১০৬৩টি ধাপ চড়ে তবেই দেবীর দর্শন পেতে হয়। বয়স্ক দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে রোপওয়ে পরিষেবা। বসন্ত পঞ্চমীতে এখানে প্রসাদ থাকে পুডিং।
কোট্টায়ামের পানাচিক্কাদু মন্দির
স্থানীয়দের বিশ্বাস, কেরালার এই মন্দিরের (kottayam panachikkadu temple) অদৃশ্য যক্ষী রয়েছে। বছরভর দর্শনার্থীদের জন্য মন্দির খোলা থাকলেও বড় করে উদযাপন হয় নবরাত্রির সময়।
বাসারের জ্ঞান সরস্বতীর মন্দির
পুরাণ মতে প্রচলিত রয়েছে ৫০০০ বছর আগে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের পর গোদাবরীর তীরে থাকতেন বেদব্যাস আর বিশ্বামিত্র । গোদাবরীর তীরেই ধ্যানে বসতেন তাঁরা। পরে রাজা বিজিয়ালুড়ু তাঁদের জন্য জ্ঞান সরস্বতীর (Gana saraswati temple) মন্দির তৈরি করেন।