বেঙ্গালুরুর মাটিতে নিউজিল্যান্ডের হয়ে প্রথম টেস্ট খেলতে নেমেছে টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু দ্বিতীয় দিনেই চোটের কারণে মাঠ ছেড়েছিলেন ঋষভ পন্থ। তাঁর চোট এতটাই গুরুতর ছিল যে, খোঁড়াতে খোঁড়াতে মাঠ ছাড়েন পন্থ। যা দেখে অনুরাগীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ে। জল্পনা তৈরি হয় চলতি টেস্টে আর মাঠে নামতে পারবেন না তিনি। সেই জল্পনা কিছুটা সত্যি করে তৃতীয় দিনেও মাঠে নামতে পারেননি তিনি।
প্রথম দিনের ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মেলনে ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা জনিয়েছিলেন, বল সরাসরি গিয়ে পন্থের সেই হাঁটুতে লেগেছে, যেখানে তাঁর অস্ত্রোপচার হয়েছিল। পন্থের হাঁটু ফুলে গিয়েছে। যন্ত্রণাও রয়েছে ঋষভ পন্থের। ফলে কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়ে তাঁকে মাঠের বাইরে রাখা হয়। এমনকি চোটের কারণে ঋষভ নিজেও কোনও ঝুঁকি নিতে চাননি। কিন্তু রোহিত আশাবাদী ছিলেন তৃতীয় দিনে মাঠে নামতে পারবেন তিনি। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। বিশ্রাম নেওয়ার পরেও তৃতীয় দিন মাঠে নামতে পারেননি ঋষভ।
২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর। বর্ষবরণের রাতে ভয়ংকর খবরে শিউরে উঠেছিল ক্রিকেট বিশ্ব। কারণ ওই রাতেই উত্তরাখণ্ডের রুরকিতে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন ভারতীয় দলের উইকেট কিপার ঋষভ পন্থ। সেদিন রাতে নিজেই গাড়ি চালিয়ে দিল্লি থেকে দেরাদুন যাচ্ছিলেন পন্থ। পথেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি। দিল্লি-দেরাদুন হাইওয়েতে রুরকির কাছে নারসান বর্ডারে পন্থের গাড়ি ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। সঙ্গে সঙ্গে পন্থকে ভর্তি করানো হয় সক্ষম সুপারস্পেশ্যালিটি হাসপাতাল এবং ট্রমা সেন্টারে। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে পন্থকে রাখা হয় দেরাদুনের ম্যাক্স হাসপাতালে।
রিপোর্টে জানা যায়, কপাল, হাঁটু, পিঠ-সহ শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত লেগেছিল ঋষভের। এরপরেই বিসিসিআই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে পন্থকে মুম্বই নিয়ে আসা হয়েছিল। সেখানে কোকিলাবেন হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়। এরপর একাধিক অস্ত্রপচার এবং রিহ্যাবের পর্ব কাটিয়ে চলতি বছর আইপিএলে ফের ২২ গজে ফেরেন তিনি। এরপর টি-২০ বিশ্বকাপও খেলেছেন তিনি।