জাপানের পর এবার দক্ষিণ কোরিয়া। বিশ্বকাপের নক-আউটে এশিয়ার অন্য়তম ফুটবল শক্তি। বৃহস্পতিবার রাতে স্পেনকে হারিয়ে নকআউটে উঠেছিল জাপান। আর শুক্রবার সন্ধ্যায় পর্তুগালকে দুই-এক গোলে হারিয়ে প্রি-কোয়ার্টারে উঠলেন কোরিয়ানরা। ৯১ মিনিটে কোরিয়ার জয়ের নায়ক সুপারসাব চো হি মিন। ম্য়াচের পাঁচ মিনিটে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে যান রোনাল্ডোরা। প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে নেমে প্রথম গোল রিকার্ডো হোরর্তার। ২৭ মিনিটেই সমতায় ফেরে দক্ষিণ কোরিয়া। কিমের গোলে বিশ্বকাপের নকআউটের স্বপ্ন দেখা শুরু হয়। বিশ্বকাপে পর্তুগাল বনাম দক্ষিণ কোরিয়া ম্য়াচ ছিল দুই পর্তুগিজ কোচের লড়াই। মাঠে দাঁড়িয়ে বিশ্ব ফুটবলকে ফার্নান্দো স্য়ান্টোস দেখালেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো পরবর্তী পতুর্গালের রূপরেখা। এদিন ম্য়াচে এমন চার ফুটবলারকে মাঠে নামালেন যাঁদের এই ম্য়াচেই অভিষেক হল। অন্য়দিকে গত ম্য়াচে লাল কার্ড দেখে গ্য়ালারি থেকেই এই ম্য়াচ দেখতে হল দক্ষিণ কোরিয়ার দুরন্ত জয় দেখলেন পর্তুগিজ কোচ ও লুইস ফিগোর প্রাক্তন সতীর্থ পাওলো বেন্টো।
কারা যেন বলেছিলেন, রোনাল্ডো নাকি দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে অনিশ্চিত। তাঁদের কথায় পাত্তাই দেননি পর্তুগিজ কোচ ফার্নান্দো স্যান্টোস। নক-আউট নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। এটা জেনেও শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে সিআর সেভেনকে প্রথম একাদশেই রেখেছিলেন পর্তুগিজ কোচ। কারণ, তিনি চেয়েছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে গোল সংখ্য়া বাড়িয়ে নিতে। আর এর জন্য তাঁর হাতে সেরা অস্ত্র অবশ্যই ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। ফ্রান্স, স্পেনের মতো পর্তুগিজ কোচও দলে পরিবর্তন এনেছেন। প্রথম একাদশে রাখেননি ব্রুনো ফার্নান্দেজ এবং বার্নাডো সিলভাকে। এই ম্য়াচেই অভিষেক হয়েছে পর্তুগালের গোলদাতা রিকার্ডো হোরর্তার। উনিশ বছরের অ্য়ান্টনি সিলভাকেও পরখ করছেন স্যান্টোস।
ম্য়াচের প্রথমার্ধে এবং দ্বিতীয়ার্ধে দুটি সহজ সুযোগ পেয়েছিলেন রোনাল্ডো। দুটোই নষ্ঠ করলেন। ম্যাচের ৬৪ মিনিটেই তাঁকে তুলে নিলেন পর্তুগিজ কোচ। তাতেও অসুবিধা হল না। নক-আউটে উঠল পর্তুগাল। সঙ্গে গেল এশিয়ার অন্য়তম সেরা ফুটবল শক্তি দক্ষিণ কোরিয়া।