সিরিজের শেষ ম্যাচ বাকি থাকতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের (India Vs West Indies) বিরুদ্ধে সিরিজ জিতল ভারত। বাঁ হাতি অলরাউন্ডার অক্ষর পটেলের ৩৫ বলে অপরাজিত ৬৪ দলকে জেতাল।
ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চালিয়ে খেলতে শুরু করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার। হোপের সঙ্গে মিলে কাইল মেয়ার্স পাওয়ার প্লে-তে দ্রুত রান করছিলেন। ভারতের হয়ে প্রথম এক দিনের ম্যাচ খেলতে নামা আবেশ খানকে তাঁরা মূলত নিশানা করেছিলেন। প্রথম তিন ওভারেই আবেশ ৪০ রান দিয়ে ফেলেন। এরপর ভারতকে ম্যাচে ফেরান স্পিনাররা। দীপক হুডা তাঁর প্রথম বলেই মেয়ার্সকে ৩৯ রানের মাথায় আউট করেন। তিন নম্বরে নামা শামরা ব্রুকসকে ৩৫ রানের মাথায় আউট করেন অক্ষর পটেল। ব্রেন্ডন কিংকে শূন্য রানে ফেরান যুজবেন্দ্র চহাল।
পরপর তিন উইকেট পড়ে যাওয়ায় হোপের সঙ্গে জুটি বাঁধেন অধিনায়ক পুরান। প্রায় প্রতি ওভারে একটি করে বাউন্ডারি আসছিল। ফলে রানের গতি কমেনি। এক বার হাত জমে যাওয়ার পরে বড় শট খেলতে শুরু করেন পুরান। বিশেষ করে স্পিনারদের মারছিলেন তিনি। ৭৪ রানের মাথায় উইকেট ছেড়ে খেলতে গিয়ে শার্দুল ঠাকুরের বলে বোল্ড হন পুরান।
Savings Scheme:ডাকঘরের এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করে ৫ বছরে পান ১৪ লাখ টাকা!
পুরান না পারলেও শতরান করলেন হোপ। চহালের বলে ছক্কা মেরে এক দিনের ক্রিকেটে নিজের ১৩তম শতরান করলেন এই ডান হাতি ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ১১৫ রান করে শার্দুলের বলে আউট হন। রবিবারের ম্যাচে ভারতের সব থেকে সফল বোলার শার্দুল। ৫৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তিনি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ধীরেসুস্থে শুরু করেন শিখর ধবন। অন্য ওপেনার শুভমন গিল ছন্দে থাকলেও রান তোলার গতি খুব বেশি ছিল না। মাঝে বৃষ্টির জন্য বেশ কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ থাকে। পরে খেলা শুরু হলে মাত্র ১৩ রান করে আউট হন ধবন। শুভমনও বড় রান করতে পারেননি। ৪৩ রান করে আউট হন তিনি। রান পাননি সূর্যকুমার যাদবও। তিন উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে জুটি বাঁধেন শ্রেয়স আয়ার ও সঞ্জু স্যামসন। দু’জনে মিলে দলের রানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। দুই ব্যাটারই অর্ধশতরান করেন। দেখে মনে হচ্ছিল তাঁরা ভারতকে জয়ের কাছে নিয়ে যাবেন। কিন্তু ৬৩ রান করে শ্রেয়স আউট হন আর সঞ্জু করেন ৫৪ রান। পাঁচ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় ভারত।
শেষ ১০ ওভারে জয়ের জন্য ভারতের দরকার ছিল ১০০ রান। উইকেটে ছিলেন দীপক হুডা ও অক্ষর পটেল। প্রতি ওভারে ১০ রান করে করতে হত ভারতকে। এই অবস্থায় হাত খোলা শুরু করেন অক্ষর। বাঁ হাতি ব্যাটারকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন দীপক। তিনি ৩৩ রান করে আউট হলেও অক্ষর উইকেটে ছিলেন। আলজারি জোসেফের এক ওভারে খেলার ছবিটা বদলে দেন অক্ষর। মাত্র ২৭ বলে এক দিনের ক্রিকেটে প্রথম অর্ধশতরান করেন অক্ষর। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৮ রান দরকার ছিল ভারতের। হাতে ছিল মাত্র ২ উইকেট। প্রথম বলে রান হয়নি। পরের বলে ১ রান নেন অক্ষর। তৃতীয় বলে সিঙ্গল নেন মহম্মদ সিরাজ। চতুর্থ বলে ছক্কা মেরে দলকে জিতিয়ে দেন অক্ষর।