প্রিয়ঙ্কা গাঁধী লখিমপুর পৌঁছতে পারেননি। রাস্তাতেই তাঁকে আটকে সীতাপুরে কার্যত গৃহবন্দি এবং গ্রেফতার করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশেরই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবকে আটকে দিয়েছে যোগী প্রশাসন। কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধীকেও লখিমপুর যাওয়ার অনুমতি দিল না উত্তরপ্রদেশ সরকার।
কিন্তু এর মধ্যেই মঙ্গলবার লখিমপুর খেরিতে যান তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁচ সাংসদ। তৃণমূল সাংসদরা দুটি দলে ভাগ হয়ে পৌঁছান সেখানে। একটি দলে ছিলেন সুস্মিতা দেব, কাকলি ঘোষ দস্তিদার; অন্য দলে দোলা সেন, প্রতিমা মন্ডল এবং আবীররঞ্জন বিশ্বাস। সোমবার সকাল ছ'টায় কলকাতা থেকে বিমানে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হন তৃণমূল সাংসদরা। আটটা নাগাদ দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছান তাঁরা। এরপর সড়কপথে লাখিমপুরের উদ্দেশে রওনা হন তাঁরা।
পথে ১২/১৩টি জায়গায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ এবং প্রশাসনের তরফে পথ আটকানো হয় তৃণমূল সাংসদের। যদিও দীর্ঘ সময় পর সোমবার রাতেই লখিমপুর খেরিতে পৌঁছয় প্রতিনিধি দল। সোমবার রাত লখিমপুরে কাটিয়ে মঙ্গলবার সকালে মৃত কৃষকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান তৃণমূল সাংসদরা। সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ ভগবন্তপুর গ্রামে মৃত কৃষক লভপ্রীত সিংয়ের বাড়িতে পৌছায় তাঁরা। এরপর সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ ধারারা মহকুমার লাভারি গ্রামে নিশাত্তর সিংয়ের বাড়ি পৌঁছন তাঁরা। দুপুর সাড়ে বারোটা পর্যন্ত সেখানে ছিল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। এরপর তাঁরা আবার লখিমপুর খেরি উদ্দেশে রওনা হন।