খবর এবং তথ্যের জনপ্রিয় একটি ভারতীয় প্ল্যাটফর্ম- Editorji । ২০১৮ সালে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় সাংবাদিক বিক্রম চন্দ্রা'র নেতৃত্বে এই ডিজিটাল  প্ল্যাটফর্মের যাত্রা শুরু। অল্প সময়ের মধ্যেই দেশের দর্শক এবং শ্রোতাদের নজরে এসেছে এই প্ল্যাটফর্ম। অ্যান্ড্রয়েড এবং iOS অ্যাপ্লিকেশন আছে, এমন সমস্ত মোবাইল ফোনেই Editorji -র সব খবর দেখা, পড়া এবং শোনা যায়।

ABOUT US

about us editorji

Editorji বাংলা:  Get all latest breaking news videos in Bengali on Editorji. Watch latest Bengali News (বাংলা খবর) videos on politics, entertainment, sports, lifestyle, Business, Kolkata city news and more. 

Editorji বাংলা: Bengali Video News, Latest Bangla News, Breaking News in Bengali | Editorji

+91 11 4035 6666 / info@editorji.com
3rd floor, Plot B, Khasara no 360, Sultanpur, New Delhi, Delhi 110030
<a title="mail to us" href="mailto:info@editorji.com">Send Feedback</a>

REACH US

Contact for any questions, suggestions, comments, feedback or advertisement on Editorji.com, we are always looking forward to hearing from you.

Contact Us for Feedback, Suggestions and Advertising 

Today Gold-Silver Price

Omicron BF7 in India

Covid 19 New variant

Bank Holiday in January 2023

West Bengal Government Jobs

West Bengal Weather update 

Editorji-র যাবতীয় কনটেন্ট একইসঙ্গে

ভারতের খাওয়া দাওয়া সংস্কৃতির সঙ্গে বেশ কিছুটা একাত্ম বোধ করেন নিলা, বিদেশ বিভূঁই মনেই হয় না। আর এপার বাংলার সঙ্গে তো মনের টান। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বলে কথা। ঝরঝরে বাংলায় এডিটরজিকে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার দিলেন শাম্মি ইসলাম।

Miss World 2024: Editorji Bangla's exclusive interview with Miss Bangladesh Shammi Islam Nila, - Editorji Exclusive: ভারতে মিস ওয়র্ল্ডের আসর, আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাতেই কথা বলবেন বরিশালের শাম্মি ইসলাম

Editorji Exclusive: ভারতে মিস ওয়র্ল্ডের আসর, আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাতেই কথা বলবেন বরিশালের শাম্মি ইসলাম

ভারতের খাওয়া দাওয়া সংস্কৃতির সঙ্গে বেশ কিছুটা একাত্ম বোধ করেন নিলা, বিদেশ বিভূঁই মনেই হয় না। আর এপার বাংলার সঙ্গে তো মনের টান। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বলে কথা। ঝরঝরে বাংলায় এডিটরজিকে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার দিলেন শাম্মি ইসলাম।

২৮ বছর পর ফের বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতার আসর বসছে ভারতে. অন্য নানা দেশের প্রতিযোগীদের সঙ্গে রয়েছেন বাংলাদেশের শাম্মি ইসলাম নীলা।&nbsp;
পড়শি দেশে বসেছে মিস ওয়র্ল্ডের আসর। ভারতের খাওয়া দাওয়া সংস্কৃতির সঙ্গে বেশ কিছুটা একাত্ম বোধ করেন নীলা, বিদেশ বিভূঁই মনেই হয় না। আর এপার বাংলার সঙ্গে তো মনের টান। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বলে কথা। ঝরঝরে বাংলায় এডিটরজিকে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার দিলেন শাম্মি ইসলাম।
২০২৪-এও বিশ্বজুড়ে বহু মানুষকে এখনও ভিক্ষাবৃত্তি করতে হয়, শাম্মি ইসলাম নীলা স্বপ্ন দেখেন, তাঁর হাতে ক্ষমতা থাকলে দুনিয়া বদলে দেবেন। সেই নিয়ে সরব হয়তে চান মিস ওয়র্ল্ডের মঞ্চেই। আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজের মাতৃভাষায় কিছু না কিছু বলবেনই, বদ্ধপরিকর নীলা। শাড়িতে সেজে হয়ে উঠেছেন মোহময়ী।&nbsp;
প্রতিযোগিতায় হারা জেতা থাকবেই। তবে, সৌন্দর্যের ছক বাঁধা সংজ্ঞা পেরিয়ে ভাবনায়, মননে বেশ খানিকটা এগিয়ে গিয়েছেন শাম্মি এবং তাঁর সহপ্রতিযোগীদের সকলেই।&nbsp;
&nbsp;
&nbsp;

শুধু ছবি দেখতেই বাংলা দেশ যাবেন, এমনটাও ভেবে ফেলেছিলেন অনেকেই। এমন সময় কলকাতায় আয়োজিত হল চতুর্থ বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব।

Editorji Bangla Exclusive: audiences' reaction after watching hawa at nandan - Editorji Bangla Exclusive: নন্দনজুড়ে 'হাওয়া' চঞ্চল! সাক্ষী থাকল এডিটরজি বাংলা

Editorji Bangla Exclusive: নন্দনজুড়ে 'হাওয়া' চঞ্চল! সাক্ষী থাকল এডিটরজি বাংলা

শুধু ছবি দেখতেই বাংলা দেশ যাবেন, এমনটাও ভেবে ফেলেছিলেন অনেকেই। এমন সময় কলকাতায় আয়োজিত হল চতুর্থ বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব।

শুধু হাওয়া নয়, প্রবল ঝোড়ো হাওয়া। গত পাঁচ দিন ধরে এক উত্তাল হাওয়ার দাপট চলেছে কলকাতার নন্দন চত্ত্বরে। বুধবার সকালে তার সাক্ষী থাকল এডিটরজি বাংলা।&nbsp;
ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর 'হাওয়া' ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলেছে এপার বাংলার মানুষের কাছেও। শুধু ছবি দেখতেই বাংলা দেশ যাবেন, এমনটাও ভেবে ফেলেছিলেন অনেকেই। এমন সময় কলকাতায় আয়োজিত হল চতুর্থ বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। সেখানেই ৫ টি শো ছিল হাওয়ার। প্রথম দিনেই নন্দনের বাইরে হাওয়া দেখতে দীর্ঘ লাইন পড়ে, প্রায় এক কিলোমিটার লম্বা। ক্রমেই ছবি নিয়ে বাংলা সিনেমাপ্রেমীদের মধ্যে উন্মাদনা আকাশ ছোঁয়।&nbsp;
প্রেক্ষাগৃহ থেকে বেরিয়ে কী বলছেন দর্শকরা? শুনল এডিটরজি বাংলা।&nbsp;
কম বেশি সকলের প্রতিক্রিয়াই এক, হল থেকে যা দেখে বেরোলেন, তা একটা শব্দে বর্ননা করা যায় না, দেখার আগেও ছবি সম্পর্কে অজস্র কথা শুনেছেন, তবু দেখার পর যেন বিশ্বাস হচ্ছে না, এমন একটা ছবি সত্যিই হয়েছে, বাংলা ভাষায়।&nbsp;

অষ্টমীর সকাল থেকেই অঞ্জলির ভিড় নজরে এসেছে। অঞ্জলি দিয়ে মায়ের কাছে কী প্রার্থনা করলেন সকলে? প্রায় প্রত্যেকের মুখেই শোনা গিয়েছে একই কথা। 

Haridevpur Vivekananda Park Athletic Club Durga Paja 2022 - Editorji Exclusive: 'ভিন্ন দৃষ্টিকোণ-এ এবারের পুজোয় দর্শক টানতে তৈরি বিবেকানন্দ পার্ক অ্যাথলেটিক ক্লাব

Editorji Exclusive: 'ভিন্ন দৃষ্টিকোণ-এ এবারের পুজোয় দর্শক টানতে তৈরি বিবেকানন্দ পার্ক অ্যাথলেটিক ক্লাব

অষ্টমীর সকাল থেকেই অঞ্জলির ভিড় নজরে এসেছে। অঞ্জলি দিয়ে মায়ের কাছে কী প্রার্থনা করলেন সকলে? প্রায় প্রত্যেকের মুখেই শোনা গিয়েছে একই কথা।

গত ২ বছর করোনা গ্রাসে ত্রাহি ত্রাহি রব উঠেছিল বিশ্বজুড়ে। বাদ পড়েনি বাংলাও। করোনা নামক অসুরের হাতে পড়ে বহু আপনজনকে হারিয়েছে বঙ্গবাসী। তবুও উৎসবের সুর ভুলতে পারেনি। তবে চারপাশের পরিবেশে এসেছে বদল। যার ছোঁয়া লেগেছে বিবেকানন্দ পার্ক অ্যাথলেটিক ক্লাবের দূর্গা প্রতিমাতেও। এবারে তাঁদের থিম- ভিন্ন দৃষ্টিকোণ।
এডিটরজি বাংলার মুখোমুখি হয়ে ক্লাবের এক সদস্য বিদ্যুৎকুমার রায় জানালেন, তাঁদের এবারের থিম সাবেকি ভাবনার পরিবর্তন। যেন এক ভাঙা মন্দিরের ভেতর থেকে উঠে আসছে নতুন কোনও এক মন্ডপসজ্জা। তাঁর কথায়, এই মন্ডপের অভিনবত্বই ভিন্নতা এনেছে প্রতিমাতেও। শিল্পী সুশান্ত পালের অক্লান্ত পরিশ্রমে তিল তিল করে গড়ে উঠেছে প্রতিমা। পাশাপাশি, মন্ডপটি তৈরি হয়েছে বাঁশ-লোহার সংমিশ্রণে। লোহার তৈরি বিভিন্ন কারুকাজ রীতিমতো তারিফের দাবি রাখে।&nbsp;
আরও পড়ুন- <a href="https://www.editorji.com/bengali/lifestyle-news/durga-puja-2022-kumari-puja-at-jalpaiguri-ramkrishna-mission-1664786462350">Jalpaiguri Kumari Puja 2022 :জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনের কুমারী আরাধ্যা, ষোড়শ উপাচারে সম্পন্ন কুমারী পুজো</a>
অষ্টমীর সকাল থেকেই অঞ্জলির ভিড় নজরে এসেছে। অঞ্জলি দিয়ে মায়ের কাছে কী প্রার্থনা করলেন সকলে? প্রায় প্রত্যেকের মুখেই শোনা গিয়েছে একই কথা। করোনাপর্ব মেটার পর আর যেন এমন কোনও অতিমারীর সম্মুখীন না হওয় বাংলা, সেই প্রার্থনাই করেছেন সকলে। প্রত্যেকেই চান, ফের জীবনের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরুক রাজ্য তথা দেশ।&nbsp;&nbsp;

দুর্গা পুজোর মহাষ্টমীতে কুমারী পুজোর রীতি অনেক প্রাচীন। প্রত্যেক বছর বেলুড় মঠে সাড়ম্বরে কুমারী পুজো হয়। শুধু বেলুড় মঠ নয়, কুমারী পুজোর নিয়ম মানা হয় রাজ্যের একাধিক মঠ, মিশন বা বারোয়ারিতেও। 

Mahastami Kumari shares Experience with Editorji Bangla - Kumari Puja 2022: কুমারী হওয়ার অভিজ্ঞতা কেমন, ছোট্ট খুদের কাছে শুনল এডিটরজি বাংলা

কুমারী হওয়ার অভিজ্ঞতা কেমন, ছোট্ট খুদের কাছে শুনল এডিটরজি বাংলা

দুর্গা পুজোর মহাষ্টমীতে কুমারী পুজোর রীতি অনেক প্রাচীন। প্রত্যেক বছর বেলুড় মঠে সাড়ম্বরে কুমারী পুজো হয়। শুধু বেলুড় মঠ নয়, কুমারী পুজোর নিয়ম মানা হয় রাজ্যের একাধিক মঠ, মিশন বা বারোয়ারিতেও।

দুর্গা পুজোর মহাষ্টমীতে কুমারী পুজোর রীতি অনেক প্রাচীন। প্রত্যেক বছর বেলুড় মঠে সাড়ম্বরে কুমারী পুজো হয়। শুধু বেলুড় মঠ নয়, কুমারী পুজোর নিয়ম মানা হয় রাজ্যের একাধিক মঠ, মিশন বা বারোয়ারিতেও। এবার হেদুয়ার একটি পুজোয় কুমারী হয়েছে পাঁচ বছরের কন্যা প্রাপ্তি। কুমারী পুজোর অভিজ্ঞতা কেমন, সেই ছোট্ট খুদের কাছেই শুনে নিল এডিটরজি বাংলা।&nbsp;
পুরাণে কথিত আছে দেবী জ্ঞানে যে কোনও কুমারীকেই পুজো করা যায়। আগে কুমারী রূপে প্রকৃতিকে পুজো করা হত। প্রকৃতি মানে নারী। প্রত্যেক বছর এই কুমারী পুজো উপলক্ষে নারীদের পুজো করা হয় একাধিক মণ্ডপে। এবারও হেদুয়ার একটি পুজোয় কুমারী হয়েছিল প্রাপ্তি। তার সেই অভিজ্ঞতা আপনাদের সঙ্গে শোনাল এডিটরজি বাংলা।&nbsp;
আরও পড়ুন: <a href="https://www.editorji.com/bengali/lifestyle-news/record-crowd-in-mahashtami-evening-in-durga-puja-2022-1664808394082">মহাষ্টমীতে প্রতিমাদর্শনে কলকাতায় জনজোয়ার, বৃষ্টি উপেক্ষা করেই উৎসবে সামিল বাঙালি</a>
শ্রীরামকৃষ্ণের ভাবনা থেকেই কুমারী পুজোর প্রচলন। মৃন্ময়ী রূপের পাশাপাশি কুমারী রূপের পুজো করা হয়। ১৯০১ সালে বেলুড় মঠে প্রথম কুমারী পুজোর প্রচলন করেন স্বামী বিবেকানন্দ। মা সারদার সামনে ৯ জন কুমারীকে পূজা করেন তিনি। সেই রীতি মেনে মহাষ্টমী তিথিতে এখনও কুমারী পুজো হয়।

বিকেল গড়িয়ে সন্ধে হয়ে এলো অথচ পুজোসংখ্যার পাতা থেকে একটুও মুখ তুলল না পাঠক কিংবা পাঠিকা, কফি হাউজের আড্ডায় তুফান উঠল কোন পুজোসংখ্যা কত ভালো হয়েছে তা নিয়ে- এমন সব দৃশ্যের সাক্ষী বাঙালি ছিল বহুযুগ ধরেই। 

Editorji exclusive about Durga puja and magazines related to festival - Editorji exclusive:পুজো মানেই বিভিন্ন পত্রপত্রিকার পুজোসংখ্যা, কেমন বিক্রি এবার, খুঁজে দেখল এডিটরজি বাংলা

Editorji exclusive:পুজো মানেই বিভিন্ন পত্রপত্রিকার পুজোসংখ্যা, কেমন বিক্রি এবার, খুঁজে দেখল এডিটরজি বাংলা

বিকেল গড়িয়ে সন্ধে হয়ে এলো অথচ পুজোসংখ্যার পাতা থেকে একটুও মুখ তুলল না পাঠক কিংবা পাঠিকা, কফি হাউজের আড্ডায় তুফান উঠল কোন পুজোসংখ্যা কত ভালো হয়েছে তা নিয়ে- এমন সব দৃশ্যের সাক্ষী বাঙালি ছিল বহুযুগ ধরেই।&nbsp;

১৯৬৫ সালে পুজোসংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রথম উপন্যাস 'আত্মপ্রকাশ'। পরের বছর, অর্থাৎ, ১৯৬৬ সালে ওই পুজোসংখ্যারই 'ঘুণপোকা' উপন্যাসের মাধ্যমে বৃহত্তর বাঙালি পাঠকের কাছে পৌঁছে গেলেন তখনকার নবীন লেখক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলায় সাহিত্যের যে জোয়ার এসেছিল, পুজোসংখ্যাগুলি তাতেই বেঁধেছিল খুঁটি।
তখন পুজোসংখ্যা প্রকাশিত হতো অনেক কম। তবে, তা নিয়ে সাধারণ পাঠকের উন্মাদনার কোনও শেষ ছিল না। বিকেল গড়িয়ে সন্ধে হয়ে এলো অথচ পুজোসংখ্যার পাতা থেকে একটুও মুখ তুলল না পাঠক কিংবা পাঠিকা, কফি হাউজের আড্ডায় তুফান উঠল কোন পুজোসংখ্যা কত ভালো হয়েছে তা নিয়ে- এমন সব দৃশ্যের সাক্ষী বাঙালি ছিল বহুযুগ ধরেই।&nbsp;
কেশবচন্দ্র সেন প্রতিষ্ঠিত ভারত সংস্কার সভার সাপ্তাহিক &lsquo;সুলভ সমাচার&rsquo; বিশেষ সংস্করণ প্রকাশ করে &lsquo;ছুটির সুলভ&rsquo; নামে। এক পয়সার সেই বিশেষ সংখ্যা বেরোয় ১২৮০-এর আশ্বিন মাসে। তারপর থেকে &lsquo;ভারতবর্ষ&rsquo;, &lsquo;বঙ্গবাণী&rsquo; প্রভৃতি পত্রিকা পুজো সংখ্যা প্রকাশ শুরু করে। প্রথম শারদ উপন্যাস ছাপা হয় শারদীয় বসুমতীতে।&nbsp;
রবীন্দ্রনাথ &lsquo;পার্বণী&rsquo; নামের শারদীয় বার্ষিকীতেই প্রথম পূজার লেখা দেন। &lsquo;পার্বণী&rsquo; ছিল প্রথম বাংলা বার্ষিকী। প্রথম প্রকাশিত হয় ১৩২৫ সালে। &lsquo;পার্বণী&rsquo; সম্পাদনার দায়িত্বে ছিলেন রবীন্দ্রনাথের ছোট জামাই নগেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়। &lsquo;পার্বণী&rsquo;র প্রথম পূজাবার্ষিকীতে রবীন্দ্রনাথ &lsquo;শরতে আজ কোন অতিথি এল প্রাণের দ্বারে&rsquo; গানটি &lsquo;শরতের গান&rsquo; নাম দিয়ে লিখেছিলেন।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদল এসেছে বাঙালির পাঠাভ্যাসে। এসেছে পুজোবার্ষিকীর সংখ্যাতেও। 'বাঙালি বই পড়ে না' এই তত্ত্বে সিলমোহর দিয়েই যেন প্রবলভাবে বিক্রি কমে গিয়েছে বইয়ের। এর প্রভাব থেকে মুক্ত নয় পুজোবার্ষিকীগুলিও। এখন তার দামও বেশি। আড়ে ও বহরেও সে নেহাত কম নয়। কিন্তু, তাতে কি পাঠকের আনুকূল্য পাওয়া গেল তেমন?
জানা গিয়েছে, গতবছরের বাজার একবারে মন্দা ছিল ৷ কিন্তু, এবার তেমনটা নয় । ২০২০ সালে করোনা এবং আমফান ঝড়ের জেরে প্রকাশনী সংস্থা এবং প্রিন্টিং প্রেসগুলির ব্যাপক ক্ষতি হয় । তাই গতবার বাজারে বই আসতে কিছুটা দেরি হয়েছিল । তবে এই বছর সময় মতোই দোকানে দোকানে পৌঁছে গিয়েছে বাঙালির সাহিত্যের শারদ সম্ভার।
কেমন বিক্রি হচ্ছে? এডিরজি'র সঙ্গে কথোপকথনে বইবিক্রেতা নিয়তি দাসের গলায়ও সেই 'মোবাইল'-এর প্রতিই অনুযোগ শোনা গেল। ষাট বছরেরও বেশি সময় ধরে পত্রপত্রিকার ব্যবসা তাঁদের। কিন্তু, হালে যে খুব বলার মতো জায়গায় নেই সেটা তাঁর কথাতেই স্পষ্ট। "বয়স্করাই বেশি কিনছেন পুজোবার্ষিকী। নতুন প্রজন্মের মধ্য়ে তেমন উৎসাহ চোখে পড়েনি। সবাই মোবাইলেই ব্যস্ত", আক্ষেপ নিয়তিদেবীর। যদিও, পুজোর মধ্যে এবং পুজো শেষ হওয়ার আগেই স্টলে রাখা সব পত্রিকা বিক্রি হয়ে যাবে বলে আশা তাঁর।
আশা পাঠকেরও। যে পাঠক, বহু অন্ধকার সময়ের মধ্যে থেকেই চিরকাল খুঁজে ফিরেছে পরশপাথর-সম পাঠের আলো। মোবাইল, সোশ্যাল মিডিয়া, অনলাইন গেমিং-এর প্রবণতাকে ছাপিয়ে দুর্গাপুজোর উৎসব বাঙালির কাছে পড়ার উৎসবও হয়ে উঠবে আবার, সেই আগেরমতোই, সেই আশাতেই ভরে উঠুক তাঁর আজকের সপ্তমী-অষ্টমী-নবমী-দশমী।&nbsp;

খেলাধূলার মাঠ নয়, এখন শৈশবটা বন্দী মুঠোফোনে । বাবা-মায়েরা ব্যস্ত । সন্তানকে সময় দিতে না পারার অক্ষমতা কোথাও যেন যন্ত্র বানিয়ে দিচ্ছে শিশুদের । মোবাইল গেমে আসক্ত হয়ে পড়ছে বাচ্চারা । খেলাধূলার মাঠ, রান্নাবাটি, লুকোচুরি, কানামাছির যুগ এখন আর নেই । এখন পাবজির যুগ । ফল কী ? বন্ধু, পড়শি, আত্মীয়, স্বজনের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে সবাই । যা বর্তমান সময়ের সবথেকে বড় সমস্যা । এই সমস্যাকেই কেন্দ্র করে রাজ চক্রবর্তীর পরবর্তী সিনেমা 'হাবজি-গাবজি' । ইতিমধ্যেই মুক্তি পয়েছে ছবির ট্রেলার । ৩ জুন মুক্তি পাচ্ছে সিনেমা । তার আগে ছবি নিয়ে editorji বাংলায় নিউজ এডিটর দেবযানী চৌবের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় পরিচালক রাজ চক্রবর্তী ।
editorji বাংলা : সাধারণত বলা হয় ভাল সিনেমা সেটাই, যা বর্তমান সময়ের কথা বলে । এই সময় একটা বড় সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন বাবা-মায়েরা, হাবজি গাবজিতে সেই কথাই বলা হয়েছে । সিনেমা নিয়ে কী বলবেন ?
রাজ চক্রবর্তী : আমার কাছে ভাল সিনেমার অর্থ, যে সিনেমা দেখে আমার ভাল লাগবে । সেটা সময় উপযোগী নাও হতে পারে । সেটা অন্য গল্পও হতে পারে । হ্যাঁ, হাবজি-গাবজি একটা সময়ের সিনেমা । সিনেমার মধ্যে দিয়ে অনেক ম্যাসেজ দেওয়ার থাকে, সমাজ- সোসাইটিকে অনেক কথা বলার থাকে । হাবজি-গাবজি সেরকমই একটি ছবি । এই মুহূর্তে যে গেমিং ডিসঅর্ডার । দেখা যাচ্ছে, ক্যানসারের থেকেও এখন মারাত্মক রোগ হল গেমিং ডিসঅর্ডার । এটা আমাদের বাচ্চাদের মধ্যে কিন্তু ঢুকে গেছে । আমরা বাবা-মায়েরা ছোটবেলাতেই বাচ্চাদের হাতে মোবাইল দিয়ে দিচ্ছি । দেখা যাচ্ছে, বাচ্চারা দিনের পর দিন মোবাইল ঘাঁটতে ঘাঁটতে আস্তে আস্তে গেমের মধ্যে ঢুকে যাচ্ছে । গেমে আসক্ত হয়ে পড়ছে । তাতে দেখা যাচ্ছে, রাতে বন্ধুরা মিলে গেম খেলছে । এর ফলে নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে । পৃথিবীতে এই সমস্যাটা এখন সবথেকে বেশি । আমাদের সিনেমার মধ্যে দিয়ে এই সমস্যার কথাই বলতে চেয়েছি । এই সিনেমার মধ্যে দিয়ে আমরা বাবা-মায়েদের বলতে চেয়েছি, আপনারা বাচ্চাদের মোবাইল দিন । নির্দিষ্ট সময় বেঁধে শিক্ষামূলক ভিডিও দেখুক কিংবা গান শুনতে পারে । তবে, যে গেমগুলি তৈরি করা হচ্ছে, সেগুলি মূলত কিলিং । কে কত খুন করতে পারে, সেই গল্পই বলা হচ্ছে ।
editorji বাংলা : সম্প্রতি, খবর হয় আমেরিকার একটি বাচ্চা গেম খেলতে গিয়ে মারা গিয়েছে...
রাজ চক্রবর্তী : শুধু বিদেশ নয়, আমাদের দেশে, রাজ্যে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে । একটা বাচ্চা হয়তো, খুব ভাল লিখত । কিন্তু, গেমে খেলতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, তার লেখা বেঁকে গিয়েছে । কিংবা কোনও বাচ্চাকে যদি কিছু পড়তে দেওয়া হয়, তাহলে দেখা যাবে, চার-পাঁচটা লাইন জাম্প করে যাচ্ছে । রাতের বেলায় ওরা গেম খেলে । কিন্তু, বাবা-মা জানে ঘুমাচ্ছে, কিন্তু রাতের বেলায় ওরা কিন্তু মোবাইল নিয়ে গেম খেলছে । তাই সারাদিন ওদের ঝিমোতে দেখা যায় ।
editorji বাংলা : বাবা রাজ কী বার্তা দেবেন বাবা-মায়ের উদ্দেশে ?
রাজ চক্রবর্তী : আমি একটাই কথা বলব যে, বাচ্চাকে যত বেশি সম্ভব খেলার মাঠে নিয়ে যাওয়া উচিৎ । ওকে ওর মতো করে বাঁচতে দেওয়া উচিৎ । যতটা মোবাইল থেকে দূরে রাখা যায়, বিশেষ করে গেমিং থেকে যতটা দূরে রাখা যায়, ততই ভাল । বাবা হিসাবে ইউভানের ক্ষেত্রে সেটাই করার চেষ্টা করছি ।
editorji বাংলা : আপনার প্রথম দিকের সিনেমাগুলো কমার্শিয়াল সিনেমা, তবে শেষ কয়েকটি সিনেমা যেমন পরীণিতা বা হাবজি গাবজি তুলনায় একটু অন্যধরনের সিনেমা । পরিচালক রাজ চক্রবর্তী কি ভাবনা-চিন্তায় অনেকটা পরিণত হয়ে উঠেছে ? নাকি বাঙালি দর্শকদের পছন্দ পাল্টে যাচ্ছে ? সেইজন্য এই ধরনের সিনেমা তৈরি হচ্ছে ?
রাজ চক্রবর্তী : আমি মনে করি, প্রথমে যে আমি ছবি করেছিলাম, তখনও আমি পরিণত ছিলাম (হাসি) । পরিণতটা কী হচ্ছে বুঝতে পারছি না । ২০০৮ সালে আমি পরিণীতা বানিয়েছিলাম । ৭ লাখের ছবি ১০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল । এখন পরিণীতার মতো সিনেমা করছি ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা খরচ করে, কিন্তু, ব্যবসা হচ্ছে আড়াই কোটি মতো । সেক্ষেত্রে পরিণতি কতটা হয়েছে, সেটা জানি না । তবে এটা ঠিক যে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কাজ করতে হয় । কমার্শিয়াল সিনেমা দেখতে ভালবাসি, তৈরি করতে ভালবাসি । কিন্তু এখন সিঙ্গল স্ক্রিনের সংখ্যা কমে গেছে । ফলে বড় সংখ্যক দর্শকদের কাছে পৌঁছানো আমাদের সম্ভব হচ্ছে না । কিন্তু, এখন সবটাই মাল্টিপ্লেক্স নির্ভর হয়ে গিয়েছে । আর সবার পক্ষে মাল্টিপ্লেক্সে সিনেমা দেখাটা খুব কঠিন । আগে দুজন সিনেমা দেখতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা লাগত । এখন মাল্টিপ্লেক্সে গেলে খরচ হয় ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা । তাই এখন আমাকে মাল্টিপ্লেক্সের মতো করে সিনেমা তৈরি করতে হচ্ছে । হাবজি-গাবজি-র মতো সিনেমা তৈরি করতে হচ্ছে ।
editorji বাংলা : আপনার বেশ কয়েকটি সিনেমায় শুভশ্রীকে দেখা গেছে । সেক্ষেত্রে লাইফ পার্টনার শুভশ্রীর সঙ্গে কাজ করতে কি বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করেন রাজ ?
রাজ চক্রবর্তী : আসলে আমার ভাল অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সঙ্গে কাজ করতে ভাল লাগে । পরিচালক হিসাবে আমি একজন ভাল অভিনেত্রীর সঙ্গেই কাজ করব । সবাই আমার সঙ্গে স্বচ্ছন্দ । আমার সবার সঙ্গে কাজ করেছি । তবে, এখন সবাই খুব ব্যস্ত । তার ডেট নাও, আরও অনেক কিছু সমস্যা । তার থেকে আমার সঙ্গে একজন ভাল অভিনেত্রী রয়েছেন, তাই তাঁকে নিয়ে ভাবছি । কিছুই না, ভাল অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করতে ভাল লাগে, নতুনদের সঙ্গে কাজ করতে ভাল লাগে । সবার সঙ্গেই আমি স্বচ্ছন্দ্য ।

Exclusive Interview of Raj Chakraborty on Habji Gabji - Editorji Exclusive : 'হাবজি গাবজি' মুক্তির আগে editorji বাংলায় একান্ত আলাপচারিতায় রাজ চক্রবর্তী

৩ জুন মুক্তি পাচ্ছে 'হাবজি গাবজি' । তার আগে ছবি নিয়ে editorji বাংলায় একান্ত আলাপচারিতায় পরিচালক রাজ চক্রবর্তী ।

Editorji Bangla Exclusive with Raj Chakraborty : 'হাবজি গাবজি' মুক্তির আগে editorji বাংলায় আড্ডায় রাজ

৩ জুন মুক্তি পাচ্ছে 'হাবজি গাবজি' । তার আগে ছবি নিয়ে editorji বাংলায় একান্ত আলাপচারিতায় পরিচালক রাজ চক্রবর্তী ।

খেলাধূলার মাঠ নয়, এখন শৈশবটা বন্দী মুঠোফোনে (Mobile Phone) । বাবা-মায়েরা ব্যস্ত । সন্তানকে সময় দিতে না পারার অক্ষমতা কোথাও যেন যন্ত্র বানিয়ে দিচ্ছে শিশুদের । মোবাইল গেমে আসক্ত হয়ে পড়ছে বাচ্চারা । খেলাধূলার মাঠ, রান্নাবাটি, লুকোচুরি, কানামাছির যুগ এখন আর নেই । এখন পাবজির যুগ । ফল কী ? বন্ধু, পড়শি, আত্মীয়, স্বজনের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে সবাই । যা বর্তমান সময়ের সবথেকে বড় সমস্যা । এই সমস্যাকেই কেন্দ্র করে রাজ চক্রবর্তীর পরবর্তী সিনেমা 'হাবজি-গাবজি' (Habji&nbsp;Gabji)। ইতিমধ্যেই মুক্তি পয়েছে ছবির ট্রেলার (Habji&nbsp;Gabji&nbsp;Trailer) । ৩ জুন মুক্তি পাচ্ছে সিনেমা । তার আগে ছবি নিয়ে editorji বাংলায় নিউজ এডিটর দেবযানী চৌবের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় পরিচালক রাজ চক্রবর্তী (Editorji&nbsp;exclusive interview with Raj&nbsp;Chakraborty) ।
editorji বাংলা : সাধারণত বলা হয় ভাল সিনেমা সেটাই, যা বর্তমান সময়ের কথা বলে । এই সময় একটা বড় সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন বাবা-মায়েরা, হাবজি গাবজিতে সেই কথাই বলা হয়েছে । সিনেমা নিয়ে কী বলবেন ?
রাজ চক্রবর্তী : আমার কাছে ভাল সিনেমার অর্থ, যে সিনেমা দেখে আমার ভাল লাগবে । সেটা সময় উপযোগী নাও হতে পারে । সেটা অন্য গল্পও হতে পারে । হ্যাঁ, হাবজি-গাবজি একটা সময়ের সিনেমা । সিনেমার মধ্যে দিয়ে অনেক ম্যাসেজ দেওয়ার থাকে, সমাজ- সোসাইটিকে অনেক কথা বলার থাকে । হাবজি-গাবজি সেরকমই একটি ছবি । এই মুহূর্তে যে গেমিং ডিসঅর্ডার । দেখা যাচ্ছে, ক্যানসারের থেকেও এখন মারাত্মক রোগ হল গেমিং ডিসঅর্ডার । এটা আমাদের বাচ্চাদের মধ্যে কিন্তু ঢুকে গেছে । আমরা বাবা-মায়েরা ছোটবেলাতেই বাচ্চাদের হাতে মোবাইল দিয়ে দিচ্ছি । দেখা যাচ্ছে, বাচ্চারা দিনের পর দিন মোবাইল ঘাঁটতে ঘাঁটতে আস্তে আস্তে গেমের মধ্যে ঢুকে যাচ্ছে । গেমে আসক্ত হয়ে পড়ছে । তাতে দেখা যাচ্ছে, রাতে বন্ধুরা মিলে গেম খেলছে । এর ফলে নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে । পৃথিবীতে এই সমস্যাটা এখন সবথেকে বেশি । আমাদের সিনেমার মধ্যে দিয়ে এই সমস্যার কথাই বলতে চেয়েছি । এই সিনেমার মধ্যে দিয়ে আমরা বাবা-মায়েদের বলতে চেয়েছি, আপনারা বাচ্চাদের মোবাইল দিন । নির্দিষ্ট সময় বেঁধে শিক্ষামূলক ভিডিও দেখুক কিংবা গান শুনতে পারে । তবে, যে গেমগুলি তৈরি করা হচ্ছে, সেগুলি মূলত কিলিং । কে কত খুন করতে পারে, সেই গল্পই বলা হচ্ছে ।
আরও পড়ুন, <a href="https://www.editorji.com/bengali/entertainment-news/editorji-bangla-s-exclusive-interview-with-parambrata-chatterjee-on-habji-gabji-1653993651433" target="_blank">Editorji Exclusive interview with Parambrata Chatterjee: বেবিসিটারের কাজই সবচেয়ে পছন্দ পরমব্রতর</a> &nbsp;
editorji&nbsp;বাংলা :&nbsp;রাজ কি কখনও ইউভানের হাতে মোবাইল দেন ?
রাজ চক্রবর্তী : একদম সত্যি কথা বলব, বাবা-মায়েদের কিছু করার থাকে না । শিশুরা দেখে বাবা-মা কোনটায় ব্যস্ত রয়েছেন । বাবা-মাও তো মোবাইলে ব্যস্ত থাকেন । ছোটবেলা থেকেই ইউভান ফোনে হাতে নিয়ে আঙুল দিয়ে স্ক্রল করে । কিন্তু, আমরা কেউ ওকে শেখাইনি । তবও ও শিখে ফিলছে । মোবাইল জিনিসটা অদ্ভুত, এটা সবথেকে বেশি কাজের জিনিস, সবথেকে বেশি বিপদের জিনিস । আমরা ইউভানকে মোবাইল দিতে চাই না । কিন্তু, ওকে মোবাইল দিলে, অনেক কাজ সহজ হয়ে যায় । যেমন, ওকে খাওয়ানো যায়, চুপ করানো যায়, শান্ত রাখা যায় । 'হাবজি-গাবজি' যখন করছিলাম, তখন আমাদের জীবনে ইউভান আসেনি । হাবজি-গাবজি করতে করতে ইউভান আসে । আমরা অনেকটা সচেতন যে, ওকে গেম যতটা সম্ভব না দেখানো যায় । ওকে শিক্ষামূলক ভিডিও দেখানোর চেষ্টা করছি ।
editorji বাংলা : সম্প্রতি, খবর হয় আমেরিকার একটি বাচ্চা গেম খেলতে গিয়ে মারা গিয়েছে...
রাজ চক্রবর্তী : শুধু বিদেশ নয়, আমাদের দেশে, রাজ্যে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে । একটা বাচ্চা হয়তো, খুব ভাল লিখত । কিন্তু, গেমে খেলতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, তার লেখা বেঁকে গিয়েছে । কিংবা কোনও বাচ্চাকে যদি কিছু পড়তে দেওয়া হয়, তাহলে দেখা যাবে, চার-পাঁচটা লাইন জাম্প করে যাচ্ছে । রাতের বেলায় ওরা গেম খেলে । কিন্তু, বাবা-মা জানে ঘুমাচ্ছে, কিন্তু রাতের বেলায় ওরা কিন্তু মোবাইল নিয়ে গেম খেলছে । তাই সারাদিন ওদের ঝিমোতে দেখা যায় ।
আরও পড়ুন, <a href="https://www.editorji.com/bengali/entertainment-news/raj-chakraborty-parambrata-chatterjee-exclusive-interview-on-habji-gabji-1653386869718" target="_blank">Editorji Exclusive: এডিটর-জির সঙ্গে 'হাবজি গাবজি'র নেপথ্যের গল্প ভাগ করে নিলেন রাজ-পরমব্রত</a> &nbsp;
editorji বাংলা : বাবা রাজ কী বার্তা দেবেন বাবা-মায়ের উদ্দেশে ?
রাজ চক্রবর্তী : আমি একটাই কথা বলব যে, বাচ্চাকে যত বেশি সম্ভব খেলার মাঠে নিয়ে যাওয়া উচিৎ । ওকে ওর মতো করে বাঁচতে দেওয়া উচিৎ । যতটা মোবাইল থেকে দূরে রাখা যায়, বিশেষ করে গেমিং থেকে যতটা দূরে রাখা যায়, ততই ভাল । বাবা হিসাবে ইউভানের ক্ষেত্রে সেটাই করার চেষ্টা করছি ।
editorji বাংলা : আপনার প্রথম দিকের সিনেমাগুলো কমার্শিয়াল সিনেমা, তবে শেষ কয়েকটি সিনেমা যেমন পরীণিতা বা হাবজি গাবজি তুলনায় একটু অন্যধরনের সিনেমা । পরিচালক রাজ চক্রবর্তী কি ভাবনা-চিন্তায় অনেকটা পরিণত হয়ে উঠেছে ? নাকি বাঙালি দর্শকদের পছন্দ পাল্টে যাচ্ছে ? সেইজন্য এই ধরনের সিনেমা তৈরি হচ্ছে ?
রাজ চক্রবর্তী : আমি মনে করি, প্রথমে যে আমি ছবি করেছিলাম, তখনও আমি পরিণত ছিলাম (হাসি) । পরিণতটা কী হচ্ছে বুঝতে পারছি না । ২০০৮ সালে আমি পরিণীতা বানিয়েছিলাম । ৭ লাখের ছবি ১০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল । এখন পরিণীতার মতো সিনেমা করছি ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা খরচ করে, কিন্তু, ব্যবসা হচ্ছে আড়াই কোটি মতো । সেক্ষেত্রে পরিণতি কতটা হয়েছে, সেটা জানি না । তবে এটা ঠিক যে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কাজ করতে হয় । কমার্শিয়াল সিনেমা দেখতে ভালবাসি, তৈরি করতে ভালবাসি । কিন্তু এখন সিঙ্গল স্ক্রিনের সংখ্যা কমে গেছে । ফলে বড় সংখ্যক দর্শকদের কাছে পৌঁছানো আমাদের সম্ভব হচ্ছে না । কিন্তু, এখন সবটাই মাল্টিপ্লেক্স নির্ভর হয়ে গিয়েছে । আর সবার পক্ষে মাল্টিপ্লেক্সে সিনেমা দেখাটা খুব কঠিন । আগে দুজন সিনেমা দেখতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা লাগত । এখন মাল্টিপ্লেক্সে গেলে খরচ হয় ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা । তাই এখন আমাকে মাল্টিপ্লেক্সের মতো করে সিনেমা তৈরি করতে হচ্ছে । হাবজি-গাবজি-র মতো সিনেমা তৈরি করতে হচ্ছে ।
editorji বাংলা : আপনার বেশ কয়েকটি সিনেমায় শুভশ্রীকে দেখা গেছে । সেক্ষেত্রে লাইফ পার্টনার শুভশ্রীর সঙ্গে কাজ করতে কি বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করেন রাজ ?
রাজ চক্রবর্তী : আসলে আমার ভাল অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সঙ্গে কাজ করতে ভাল লাগে । পরিচালক হিসাবে আমি একজন ভাল অভিনেত্রীর সঙ্গেই কাজ করব । সবাই আমার সঙ্গে স্বচ্ছন্দ । আমার সবার সঙ্গে কাজ করেছি । তবে, এখন সবাই খুব ব্যস্ত । তার ডেট নাও, আরও অনেক কিছু সমস্যা । তার থেকে আমার সঙ্গে একজন ভাল অভিনেত্রী রয়েছেন, তাই তাঁকে নিয়ে ভাবছি । কিছুই না, ভাল অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করতে ভাল লাগে, নতুনদের সঙ্গে কাজ করতে ভাল লাগে । সবার সঙ্গেই আমি স্বচ্ছন্দ্য ।

editorji exclusive

ক্যাটাগরি

Trending topics