খবর এবং তথ্যের জনপ্রিয় একটি ভারতীয় প্ল্যাটফর্ম- Editorji । ২০১৮ সালে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় সাংবাদিক বিক্রম চন্দ্রা'র নেতৃত্বে এই ডিজিটাল  প্ল্যাটফর্মের যাত্রা শুরু। অল্প সময়ের মধ্যেই দেশের দর্শক এবং শ্রোতাদের নজরে এসেছে এই প্ল্যাটফর্ম। অ্যান্ড্রয়েড এবং iOS অ্যাপ্লিকেশন আছে, এমন সমস্ত মোবাইল ফোনেই Editorji -র সব খবর দেখা, পড়া এবং শোনা যায়।

ABOUT US

about us editorji

Editorji বাংলা:  Get all latest breaking news videos in Bengali on Editorji. Watch latest Bengali News (বাংলা খবর) videos on politics, entertainment, sports, lifestyle, Business, Kolkata city news and more. 

Editorji বাংলা: Bengali Video News, Latest Bangla News, Breaking News in Bengali | Editorji

+91 11 4035 6666 / info@editorji.com
3rd floor, Plot B, Khasara no 360, Sultanpur, New Delhi, Delhi 110030
<a title="mail to us" href="mailto:info@editorji.com">Send Feedback</a>

REACH US

Contact for any questions, suggestions, comments, feedback or advertisement on Editorji.com, we are always looking forward to hearing from you.

Contact Us for Feedback, Suggestions and Advertising 

Today Gold-Silver Price

Omicron BF7 in India

Covid 19 New variant

Bank Holiday in January 2023

West Bengal Government Jobs

West Bengal Weather update 

Editorji-র যাবতীয় কনটেন্ট একইসঙ্গে

হইচইতে আসতে চলেছে ওয়েবসিরিজ 'ইন্দুবালা ভাতের হোটেল', কল্লোল লাহিড়ীর ওই একই নামের উপন্যাসটি বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে ইতিমধ্যে।  ইন্দুবালার চরিত্রে অভিনয় করছেন শুভশ্রী। 

Subhashree Ganguly is debuting in bengali web series on hoichoi - Subhashree Ganguly: ওয়েব সিরিজে প্রথমবার, ইন্দুবালা হয়ে হইচইতে ডেব্যু শুভশ্রীর

Subhashree Ganguly: ওয়েব সিরিজে প্রথমবার, ইন্দুবালা হয়ে হইচইতে ডেব্যু শুভশ্রীর

হইচইতে আসতে চলেছে ওয়েবসিরিজ 'ইন্দুবালা ভাতের হোটেল', কল্লোল লাহিড়ীর ওই একই নামের উপন্যাসটি বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে ইতিমধ্যে।&nbsp; ইন্দুবালার চরিত্রে অভিনয় করছেন শুভশ্রী।&nbsp;

এখনও বক্স অফিস কাঁপিয়ে বাংলার হলে রমরমিয়ে চলছে শুভশ্রীর (Subhashree Ganguly) 'হাবজি গাবজি', শুটিং শেষ 'বৌদি ক্যান্টিন'এরও। এবার নতুন চমক। হইচই তে ওয়েব সিরিজে প্রথমবার অভিনয় করতে চলেছেন শুভশ্রী।&nbsp;
শোনা যাচ্ছে দেবালয় ভট্টাচার্যের (Debaloy Bhattacharya) পরিচালনায় হইচইতে আসতে চলেছে ওয়েবসিরিজ 'ইন্দুবালা ভাতের হোটেল', কল্লোল লাহিড়ীর ওই একই নামের উপন্যাসটি বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে ইতিমধ্যে। সেই উপন্যাসই সিরিজ হিসেবে নিয়ে আসছেন দেবালয়, প্রধান চরিত্রে, অর্থাৎ ইন্দুবালার চরিত্রে অভিনয় করছেন শুভশ্রী।&nbsp;
<a href="https://www.editorji.com/bengali/entertainment-news/iman-chakraborty-launches-her-own-website-1655982260027" target="_blank">Iman Chakraborty: সোশ্যাল মিডিয়ায় বিপুল জনপ্রিয়তার পর নিজের ওয়েবসাইট লঞ্চ ইমনের</a>
দীর্ঘ বিরতির পর এসভিএফ এর সঙ্গে এটাই হতে চলেছে শুভশ্রীর প্রথম কাজ। ইন্দুবালার চরিত্রে শুভশ্রীকে দেখার জন্য মুখিয়ে আছে দর্শক।&nbsp;

সবুজ মাঠের বিকল্প হয়ে উঠছে মোবাইল। হাতে পায়ে ধুলো বালি মাখা বিকেল নেই, আছে শুধু মোবাইল গেম। এরকমই এক প্রজন্ম, তাঁদের যাপনের ভয়াবহতার গল্প বলে 'হাবজি গাবজি'।

raj chakraborty feels, the purpose of making habji gabji has been fulfilled - Habji Gabji: 'হাবজি গাবজি' দেখে মোবাইল থেকে গেম মুছে ফেলছে বাচ্চারা, 'উদ্দেশ্য সফল', বলছেন রাজ চক্রবর্তী

Habji Gabji: 'হাবজি গাবজি' দেখে মোবাইল থেকে গেম মুছে ফেলছে বাচ্চারা, 'উদ্দেশ্য সফল', বলছেন রাজ চক্রবর্তী

সবুজ মাঠের বিকল্প হয়ে উঠছে মোবাইল। হাতে পায়ে ধুলো বালি মাখা বিকেল নেই, আছে শুধু মোবাইল গেম। এরকমই এক প্রজন্ম, তাঁদের যাপনের ভয়াবহতার গল্প বলে 'হাবজি গাবজি'।

ছবি দেখে ভয় বাড়ছে। অভিভাবকদেরও, আবার শিশুদেরও। ভয়ে মোবাইল থেকে গেম ডিলিট করে ফেলছে সবাই। কোন ছবি? না, 'হাবজি গাবজি' (Habji&nbsp;Gabji)।&nbsp;সপ্তাহ দুয়েক আগে হলে মুক্তি পেয়েছে রাজ চক্রবর্তীর (Raj&nbsp;Chakraborty) ছবিটি। বাংলাজুড়ে রমরমিয়ে চলছে সেই ছবি। দর্শক ভয় পাচ্ছেন, এটুকু জেনেই খুশি পরিচালক।&nbsp;
মোবাইল গেমের আসক্তি নিয়েই এগিয়েছে ছবির গল্প। অভিনয়ে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, শুভশ্রী, সামন্তক দ্যুতি। সবুজ মাঠের বিকল্প হয়ে উঠছে মোবাইল। হাতে পায়ে ধুলো বালি মাখা বিকেল নেই, আছে শুধু মোবাইল গেম। এরকমই এক প্রজন্ম, তাঁদের যাপনের ভয়াবহতার গল্প বলে 'হাবজি গাবজি'। আর সেই ছবি দেখতে গিয়ে 'ভয়' পাচ্ছেন দর্শক। ভয়ে মোবাইলের গেম মুছে ফেলছেন বাচ্চা থেকে বুড়োরা। আর সেটাই সিনেমার সার্থকতা। মনে করছেন রাজ নিজেই।&nbsp;
কেমন ফিডব্যাক হলফেরত দর্শকদের? এমন ছবি কেন বানালেন, যা দেখে ভয় করছে, কেউ কেউ রীতিমতো অনুযোগ করছেন পরিচালকের কাছে। যত বেশি অভিযোগ অনুযোগ, রাজ ততোই খুশি।&nbsp;

বিষয়টি নিয়ে 'বন্ধু' রাজের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে তাঁর। নিজের ছবি 'হাবজি গাবজি' তুলে নন্দনে x=প্রেম দেখানোর প্রস্তাবও দেওয়া হয় সৃজিতকে। 

srijit mukherji finally toned down against raj chakraborty through a facebook live - Nandan controversy between Raj-Srijit: রাজের 'অভিমান' কাটাতে সৃজিতের ফেসবুক লাইভ

Nandan controversy between Raj-Srijit: রাজের 'অভিমান' কাটাতে সৃজিতের ফেসবুক লাইভ

বিষয়টি নিয়ে 'বন্ধু' রাজের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে তাঁর। নিজের ছবি 'হাবজি গাবজি' তুলে নন্দনে x=প্রেম দেখানোর প্রস্তাবও দেওয়া হয় সৃজিতকে।&nbsp;

কার মান ভাঙাতে ফেসবুক লাইভ করতে হল সৃজিতকে (Srijit&nbsp;Mukherji)? অবশ্যই রাজ চক্রবর্তীর। কিন্তু পরিচালক বা প্রযোজক রাজের (Raj&nbsp;Chakraborty)&nbsp;চেয়েও বিধায়ক রাজের মান ভঞ্জনই কি বেশি জরুরি হয়ে পড়েছিল? একই দিনে মুক্তি পাওয়া দু'টি ছবির প্রতি নন্দন কর্তৃপক্ষের দু রকমের আচরণ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন এক্স = প্রেমের (X= prem) পরিচালক। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তড়িঘড়ি ফেসবুক লাইভ করে সুর নরম করলেন সৃজিত।&nbsp;
মিনিট পাঁচেকের ফেসবুক লাইভে এসে সৃজিত বলেন, নন্দনে তাঁর সিনেমা না আসা নিয়ে তাঁর কোনও সমস্যা নেই, কিন্তু ছবি না দেখানোর কারণ কেন নন্দন কর্তৃপক্ষ তাঁকে জানালেন না, সেই প্রশ্নই তুলেছেন। তিনি আরও বলেন বিষয়টি নিয়ে 'বন্ধু' রাজের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে তাঁর। নিজের ছবি 'হাবজি গাবজি' তুলে নন্দনে x=প্রেম দেখানোর প্রস্তাবও দেওয়া হয় সৃজিতকে।&nbsp;
<a href="https://www.editorji.com/bengali/entertainment-news/srijit-mukherji-s-feludar-foyendagiri-trailer-launched-1654152891588" target="_blank">&nbsp;ট্রেলারেই জমল রহস্য, জুনের মাঝামাঝি হইচইতে ফেলুদার বেশে টোটা</a>
বৃহস্পতিবার, অর্থাৎ ছবি মুক্তির আগের রাতে ফেসবুক পোস্ট করে সৃজিত লেখেন একই দিনে মুক্তি পেতে চলা দুটি ছবির জন্য নন্দন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। নিয়ম মানা হলে একই সঙ্গে দুটি ছবিরই নন্দনে শো টাইম পাওয়ার কথা, অথবা কোনওটারই পাওয়ার কথা নয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ৩ জুন মুক্তি পেতে চলা হাবজি গাবজি-ই শুধু জায়গা পেয়েছে।&nbsp;
এর প্রেক্ষিতে পরিচালক রাজো নিজের ফেসবুকে লেখেন অযথা বিতর্ক তৈরি করে লাভ হবে না। পাল্টা ফের একটি পোস্ট করেন সৃজিত। সরকারি পদে থাকার দরুণ রাজের ছবি নন্দনে জায়গা পেয়েছে, এমন ইঙ্গিত ছিল সেই পোস্টে।&nbsp;

সাম্প্রতিক অতীতে অনীক দত্তের অপরাজিত ছবিটিও নন্দনে প্রদর্শিত না হওয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছিল।

raj- srijit conflict over film screening of the directors at nandan - Raj-Srijit controversy over Nandan: নন্দনে কার ছবি, ছবি মুক্তির প্রাক্কালে প্রকাশ্যে রাজ-সৃজিতের রেষারেষি

Raj-Srijit controversy over Nandan: নন্দনে কার ছবি, ছবি মুক্তির প্রাক্কালে প্রকাশ্যে রাজ-সৃজিতের রেষারেষি

সাম্প্রতিক অতীতে অনীক দত্তের অপরাজিত ছবিটিও নন্দনে প্রদর্শিত না হওয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছিল।

নন্দন তত্ত্ব ঘিরে টলিপাড়া তোলপাড়। প্রকাশ্যে এল দুই পরিচালকের মনোমালিন্য। রাজ চক্রবর্তী (Raj&nbsp;Chakraborty) এবং সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের (Srijit&nbsp;Mukerji) মধ্যে আপাত ভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকলেও তিক্ততা তৈরি হল নন্দনকে (Nandan) ঘিরে। দুজনের ছবি মুক্তির দিন এক হলেও, রাজের ছবি 'হাবজি গাবজি' (Habji&nbsp;Gabji) শো টাইম পেলেও শহরের অন্যতম জনপ্রিয় সরকারি প্রেক্ষাগৃহ নন্দনে জায়গা পায়নি সৃজিতের বহু আলোচিত ছবি x= প্রেম (X= prem)। আর সে কারণেই নাম না করে&nbsp; রাজের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দেন সৃজিত।&nbsp;
ফেসবুক পোস্ট করে সৃজিত লেখেন একই দিনে মুক্তি পেতে চলা দুটি ছবির জন্য নন্দন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। নিয়ম মানা হলে একই সঙ্গে দুটি ছবিরই নন্দনে শো টাইম পাওয়ার কথা, অথবা কোনওটারই পাওয়ার কথা নয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ৩ জুন মুক্তি পেতে চলা হাবজি গাবজি-ই শুধু জায়গা পেয়েছে।&nbsp;
<a href="https://www.editorji.com/bengali/entertainment-news/srijit-mukherji-s-feludar-foyendagiri-trailer-launched-1654152891588" target="_blank">&nbsp;ট্রেলারেই জমল রহস্য, জুনের মাঝামাঝি হইচইতে ফেলুদার বেশে টোটা</a>
এর প্রেক্ষিতে পরিচালক রাজো নিজের ফেসবুকে লেখেন অযথা বিতর্ক তৈরি করে লাভ হবে না। পাল্টা ফের একটি পোস্ট করেন সৃজিত। সরকারি পদে থাকার দরুণ রাজের ছবি নন্দনে জায়গা পেয়েছে, এমন ইঙ্গিত ছিল সেই পোস্টে।&nbsp;
অন্যদিকে সংবাদমাধ্যমের কাছে রাজ বলেছেন, অযথা বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে, সৃজিতের ছবির প্রসঙ্গে রাজের মত, শুধু নন্দন নয়, কোনও সিঙ্গল স্ক্রিন প্রেক্ষাগৃহেই ছবিটি মুক্তি পায়নি, তার দায় রাজের নয়। প্রসঙ্গত, হাবজি গাবজি প্রথম সপ্তাহে প্রায় আশিটি হলে দেখানো হবে।&nbsp;
সাম্প্রতিক অতীতে অনীক দত্তের অপরাজিত ছবিটিও নন্দনে প্রদর্শিত না হওয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। সরকারের ঘনিষ্ঠ হলে তবেই তাঁদের ছবি নন্দনে জায়গা পাচ্ছে, এমন সম্ভাবনার কথা উঠে আসছে বারবার।&nbsp;

খেলাধূলার মাঠ নয়, এখন শৈশবটা বন্দী মুঠোফোনে । বাবা-মায়েরা ব্যস্ত । সন্তানকে সময় দিতে না পারার অক্ষমতা কোথাও যেন যন্ত্র বানিয়ে দিচ্ছে শিশুদের । মোবাইল গেমে আসক্ত হয়ে পড়ছে বাচ্চারা । খেলাধূলার মাঠ, রান্নাবাটি, লুকোচুরি, কানামাছির যুগ এখন আর নেই । এখন পাবজির যুগ । ফল কী ? বন্ধু, পড়শি, আত্মীয়, স্বজনের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে সবাই । যা বর্তমান সময়ের সবথেকে বড় সমস্যা । এই সমস্যাকেই কেন্দ্র করে রাজ চক্রবর্তীর পরবর্তী সিনেমা 'হাবজি-গাবজি' । ইতিমধ্যেই মুক্তি পয়েছে ছবির ট্রেলার । ৩ জুন মুক্তি পাচ্ছে সিনেমা । তার আগে ছবি নিয়ে editorji বাংলায় নিউজ এডিটর দেবযানী চৌবের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় পরিচালক রাজ চক্রবর্তী ।
editorji বাংলা : সাধারণত বলা হয় ভাল সিনেমা সেটাই, যা বর্তমান সময়ের কথা বলে । এই সময় একটা বড় সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন বাবা-মায়েরা, হাবজি গাবজিতে সেই কথাই বলা হয়েছে । সিনেমা নিয়ে কী বলবেন ?
রাজ চক্রবর্তী : আমার কাছে ভাল সিনেমার অর্থ, যে সিনেমা দেখে আমার ভাল লাগবে । সেটা সময় উপযোগী নাও হতে পারে । সেটা অন্য গল্পও হতে পারে । হ্যাঁ, হাবজি-গাবজি একটা সময়ের সিনেমা । সিনেমার মধ্যে দিয়ে অনেক ম্যাসেজ দেওয়ার থাকে, সমাজ- সোসাইটিকে অনেক কথা বলার থাকে । হাবজি-গাবজি সেরকমই একটি ছবি । এই মুহূর্তে যে গেমিং ডিসঅর্ডার । দেখা যাচ্ছে, ক্যানসারের থেকেও এখন মারাত্মক রোগ হল গেমিং ডিসঅর্ডার । এটা আমাদের বাচ্চাদের মধ্যে কিন্তু ঢুকে গেছে । আমরা বাবা-মায়েরা ছোটবেলাতেই বাচ্চাদের হাতে মোবাইল দিয়ে দিচ্ছি । দেখা যাচ্ছে, বাচ্চারা দিনের পর দিন মোবাইল ঘাঁটতে ঘাঁটতে আস্তে আস্তে গেমের মধ্যে ঢুকে যাচ্ছে । গেমে আসক্ত হয়ে পড়ছে । তাতে দেখা যাচ্ছে, রাতে বন্ধুরা মিলে গেম খেলছে । এর ফলে নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে । পৃথিবীতে এই সমস্যাটা এখন সবথেকে বেশি । আমাদের সিনেমার মধ্যে দিয়ে এই সমস্যার কথাই বলতে চেয়েছি । এই সিনেমার মধ্যে দিয়ে আমরা বাবা-মায়েদের বলতে চেয়েছি, আপনারা বাচ্চাদের মোবাইল দিন । নির্দিষ্ট সময় বেঁধে শিক্ষামূলক ভিডিও দেখুক কিংবা গান শুনতে পারে । তবে, যে গেমগুলি তৈরি করা হচ্ছে, সেগুলি মূলত কিলিং । কে কত খুন করতে পারে, সেই গল্পই বলা হচ্ছে ।
editorji বাংলা : সম্প্রতি, খবর হয় আমেরিকার একটি বাচ্চা গেম খেলতে গিয়ে মারা গিয়েছে...
রাজ চক্রবর্তী : শুধু বিদেশ নয়, আমাদের দেশে, রাজ্যে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে । একটা বাচ্চা হয়তো, খুব ভাল লিখত । কিন্তু, গেমে খেলতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, তার লেখা বেঁকে গিয়েছে । কিংবা কোনও বাচ্চাকে যদি কিছু পড়তে দেওয়া হয়, তাহলে দেখা যাবে, চার-পাঁচটা লাইন জাম্প করে যাচ্ছে । রাতের বেলায় ওরা গেম খেলে । কিন্তু, বাবা-মা জানে ঘুমাচ্ছে, কিন্তু রাতের বেলায় ওরা কিন্তু মোবাইল নিয়ে গেম খেলছে । তাই সারাদিন ওদের ঝিমোতে দেখা যায় ।
editorji বাংলা : বাবা রাজ কী বার্তা দেবেন বাবা-মায়ের উদ্দেশে ?
রাজ চক্রবর্তী : আমি একটাই কথা বলব যে, বাচ্চাকে যত বেশি সম্ভব খেলার মাঠে নিয়ে যাওয়া উচিৎ । ওকে ওর মতো করে বাঁচতে দেওয়া উচিৎ । যতটা মোবাইল থেকে দূরে রাখা যায়, বিশেষ করে গেমিং থেকে যতটা দূরে রাখা যায়, ততই ভাল । বাবা হিসাবে ইউভানের ক্ষেত্রে সেটাই করার চেষ্টা করছি ।
editorji বাংলা : আপনার প্রথম দিকের সিনেমাগুলো কমার্শিয়াল সিনেমা, তবে শেষ কয়েকটি সিনেমা যেমন পরীণিতা বা হাবজি গাবজি তুলনায় একটু অন্যধরনের সিনেমা । পরিচালক রাজ চক্রবর্তী কি ভাবনা-চিন্তায় অনেকটা পরিণত হয়ে উঠেছে ? নাকি বাঙালি দর্শকদের পছন্দ পাল্টে যাচ্ছে ? সেইজন্য এই ধরনের সিনেমা তৈরি হচ্ছে ?
রাজ চক্রবর্তী : আমি মনে করি, প্রথমে যে আমি ছবি করেছিলাম, তখনও আমি পরিণত ছিলাম (হাসি) । পরিণতটা কী হচ্ছে বুঝতে পারছি না । ২০০৮ সালে আমি পরিণীতা বানিয়েছিলাম । ৭ লাখের ছবি ১০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল । এখন পরিণীতার মতো সিনেমা করছি ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা খরচ করে, কিন্তু, ব্যবসা হচ্ছে আড়াই কোটি মতো । সেক্ষেত্রে পরিণতি কতটা হয়েছে, সেটা জানি না । তবে এটা ঠিক যে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কাজ করতে হয় । কমার্শিয়াল সিনেমা দেখতে ভালবাসি, তৈরি করতে ভালবাসি । কিন্তু এখন সিঙ্গল স্ক্রিনের সংখ্যা কমে গেছে । ফলে বড় সংখ্যক দর্শকদের কাছে পৌঁছানো আমাদের সম্ভব হচ্ছে না । কিন্তু, এখন সবটাই মাল্টিপ্লেক্স নির্ভর হয়ে গিয়েছে । আর সবার পক্ষে মাল্টিপ্লেক্সে সিনেমা দেখাটা খুব কঠিন । আগে দুজন সিনেমা দেখতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা লাগত । এখন মাল্টিপ্লেক্সে গেলে খরচ হয় ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা । তাই এখন আমাকে মাল্টিপ্লেক্সের মতো করে সিনেমা তৈরি করতে হচ্ছে । হাবজি-গাবজি-র মতো সিনেমা তৈরি করতে হচ্ছে ।
editorji বাংলা : আপনার বেশ কয়েকটি সিনেমায় শুভশ্রীকে দেখা গেছে । সেক্ষেত্রে লাইফ পার্টনার শুভশ্রীর সঙ্গে কাজ করতে কি বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করেন রাজ ?
রাজ চক্রবর্তী : আসলে আমার ভাল অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সঙ্গে কাজ করতে ভাল লাগে । পরিচালক হিসাবে আমি একজন ভাল অভিনেত্রীর সঙ্গেই কাজ করব । সবাই আমার সঙ্গে স্বচ্ছন্দ । আমার সবার সঙ্গে কাজ করেছি । তবে, এখন সবাই খুব ব্যস্ত । তার ডেট নাও, আরও অনেক কিছু সমস্যা । তার থেকে আমার সঙ্গে একজন ভাল অভিনেত্রী রয়েছেন, তাই তাঁকে নিয়ে ভাবছি । কিছুই না, ভাল অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করতে ভাল লাগে, নতুনদের সঙ্গে কাজ করতে ভাল লাগে । সবার সঙ্গেই আমি স্বচ্ছন্দ্য ।

Exclusive Interview of Raj Chakraborty on Habji Gabji - Editorji Exclusive : 'হাবজি গাবজি' মুক্তির আগে editorji বাংলায় একান্ত আলাপচারিতায় রাজ চক্রবর্তী

৩ জুন মুক্তি পাচ্ছে 'হাবজি গাবজি' । তার আগে ছবি নিয়ে editorji বাংলায় একান্ত আলাপচারিতায় পরিচালক রাজ চক্রবর্তী ।

Editorji Bangla Exclusive with Raj Chakraborty : 'হাবজি গাবজি' মুক্তির আগে editorji বাংলায় আড্ডায় রাজ

৩ জুন মুক্তি পাচ্ছে 'হাবজি গাবজি' । তার আগে ছবি নিয়ে editorji বাংলায় একান্ত আলাপচারিতায় পরিচালক রাজ চক্রবর্তী ।

খেলাধূলার মাঠ নয়, এখন শৈশবটা বন্দী মুঠোফোনে (Mobile Phone) । বাবা-মায়েরা ব্যস্ত । সন্তানকে সময় দিতে না পারার অক্ষমতা কোথাও যেন যন্ত্র বানিয়ে দিচ্ছে শিশুদের । মোবাইল গেমে আসক্ত হয়ে পড়ছে বাচ্চারা । খেলাধূলার মাঠ, রান্নাবাটি, লুকোচুরি, কানামাছির যুগ এখন আর নেই । এখন পাবজির যুগ । ফল কী ? বন্ধু, পড়শি, আত্মীয়, স্বজনের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে সবাই । যা বর্তমান সময়ের সবথেকে বড় সমস্যা । এই সমস্যাকেই কেন্দ্র করে রাজ চক্রবর্তীর পরবর্তী সিনেমা 'হাবজি-গাবজি' (Habji&nbsp;Gabji)। ইতিমধ্যেই মুক্তি পয়েছে ছবির ট্রেলার (Habji&nbsp;Gabji&nbsp;Trailer) । ৩ জুন মুক্তি পাচ্ছে সিনেমা । তার আগে ছবি নিয়ে editorji বাংলায় নিউজ এডিটর দেবযানী চৌবের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় পরিচালক রাজ চক্রবর্তী (Editorji&nbsp;exclusive interview with Raj&nbsp;Chakraborty) ।
editorji বাংলা : সাধারণত বলা হয় ভাল সিনেমা সেটাই, যা বর্তমান সময়ের কথা বলে । এই সময় একটা বড় সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন বাবা-মায়েরা, হাবজি গাবজিতে সেই কথাই বলা হয়েছে । সিনেমা নিয়ে কী বলবেন ?
রাজ চক্রবর্তী : আমার কাছে ভাল সিনেমার অর্থ, যে সিনেমা দেখে আমার ভাল লাগবে । সেটা সময় উপযোগী নাও হতে পারে । সেটা অন্য গল্পও হতে পারে । হ্যাঁ, হাবজি-গাবজি একটা সময়ের সিনেমা । সিনেমার মধ্যে দিয়ে অনেক ম্যাসেজ দেওয়ার থাকে, সমাজ- সোসাইটিকে অনেক কথা বলার থাকে । হাবজি-গাবজি সেরকমই একটি ছবি । এই মুহূর্তে যে গেমিং ডিসঅর্ডার । দেখা যাচ্ছে, ক্যানসারের থেকেও এখন মারাত্মক রোগ হল গেমিং ডিসঅর্ডার । এটা আমাদের বাচ্চাদের মধ্যে কিন্তু ঢুকে গেছে । আমরা বাবা-মায়েরা ছোটবেলাতেই বাচ্চাদের হাতে মোবাইল দিয়ে দিচ্ছি । দেখা যাচ্ছে, বাচ্চারা দিনের পর দিন মোবাইল ঘাঁটতে ঘাঁটতে আস্তে আস্তে গেমের মধ্যে ঢুকে যাচ্ছে । গেমে আসক্ত হয়ে পড়ছে । তাতে দেখা যাচ্ছে, রাতে বন্ধুরা মিলে গেম খেলছে । এর ফলে নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে । পৃথিবীতে এই সমস্যাটা এখন সবথেকে বেশি । আমাদের সিনেমার মধ্যে দিয়ে এই সমস্যার কথাই বলতে চেয়েছি । এই সিনেমার মধ্যে দিয়ে আমরা বাবা-মায়েদের বলতে চেয়েছি, আপনারা বাচ্চাদের মোবাইল দিন । নির্দিষ্ট সময় বেঁধে শিক্ষামূলক ভিডিও দেখুক কিংবা গান শুনতে পারে । তবে, যে গেমগুলি তৈরি করা হচ্ছে, সেগুলি মূলত কিলিং । কে কত খুন করতে পারে, সেই গল্পই বলা হচ্ছে ।
আরও পড়ুন, <a href="https://www.editorji.com/bengali/entertainment-news/editorji-bangla-s-exclusive-interview-with-parambrata-chatterjee-on-habji-gabji-1653993651433" target="_blank">Editorji Exclusive interview with Parambrata Chatterjee: বেবিসিটারের কাজই সবচেয়ে পছন্দ পরমব্রতর</a> &nbsp;
editorji&nbsp;বাংলা :&nbsp;রাজ কি কখনও ইউভানের হাতে মোবাইল দেন ?
রাজ চক্রবর্তী : একদম সত্যি কথা বলব, বাবা-মায়েদের কিছু করার থাকে না । শিশুরা দেখে বাবা-মা কোনটায় ব্যস্ত রয়েছেন । বাবা-মাও তো মোবাইলে ব্যস্ত থাকেন । ছোটবেলা থেকেই ইউভান ফোনে হাতে নিয়ে আঙুল দিয়ে স্ক্রল করে । কিন্তু, আমরা কেউ ওকে শেখাইনি । তবও ও শিখে ফিলছে । মোবাইল জিনিসটা অদ্ভুত, এটা সবথেকে বেশি কাজের জিনিস, সবথেকে বেশি বিপদের জিনিস । আমরা ইউভানকে মোবাইল দিতে চাই না । কিন্তু, ওকে মোবাইল দিলে, অনেক কাজ সহজ হয়ে যায় । যেমন, ওকে খাওয়ানো যায়, চুপ করানো যায়, শান্ত রাখা যায় । 'হাবজি-গাবজি' যখন করছিলাম, তখন আমাদের জীবনে ইউভান আসেনি । হাবজি-গাবজি করতে করতে ইউভান আসে । আমরা অনেকটা সচেতন যে, ওকে গেম যতটা সম্ভব না দেখানো যায় । ওকে শিক্ষামূলক ভিডিও দেখানোর চেষ্টা করছি ।
editorji বাংলা : সম্প্রতি, খবর হয় আমেরিকার একটি বাচ্চা গেম খেলতে গিয়ে মারা গিয়েছে...
রাজ চক্রবর্তী : শুধু বিদেশ নয়, আমাদের দেশে, রাজ্যে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে । একটা বাচ্চা হয়তো, খুব ভাল লিখত । কিন্তু, গেমে খেলতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, তার লেখা বেঁকে গিয়েছে । কিংবা কোনও বাচ্চাকে যদি কিছু পড়তে দেওয়া হয়, তাহলে দেখা যাবে, চার-পাঁচটা লাইন জাম্প করে যাচ্ছে । রাতের বেলায় ওরা গেম খেলে । কিন্তু, বাবা-মা জানে ঘুমাচ্ছে, কিন্তু রাতের বেলায় ওরা কিন্তু মোবাইল নিয়ে গেম খেলছে । তাই সারাদিন ওদের ঝিমোতে দেখা যায় ।
আরও পড়ুন, <a href="https://www.editorji.com/bengali/entertainment-news/raj-chakraborty-parambrata-chatterjee-exclusive-interview-on-habji-gabji-1653386869718" target="_blank">Editorji Exclusive: এডিটর-জির সঙ্গে 'হাবজি গাবজি'র নেপথ্যের গল্প ভাগ করে নিলেন রাজ-পরমব্রত</a> &nbsp;
editorji বাংলা : বাবা রাজ কী বার্তা দেবেন বাবা-মায়ের উদ্দেশে ?
রাজ চক্রবর্তী : আমি একটাই কথা বলব যে, বাচ্চাকে যত বেশি সম্ভব খেলার মাঠে নিয়ে যাওয়া উচিৎ । ওকে ওর মতো করে বাঁচতে দেওয়া উচিৎ । যতটা মোবাইল থেকে দূরে রাখা যায়, বিশেষ করে গেমিং থেকে যতটা দূরে রাখা যায়, ততই ভাল । বাবা হিসাবে ইউভানের ক্ষেত্রে সেটাই করার চেষ্টা করছি ।
editorji বাংলা : আপনার প্রথম দিকের সিনেমাগুলো কমার্শিয়াল সিনেমা, তবে শেষ কয়েকটি সিনেমা যেমন পরীণিতা বা হাবজি গাবজি তুলনায় একটু অন্যধরনের সিনেমা । পরিচালক রাজ চক্রবর্তী কি ভাবনা-চিন্তায় অনেকটা পরিণত হয়ে উঠেছে ? নাকি বাঙালি দর্শকদের পছন্দ পাল্টে যাচ্ছে ? সেইজন্য এই ধরনের সিনেমা তৈরি হচ্ছে ?
রাজ চক্রবর্তী : আমি মনে করি, প্রথমে যে আমি ছবি করেছিলাম, তখনও আমি পরিণত ছিলাম (হাসি) । পরিণতটা কী হচ্ছে বুঝতে পারছি না । ২০০৮ সালে আমি পরিণীতা বানিয়েছিলাম । ৭ লাখের ছবি ১০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল । এখন পরিণীতার মতো সিনেমা করছি ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা খরচ করে, কিন্তু, ব্যবসা হচ্ছে আড়াই কোটি মতো । সেক্ষেত্রে পরিণতি কতটা হয়েছে, সেটা জানি না । তবে এটা ঠিক যে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কাজ করতে হয় । কমার্শিয়াল সিনেমা দেখতে ভালবাসি, তৈরি করতে ভালবাসি । কিন্তু এখন সিঙ্গল স্ক্রিনের সংখ্যা কমে গেছে । ফলে বড় সংখ্যক দর্শকদের কাছে পৌঁছানো আমাদের সম্ভব হচ্ছে না । কিন্তু, এখন সবটাই মাল্টিপ্লেক্স নির্ভর হয়ে গিয়েছে । আর সবার পক্ষে মাল্টিপ্লেক্সে সিনেমা দেখাটা খুব কঠিন । আগে দুজন সিনেমা দেখতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা লাগত । এখন মাল্টিপ্লেক্সে গেলে খরচ হয় ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা । তাই এখন আমাকে মাল্টিপ্লেক্সের মতো করে সিনেমা তৈরি করতে হচ্ছে । হাবজি-গাবজি-র মতো সিনেমা তৈরি করতে হচ্ছে ।
editorji বাংলা : আপনার বেশ কয়েকটি সিনেমায় শুভশ্রীকে দেখা গেছে । সেক্ষেত্রে লাইফ পার্টনার শুভশ্রীর সঙ্গে কাজ করতে কি বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করেন রাজ ?
রাজ চক্রবর্তী : আসলে আমার ভাল অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সঙ্গে কাজ করতে ভাল লাগে । পরিচালক হিসাবে আমি একজন ভাল অভিনেত্রীর সঙ্গেই কাজ করব । সবাই আমার সঙ্গে স্বচ্ছন্দ । আমার সবার সঙ্গে কাজ করেছি । তবে, এখন সবাই খুব ব্যস্ত । তার ডেট নাও, আরও অনেক কিছু সমস্যা । তার থেকে আমার সঙ্গে একজন ভাল অভিনেত্রী রয়েছেন, তাই তাঁকে নিয়ে ভাবছি । কিছুই না, ভাল অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করতে ভাল লাগে, নতুনদের সঙ্গে কাজ করতে ভাল লাগে । সবার সঙ্গেই আমি স্বচ্ছন্দ্য ।

"এখনকার অভিনেত্রীদের মধ্যর শুভশ্রীর-ই ভাল কাজের খিদেটা সবচেয়ে বেশি। শুভশ্রী অভিনেত্রীই হতে এসেছেন, গ্ল্যাম ডল হতে আসেননি"

Editorji bangla's exclusive interview  with Parambrata Chatterjee on Habji Gabji - Editorji Exclusive interview with Parambrata Chatterjee: বেবিসিটারের কাজই সবচেয়ে পছন্দ পরমব্রতর

Editorji Exclusive interview with Parambrata Chatterjee: বেবিসিটারের কাজই সবচেয়ে পছন্দ পরমব্রতর

"এখনকার অভিনেত্রীদের মধ্যর শুভশ্রীর-ই ভাল কাজের খিদেটা সবচেয়ে বেশি। শুভশ্রী অভিনেত্রীই হতে এসেছেন, গ্ল্যাম ডল হতে আসেননি"

শহর কলকাতায় এখন রাস্তায় বেরোলেই চারপাশে চোখে পড়ছে একটা ছবির পোস্টার। ছবির নাম হাবজি গাবজি (Habji&nbsp;Gabji)। পোস্টারে বাবা-মা-সন্তান সকলের চোখই মুঠোফোনে। ছবির ট্রেলার দেখে ফেলেছি সব্বাই। কাজে কম্মে যাওয়ার পথে কানের হেডফোনেও লুপে বেজে চলেছে সে ছবিরই গান। তা সাড়া ফেলে দেওয়া সেই ছবির অভিনেতাদের সঙ্গে একটু আড্ডা দিলে কেমন হয়। এমন ভাবনা থেকেই ছবির আদি অর্থাৎ পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের (Parambrata&nbsp;Chatterjee) কাছে পৌঁছে গেলাম <a href="https://www.editorji.com/bengali" target="_blank">এডিটারজি বাংলার</a> তরফে।
এডিটরজি বাংলাঃ ছবির ট্রেলার দেখে আমরা বুঝে গেছি গেমিং অ্যাডিকশন নিয়ে ছবি। গেমিং অ্যাডিকশনের চেয়েও আরও বড় সমস্যা তো মোবাইলের নেশা। সেই সমস্যাটা আরও গভীরে। এটাকে কীভাবে দেখছেন
পরমব্রতঃ ঠিকই বলেছেন। আসল সমস্যা আরও গভীরে। মোবাইলের নেশায় আমরা অন্য একতা সমান্তরাল পৃথিবীতে বাস করছি। আগে একটা ডাক্তারের চেম্বারে ঢুকলে দেখা যেত, মানুষ মানুষের সঙ্গে আলাপ করছেন। স্বাভাবিক গল্প করছেন, নাম জানছেন, পেশা জানছেন। এখন দেখবেন, সকলেই যে যার মোবাইলে আটকে রয়েছেন। এবং একে অন্যের সম্পর্কে জানতে চাওয়াকে আমরা নাক গলানো হিসেবে ধরি। আমি কাউকে দোষ দিচ্ছি না, আমি নিজেও এটার অংশ।&nbsp;
<a href="https://www.editorji.com/bengali/entertainment-news/film-review-of-tirondaj-shabor-nimai-1653648997472" target="_blank">Tirandaj Shabor Review: দুর্ভাগা সেই দেশ যে দেশে কোনও শবর নেই</a>
প্রশ্নঃ এখন অনেকেই নিজেদের সন্তানের ভিডিও খুব ছোট বয়সে সোশ্যাল মিডিয়াতে ঘনঘন আপলোড করেন, সেই সব ভিডিওতে লক্ষ লক্ষ ভিউ হয়। ভবিষ্যতে সেই সন্তানরাই তো বড় হবে মা-বাবার দিকে আঙুল তুলে বলতে পারেন, "তোমরা আমাকে তোমাদের জনপ্রিয়তার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছ"।
পরমব্রতঃ একশোবার বলতে পারে। আমি নিজে ব্যক্তিগত ভাবে সোশ্যাল মিডিয়া বিমুখ মানুষ। আমার কাছের বন্ধুদের অনেকেই দিনরাত সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকেন, তাঁদের কিছু হিসেবও রাখতে হয়। সে ক্ষেত্রে এক সময় কন্টেন্ট কম পড়লে নিজের বাড়ির লোক, নিজের সন্তান সবার ভিডিও আপলোড করা শুরু করছেন। যাদেরকে ব্যবহার করে তাঁরা জনপ্রিয়তা পাচ্ছেন, তাঁরা অনেক সময় নিজেরা বেশ অস্বস্তি বোধও করেন। আমি নিজের ব্যক্তিগত জীবনকে এতটা বে আব্রু করায় বিশ্বাসী নই।&nbsp;
প্রশ্নঃ একটু হালকা আলোচনায় আসি। হাবজি গাবজি তে প্রথম শুভশ্রীর সঙ্গে কাজ করা, অভিজ্ঞতা কেমন?
পরমব্রতঃ এখনকার অভিনেত্রীদের মধ্যর শুভশ্রীর-ই ভাল কাজের খিদেটা সবচেয়ে বেশি। শুভশ্রী অভিনেত্রীই হতে এসেছেন, গ্ল্যাম ডল হতে আসেননি, কেউ গ্ল্যামডল হতে চাইতেই পারেন, তাতে দোষের কিছু নেই। কিন্তু ও মূলত অভিনয়টা করতেই এসেছে, কাজের ব্যাপারে খুব প্যাশনেট।&nbsp;
<a href="https://www.editorji.com/bengali/entertainment-news/aparajito-film-review-anik-dutta-very-efficiently-depicts-how-a-masterpiece-was-born-1652515987644" target="_blank">প্রায় নিখুঁত ভাবে এক 'অপরাজিত' মাস্টারপিসের জন্মকথা পর্দায় ফুটিয়ে তুললেন অনীক দত্ত</a>
প্রশ্নঃ বাচ্চারা নাকি আপনার কাজ করতে দারুণ ভালোবাসে। কীভাবে এতটা সহজ হন ওদের সঙ্গে?&nbsp;
পরমব্রতঃ 'একেই বলে শুটিং'এ সত্যজিৎ রায় একটা কথা বলেছিলেন, যেটা আমি সবসময় মেনে চলি, বাচ্চাদের বাচ্চা ভাবি না। ওদের সঙ্গে ওদের মতো করে মিশি। আমাদের বড়দের বাস্তব বোধের ঠেলায় কল্পনাবোধ সীমিত হয়ে যায়, যেটা বাচ্চাদের হয় না। আমায় যদি কেউ বলে আমার সারাদিনে সবেচেয়ে বেশি কী করতে ভালো লাগে? আমি বলব, আমায় যদি কেউ সারাদিন দুটো তিনটে বাচ্চার সঙ্গে থাকতে দেওয়া হয়, তাহলেই সবচেয়ে ভাল থাকব। বেবিসিটারের জন্য আমি অ্যাপ্লাই করে রাখতে চাই।&nbsp;
প্রশ্নঃ বাংলা ছবি নিয়ে সম্প্রতি একটা বিতর্ক দানা বেঁধেছে। কেউ বলছেন, বাংলা ছবি দেখা দর্শকের দায়িত্ব, বিপক্ষ যুক্তি, ভাল কন্টেন্ট না পেলে কেন জোর করে হলে গিয়ে বাংলা ছবি দেখবে মানুষ। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় এই বিষয়টাকে কীভাবে দেখছেন?
পরমব্রতঃ&nbsp;আমি বিশ্বাস করি, একটা সময়ে আমরা বাংলায় খুব খারাপ ছবি বানিয়েছি। কোনও জঁর-এর দর্শককেই ধরতে পারিনি। আর অতিমারীতে ওটিটি তে দর্শক এত ভাল ভাল ছবি দেখে নিয়েছেন, এখন যা খুশি তাঁরা দেখবেন না।&nbsp;আস্তে আস্তে একটা ইতিবাচক বদল আসছে। আলাদা আলাদা দর্শক বেছে নিয়ে আমরা যদি নানা ধরণের ছবি বানাতে থাকি, মানুষ হলে গিয়েই বাংলা ছবি দেখবে। সিনেমা দেখাটা দায়বদ্ধতা না। তাই ছবি বাছার স্বাধীনতাটা দিতেই হবে।&nbsp;
&nbsp;

habji gabji

ক্যাটাগরি

Trending topics