খবর এবং তথ্যের জনপ্রিয় একটি ভারতীয় প্ল্যাটফর্ম- Editorji । ২০১৮ সালে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় সাংবাদিক বিক্রম চন্দ্রা'র নেতৃত্বে এই ডিজিটাল  প্ল্যাটফর্মের যাত্রা শুরু। অল্প সময়ের মধ্যেই দেশের দর্শক এবং শ্রোতাদের নজরে এসেছে এই প্ল্যাটফর্ম। অ্যান্ড্রয়েড এবং iOS অ্যাপ্লিকেশন আছে, এমন সমস্ত মোবাইল ফোনেই Editorji -র সব খবর দেখা, পড়া এবং শোনা যায়।

ABOUT US

about us editorji

Editorji বাংলা:  Get all latest breaking news videos in Bengali on Editorji. Watch latest Bengali News (বাংলা খবর) videos on politics, entertainment, sports, lifestyle, Business, Kolkata city news and more. 

Editorji বাংলা: Bengali Video News, Latest Bangla News, Breaking News in Bengali | Editorji

+91 11 4035 6666 / info@editorji.com
3rd floor, Plot B, Khasara no 360, Sultanpur, New Delhi, Delhi 110030
<a title="mail to us" href="mailto:info@editorji.com">Send Feedback</a>

REACH US

Contact for any questions, suggestions, comments, feedback or advertisement on Editorji.com, we are always looking forward to hearing from you.

Contact Us for Feedback, Suggestions and Advertising 

Today Gold-Silver Price

Omicron BF7 in India

Covid 19 New variant

Bank Holiday in January 2023

West Bengal Government Jobs

West Bengal Weather update 

Editorji-র যাবতীয় কনটেন্ট একইসঙ্গে

সদ্য প্রয়াত ঐন্দ্রিলার লড়াইটা তো কেবল বিগত ১৫ দিনের নয়। জীবনে কঠিন সময়ের মুখোমুখি হওয়া আজ থেকে ৯ বছর আগে। মারণ রোগ ক্যানসার বাসা বাঁধল ফুটফুটে একটা মেয়ের শরীরে, তখন একাদশ শ্রেণি।

aindrila sharma obituary: bengali television actress aindrila sharma dies - Aindrila Sharma obityary:  ২৪-এই নিভল প্রাণ, লড়াইয়ের আরেক নাম হয়ে থেকে গেলেন ঐন্দ্রিলা

Aindrila Sharma obityary:  ২৪-এই নিভল প্রাণ, লড়াইয়ের আরেক নাম হয়ে থেকে গেলেন ঐন্দ্রিলা

সদ্য প্রয়াত ঐন্দ্রিলার লড়াইটা তো কেবল বিগত ১৫ দিনের নয়। জীবনে কঠিন সময়ের মুখোমুখি হওয়া আজ থেকে ৯ বছর আগে। মারণ রোগ ক্যানসার বাসা বাঁধল ফুটফুটে একটা মেয়ের শরীরে, তখন একাদশ শ্রেণি।

দীর্ঘ লড়াইয়ের শেষ। দু'সপ্তাহের বেশি টানা হাসপাতালের বেডে শুয়ে আজ চির ঘুমে অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। মাত্র ২৪ বছরে নিভল জলজ্যান্ত এক প্রাণ। তবে ঐন্দ্রিলার লড়াই শুধু শেষ হয়েছে, হার হয়নি। বাংলার অগণিত অনুরাগীর মনে ঐন্দ্রিলা জায়গা করে নিয়েছেন পাকাপাকি। এত অল্প সময়ে দর্শকদের মনে, অনুরাগীদের মনে এমন দাগ কাটতে পারেন ক'জন, ঐন্দ্রিলা পেরেছেন। ঐন্দ্রিলার আরোগ্য কামনায় বিনিদ্র রাত কাটিয়েছে এই বাংলা, প্রার্থনা করেছেন সাধারণ মানুষ থেকে তারকা, সকলেই।&nbsp;
গত ১ নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাওড়ার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন অভিনেত্রী। পরের ১৫ দিন নানা ওঠা পড়া, কখনও ভেন্টিলেশনে, কখনও ভেন্টিলেশনের বাইরে,আচ্ছন্ন অবস্থায় থেকেছেন অভিনেত্রী। তবে ঐন্দ্রিলার শারীরিক অবস্থা সংকটজনকই ছিল। দু'দিন আগে বন্ধু সব্যসাচী, সকলকে মিরাকলের জন্য প্রার্থনা করার অনুরোধ করেছিলেন। মিরাকল হল না। লড়াই-এ চ্ছেদ পড়লই। বড় তাড়াতাড়ি থেমে গেল ঐন্দ্রিলার পথ চলা।&nbsp;
১৯৯৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ঐন্দ্রিলার জন্ম, বাড়ির সকলেই চিকিৎসা সংক্রান্ত পেশার সঙ্গে যুক্ত। বাবা-দিদি চিকিৎসক। মা নার্স। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে পড়তে মাঝপথে সিদ্ধান্ত বদলে অভিনয়ে আসা সকলের আদরের 'মিষ্টি'র।&nbsp;
ঐন্দ্রিলার লড়াইয়ের গল্পটা অসম্পূর্ণ থাকে একটা মানুষের কথা না বললে। সব্যসাচী চৌধুরী। অভিনেত্রীর বন্ধু, প্রেমিক...আরও অনেক কিছু। অভিনেত্রীর লড়াই যতটা তাঁর, ততটাই সব্যসাচীর। জিতে যাওয়াটুকুতেও দুজনের ভাগ সমান সমান। দ্বিতীয়বার ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সময় থেকে হাসপাতালে ঐন্দ্রিলার সঙ্গে সঙ্গে থাকতেন সব্যসাচী। এবারেও তাই। অভিনেত্রীর সংজ্ঞা ছিল না, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর চোখ খুলে একবারও তাকাননি বন্ধুর দিকে, কিন্তু সব্যসাচী কিন্তু অবিরাম কথা বলে গেছেন ঐন্দ্রিলার সঙ্গে, থেকেছেন হাত ছুঁয়ে, শেষ পর্যন্ত।&nbsp;
সদ্য প্রয়াত ঐন্দ্রিলার লড়াইটা তো কেবল বিগত ১৫ দিনের নয়। জীবনে কঠিন সময়ের মুখোমুখি হওয়া আজ থেকে ৯ বছর আগে। মারণ রোগ ক্যানসার বাসা বাঁধল ফুটফুটে একটা মেয়ের শরীরে, তখন একাদশ শ্রেণি। হাসি মুখে অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করে জিতে গেলেন। সামনে তখন নতুন একটা জীবন। অভিনয় জগতে পা রাখা। সব চলছিল ছবির মতো। তারপর ২০২১। আরও একবার গাঢ় হল অন্ধকার। আবারও ক্যানসার। আবারও যন্ত্রণা ভোগ, এবং নিভতে নিভতে আবারও ফিনিক্স পাখির মতোই জ্বলে ওঠা ২৩ বছরের এক প্রাণের।&nbsp;
বহরমপুরে বড় হয়ে ওঠা মেয়েটা ততদিনে জেনে গেছেন জীবন সবসময় গোলাপের গুচ্ছ নিয়ে অপেক্ষা করে না, রাস্তা সবসময় মসৃণ থাকেনা, শুধু পথ করে নিতে হয়, নিজের মতো। পথ করেই নিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা, ফিরে এসেছিলেন অভিনয়ে, নাচে। তীব্র যন্ত্রণার গল্প বলতেন হাসি মুখে। সে পথে, আবারও বাঁধা, আবারও অন্ধকার এল। একই ভাবে ফেরা হয়তো হল না। তবে লড়াইয়ের আরেক নাম হয়ে থেকে গেলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। সেই হাসি মুখ, সেই দাঁতে দাঁত চেপে লড়ে যাওয়া, সেই নিভতে নিভতে বারবার জ্বলে ওঠা, সব অসম্ভবকে সম্ভব করে দেওয়া, এই সব ঐন্দ্রিলাই পারেন।&nbsp;

প্রয়াত তরুণ মজুমদার। তাঁর প্রয়াণে অবসান হল বাংলা চলচ্চিত্রের এক অসামান্য যুগের।

Tarun Majumdar served Bengali film for 60 years - Tarun Majumder obituary: রসায়নের ছাত্র তরুণ, বাংলা ছবিতে তৈরি করেছিলেন গল্প বলার নয়া কেমিস্ট্রি

Tarun Majumder obituary: রসায়নের ছাত্র তরুণ, বাংলা ছবিতে তৈরি করেছিলেন গল্প বলার নয়া কেমিস্ট্রি

প্রয়াত তরুণ মজুমদার। তাঁর প্রয়াণে অবসান হল বাংলা চলচ্চিত্রের এক অসামান্য যুগের।

প্রয়াত তরুণ মজুমদার (Tarun Majumdar passed away)। তাঁর প্রয়াণে অবসান হল বাংলা চলচ্চিত্রের এক অসামান্য যুগের। যেখানে পদ্মপাতায় জলের মতো জীবনে টলটল করত দেখতে সামান্য অথচ অতি নিবিড় কিছু ভালবাসা। ১৯৩১ সালের ৮ জানুয়ারি অধুনা বাংলাদেশের বগুড়ায় জন্ম হয় তাঁর (Tarun Majumdar)। ১৯৫৯ সালে ছবির জগতে আসেন তিনি। কাজ করেছেন ২০১৮ সাল পর্যন্ত। ১৯৯০ সালে 'পদ্মশ্রী' সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন। তাঁর বাবা বীরেন্দ্রনাথ মজুমদার ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী। রসায়নের ছাত্র হলেও সিনেমা তৈরির ঝোঁক ছিল বরাবরই।
১৯৫৯ সালে উত্তম কুমার এবং সুচিত্রা সেনের সঙ্গে 'চাওয়া পাওয়া' ছবিটি দিয়ে পরিচালক হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেন তরুণ মজুমদার (Tarun Majumdar)। ১৯৬০ সালে বানালেন 'স্মৃতি টুকু থাক'। ১৯৬২ সালে 'কাঁচের স্বর্গ' বানিয়েছিলেন প্রবাদপ্রতিম&nbsp; (Tarun Majumdar passed away) এই পরিচালক। এই ছবির জন্যই জাতীয় পুরস্কার পান তিনি। চারটি জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন পরিচালক। 'ভালোবাসার বাড়ি' তরুণ মজুমদার পরিচালিত শেষ ছবি। যেটি ২০১৮ সালে মুক্তি পায়।
আরও পড়ুন: <a href="https://www.editorji.com/bengali/entertainment-news/rabindra-nath-tagore-songs-in-tarun-majumder-films-1656924388827" target="_blank">হেমন্ত থেকে কণিকা, তরুণের সিনেমায় রবীন্দ্র-আবহ</a>
&lsquo;গণদেবতা&rsquo; থেকে &lsquo;ঠগিনী&rsquo;, &lsquo;সংসার সীমান্তে&rsquo; থেকে &lsquo;যদি জানতেম&rsquo;&mdash; বিষয় বৈচিত্রে মেলানো সম্ভব নয়। দেশপ্রেম থেকে সাসপেন্স&mdash; ছুঁয়ে দেখেছেন প্রায় সব বিভাগই। &zwnj;বার বার বদলাতে চেয়েছেন ছবির অন্তর্বস্তু আর বহিরঙ্গকে।&nbsp;
একাধিক জাতীয় পুরস্কার রয়েছে তরুণ মজুমদারে (Tarun Majumdar) ঝুলিতে। পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন কিংবদন্তি পরিচালক। এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় তাঁকে।&nbsp;

খড়কুটো, মোহর, ফাগুন বউ-এর মতো ধারাবাহিকের মাধ্যমে শেষ কয়েক বছরে বাঙালির ড্রয়িং রুমে খুব জনপ্রিয় হয়েছিলেন প্রয়াত অভিনেতা। 

Abhishek chatterjee obituary - Abhishek Chatterjee: অঞ্জন চৌধুরীর ব্লু-আইড বয় অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ টলিউড

Abhishek Chatterjee: অঞ্জন চৌধুরীর ব্লু-আইড বয় অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ টলিউড

খড়কুটো, মোহর, ফাগুন বউ-এর মতো ধারাবাহিকের মাধ্যমে&nbsp;শেষ কয়েক বছরে বাঙালির ড্রয়িং রুমে খুব জনপ্রিয় হয়েছিলেন প্রয়াত অভিনেতা।&nbsp;

'এল সময় রাজার মতো, হল কাজের হিসাব সাড়া' অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের (Abhishek&nbsp;Chatterjee)&nbsp;মৃত্যুও ঠিক রাজার মতোই এল। শুটিং ফ্লোরেই আচমকা অসুস্থতা। ঘণ্টা কয়েকের মধ্যে জীবনের সব লেনদেন শেষ। প্রয়াত অভিনেতার প্রয়াণে শোকস্তব্ধ টলিউড।&nbsp;
সাড়ে তিন দশকে ২৫০-এর বেশি চলচ্চিত্র রয়েছে তাঁর ফিল্মি কেরিয়ারে। গীত সঙ্গীত, সংঘর্ষ, দহন, ফিরিয়ে দাও, মায়ের আঁচল, নীলাচলে কিরিটি-র মতো জনপ্রিয় ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। একসময় পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী-র ব্লু আইড বয় হিসেবেই পরিচিত ছিলেন ইন্ডাস্ট্রি-তে। বড় পর্দার পাশাপাশি চুটিয়ে অভিনয় করেছেন ছোট পর্দায়, যাত্রায়।&nbsp;
<a href="https://www.editorji.com/bengali/entertainment-news/tollywood/bengali-actor-abhishek-chatterjee-has-died-1648093643233" target="_blank">চলচ্চিত্র জগতে নক্ষত্র পতন, প্রয়াত বাংলার অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়</a>
খড়কুটো, মোহর, ফাগুন বউ-এর মতো ধারাবাহিকের মাধ্যমে&nbsp;শেষ কয়েক বছরে বাঙালির ড্রয়িং রুমে খুব জনপ্রিয় হয়েছিলেন প্রয়াত অভিনেতা।&nbsp;
প্রয়াত অভিনেতার সহ অভিনেতা আদিত্য রায়কে এডিটরজি-র তরফে ফোন করা হলে তিনি বলেন,&nbsp;
"একসঙ্গে অনেকগুলো দিন বোলপুরে শুটিং করেছি, মিতভাষী ছিলেন, কিন্তু খুব অল্প সময়ে নিজের করে নিতেন। স্টারডম বুঝতে দিতেন না"।
পরিচালক জয়দীপ মুখোপাধ্যায় জানালেন,&nbsp; &nbsp;"২০০৪ এ প্রভাত রায়ের টেলিফিল্মে কাজ করার সময় দেখেছি,&nbsp;যথেষ্ট শৃঙ্খলাপরায়ণ ছিলেন। আর ২০১১ সালে দীর্ঘ দিন পর জাত্রা দেখতে গিয়ে গ্রিন রুমে দেখা করতে গিয়েছিলাম, একবারে চিনে কথা বললেন, তা থেকেই আন্দাজ করা যায়, মানুষ হিসেবে নিশ্চয়ই ভালোই ছিলেন'।

১৯৫০ সালের ২ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন সুভাষ ভৌমিক। ১৯৬৯ সালে প্রথমবার যোগ দেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে। এক বছর বাদেই ১৯৭০ সালে আবার সই করেন মোহনবাগানে। 

A detailed analysis of the career of footballer and coach Subhash Bhowmick - Subhash Bhowmick obituary: খেলোয়াড় জীবনে 'গুরু' ছিলেন পিকে, কোচ হিসেবে আবার প্রভাব ছিল অমল দত্ত-র

Subhash Bhowmick obituary: খেলোয়াড় জীবনে 'গুরু' ছিলেন পিকে, কোচ হিসেবে আবার প্রভাব ছিল অমল দত্ত-র

উত্তরবঙ্গের মালদহ থেকে কলকাতা ময়দান। কতটা পথ পেরলে তবে ফুটবলার হওয়া যায়, উত্তাল সত্তরের শুরুতে বাঙালিকে দেখিয়েছিলেন উনিশ বছরের এক যুবক। প্রতিপক্ষের জাল ছিঁড়েছে তাঁর পায়ে। তাঁর মগজাস্ত্রে নতজানু হয়েছে বেকতেরো সাসানার মতো প্রতিপক্ষ। ময়দানের সেই &lsquo;বুলডোজার&rsquo;, সেই &lsquo;গডফাদার&rsquo; আর নেই। প্রয়াত সুভাষ ভৌমিক। শনিবাসরীয় ভোরে ময়দান নিঃস্ব।&nbsp;
জন্ম ১৯৫০ সালের দোসরা অক্টোবর। ১৯৬৯ সালে মালদহ থেকে সোজা ময়দানে ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে সুভাষের যোগদান। একবছরের মাথায় ক্লাব বদল। লাল-হলুদ থেকে এবার সবুজ-মেরুন। সালটা ছিল ১৯৭৩। ফের ফিরে আসা ইস্টবেঙ্গলে।&nbsp;
খেলোয়াড় জীবনে গুরু মানতেন প্রয়াত পি কে বন্দ&zwj;্যোপাধ&zwj;্যায়কে। পিকেও তাঁর প্রিয় ছাত্রকে আদর করে ডাকতেন &lsquo;ভোম্বলবাবু&rsquo; নামে। সেই সুভাষই ছিলেন ১৯৭৫ সালে আইএফএ শিল্ড ফাইনালে মোহনবাগানকে ৫-০ গোলে হারানোর অন&zwj;্যতম নায়ক।&nbsp;
ফুটবলার সুভাষ ইতি টেনেছিলেন ইস্টবেঙ্গলে। কোচ সুভাষ শুরু করলেন ইস্টবেঙ্গল থেকেই। তবে লাল-হলুদে কোচ সুভাষের রূপকথা ২০০২ থেকে ২০০৫। দু&rsquo;বার আই লিগ, ত্রিমুকুট, এবং সর্বপরি ২০০৩ সালে জার্কাতায় বেকতেরো সাসানাকে হারিয়ে আশিয়ান কাপ জয়। একবালপুরের নার্সিংহোমে এ সব আজ অতীত।&nbsp;
ময়দান আজ নিঃস্ব। থেকে গেল &lsquo;বুলডোজার&rsquo; থেকে &lsquo;গডফাদার&rsquo; হয়ে ওঠা সুভাষ ভৌমিকের রূপকথা।&nbsp;

১৯৫০ সালের ২ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন সুভাষ ভৌমিক। ১৯৬৯ সালে প্রথমবার যোগ দেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে। এক বছর বাদেই ১৯৭০ সালে আবার সই করেন মোহনবাগানে।

উত্তরবঙ্গের মালদহ থেকে কলকাতা ময়দান। কতটা পথ পেরলে তবে ফুটবলার হওয়া যায়, উত্তাল সত্তরের শুরুতে বাঙালিকে দেখিয়েছিলেন উনিশ বছরের এক যুবক। প্রতিপক্ষের জাল ছিঁড়েছে তাঁর পায়ে। তাঁর মগজাস্ত্রে নতজানু হয়েছে বেকতেরো সাসানার মতো প্রতিপক্ষ ক্লাবের মাথা। ময়দানের সেই &lsquo;বুলডোজার&rsquo;, সেই &lsquo;গডফাদার&rsquo; আর নেই। প্রয়াত সুভাষ ভৌমিক। শনিবাসরীয় ভোরে ময়দান নিঃস্ব।&nbsp;
জন্ম ১৯৫০ সালের দোসরা অক্টোবর। আন্তঃজেলা স্কুল ফুটবলে প্রখমে নজরে আসে ছোট্ট সুভাষ। ১৯৬৯ সালে মালদহ থেকে সোজা ময়দান ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে তাঁর যোগদান। একবছরের মাথায় ক্লাব বদল। লাল-হলুদ থেকে এবার সবুজ-মেরুন। সালটা ছিল ১৯৭৩। ফের ফিরে আসা ইস্টবেঙ্গলে। এরপর টানা তিন বছর লাল-হলুদকে তাঁর সেরাটা দিয়েছিলেন ততদিনে ময়দানে বুলডোজার নামে বিখ&zwj;্যাত সুভাষ ভৌমিক।&nbsp;
খেলোয়াড় জীবনে গুরু মানতেন প্রয়াত পি কে বন্দ&zwj;্যোপাধ&zwj;্যায়কে। পিকেও তাঁর প্রিয় ছাত্রকে আদর করে ডাকতেন &lsquo;ভোম্বলবাবু&rsquo; নামে। সেই সুভাষই ছিলেন ১৯৭৫ সালে আইএফএ শিল্ড ফাইনালে মোহনবাগানকে ৫-০ গোলে হারানোর অন&zwj;্যতম নায়ক। ১৯৭৯ সালে ইস্টবেঙ্গল জার্সিতে ময়দানকে বিদায় জানিয়েছিলেন ফুটবলার সুভাষ। কিন্তু ময়দান তাঁকে আলবিদা জানায়নি। বরং নতুন সুভাষকে চিনিয়ে ছিল গড়ের মাঠ। এবার কোচের ভূমিকায়।&nbsp;
দেবজিৎ ঘোষ থেকে অ&zwj;্যালভিটো ডি&rsquo;কুনহা। দীপক মণ্ডল থেকে সুরকুমার সিংয়ের একদা গডফাদারের নাম সুভাষ ভৌমিক। &lsquo;সব ঠিক যাবে&rsquo;- এই বার্তাতেই দলকে আগলে রাখতেন। কখনও দাদা সুভাষ তো আবার কখনও স&zwj;্যর সুভাষ হয়ে। বিদেশি ফুটবল সম্পর্কে তাঁর অধ&zwj;্যাবসায় ছিল কোচ সুভাষের সাফল&zwj;্যের চাবিকাঠি। সে কারণে ময়দানে প্রথম জাকুজি বসেছিল ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে। রোজ মাঠে যাওয়া শত শত ইস্টবেঙ্গল সমর্থক দেখেছিলেন ভারতীয় ফুটবলে বিদেশি অনুশীলনের ছোঁয়া।&nbsp;
ঠিক যেখানে শেষ করেছিলেন, ঠিক সেখান থেকেই শুরু। ফুটবলার সুভাষ ইতি টেনেছিলেন ইস্টবেঙ্গলে। কোচ সুভাষ শুরু করলেন ইস্টবেঙ্গল থেকেই। তবে লাল-হলুদে কোচ সুভাষের রূপকথা ২০০২ থেকে ২০০৫। দু&rsquo;বার আই লিগ, ত্রিমুকুট, এবং সর্বপরি ২০০৩ সালে জার্কাতায় বেকতেরো সাসানাকে হারিয়ে আশিয়ান কাপ জয়। এই সবই এই তিন বছরের মধ&zwj;্যে।&nbsp;
কোচ সুভাষকে সুভাষকে দেখা গিয়েছিল মহমেডান স্পোর্টিং এবং মোহনবাগানেও। কিন্তু সেখানে সাফল&zwj;্য ছিল না। তবে তাঁর জীবনের শেষ সাফল&zwj;্য গঙ্গাপারে নয়, মাণ্ডবী নদীর তীরে। এ লাইসেন্স ছিল না। তাই কোচ নয়, টেকনিক&zwj;্যাল ডিরেক্টর সুভাষ ভৌমিকের প্রখরতায় আই লিগ জয় করেছিল চার্চিল ব্রাদার্স।&nbsp;
বরাবরই সোজাসাপটা। তাই বিতর্ক ছিল তাঁর সঙ্গী। কিন্তু মাঠের বাইরে তাঁর জীবনে বিতর্ক ছুঁয়ে গিয়েছিল এক ঘুষকাণ্ডকে কেন্দ্র করে।
২২ জানুয়ারির ভোরে একবালপুর নার্সিংহোমে সব অতীত হয়ে গেল। ময়দান আজ নিঃস্ব। থেকে গেল &lsquo;বুলডোজার&rsquo; থেকে &lsquo;গডফাদার&rsquo; হয়ে ওঠা সুভাষ ভৌমিকের রূপকথা।&nbsp;

তাঁর দীর্ঘ ৪০ বছরের কেরিয়ারে সেনা সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াত (Bipin&nbsp;Rawat) স্পর্শ করেছিলেন বহু শিখর।
জল্পনা ছিল যে, অবসরের আগে রাওয়াতকে পাঁচতারা ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত করা হতে পারে। জীবদ্দশায় সেই সুযোগ পেলেন না তিনি।
কীভাবে শুরু করেছিলেন নিজের কেরিয়ার? কোন কোন শিখর স্পর্শ করতে পেরেছিলেন তিনি? একবার দেখে নেবো আমরা।
&nbsp;
১) নরেন্দ্র মোদীর জমানায় নিযুক্ত প্রথম সেনাপ্রধান ছিলেন বিপিন লক্ষ্মণ সিংহ রাওয়াত। পেয়েছেন উত্তম যুদ্ধ সেবা মেডেল, পরম বিশিষ্ট সেবা মেডেল, অতি বিশিষ্ট সেবা মডেল, বিশিষ্ট সেবা মডেল, যুদ্ধ সেবা মডেল, সেনা মডেল -সহ একাধিক সেনা-সম্মাননা।
২) ৩ বছর কাজ করার পর ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর স্থলসেনা প্রধান হিসেবে অবসর নেওয়ার কথা ছিল রাওয়াতের। তাঁর এক দিন আগেই দেশের প্রথম সেনা সর্বাধিনায়ক পদে তাঁকে নিযুক্ত করে মোদী সরকার।
৩) স্বাধীন ভারতের সামরিক ইতিহাসে সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার সর্বাধিনায়ক হওয়ার কৃতিত্বের পালকও তাঁর টুপিতে। ছিলেন সমস্ত সামরিক বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পরামর্শদাতা।
৪) গোর্খা রেজিমেন্টের তৃতীয় অফিসার হিসেবে ২০১৬ সালের ১৭ ডিসেম্বর সেনাপ্রধান হন বিপিন রাওয়াত। তাঁর আগে এই শিরোপা ছিল গোর্খা রেজিমেন্টের মাত্র দু&rsquo;জন অফিসারের। তাঁর মধ্যে একজন হলেন জেনারেল দলবীর সিং সুহাগ এবং ফিল্ড মার্শাল শ্যাম মানেকশ।
৫) উত্তরাখণ্ডের পৌড়ীতে জন্মানো বিপিন রাওয়াত ১৯৭৮ সালের ডিসেম্বরে যোগ দেন সেনার ১১ গোর্খা রাইফেলসের পঞ্চম ব্যাটালিয়নে। 
৬) তাঁর বাবা লেফটেন্যান্ট জেনারেল লক্ষ্মণ সিংহ রাওয়াত ভারতীয় সেনার সহ-সেনাপ্রধান হিসাবে অবসর নেন ১৯৮৮ সালে। 
৭) শিমলার সেন্ট এডওয়ার্ড স্কুলে পড়াশোনা শেষ করে তিনি যান পুনেতে খড়কভাসলার ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমিতে। এর পর দেরাদুনে ইন্ডিয়ান মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণ শেষ করেন।
৮) তাঁর ৪০ বছরের দীর্ঘ সেনা-কেরিয়ারে তিনি উত্তর, পূর্ব এবং দাক্ষিণাত্যের বিভিন্ন বাহিনীর দায়িত্ব সামলেছেন।
৯) ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাঁকে সহ-সেনাপ্রধান পদে উন্নীত করা হয়।
১০) ২০১৫ সালে মণিপুরে জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে ১৮ জন জওয়ানের মৃত্যুর পর মায়ানমার সীমান্তে ভারতীয় সেনার যে ইউনিটটি জঙ্গি নিকেশ করেছিল, তার নেতৃত্বে ছিলেন বিপিন রাওয়াত।
১১) তিনি শুধুমাত্র একজন সেনা আধিকারিকই ছিলেন না। তাঁর সঙ্গেই ছিলেন সামরিক কৌশল বিষয়ক বিদ্যার মনোযোগী ছাত্রও। তিনি এমফিল এবং পিএইচডিও করেছিলেন তাতে।

an obituary of CDS Bipin Rawat - Bipin Rawat: ৪০ বছরের দীর্ঘ কেরিয়ারে স্পর্শ করেছিলেন বহু শিখর, ছিলেন দেশের প্রথম সেনা সর্বাধিনায়কও

জল্পনা ছিল যে, অবসরের আগে রাওয়াতকে পাঁচতারা ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত করা হতে পারে। জীবদ্দশায় সেই সুযোগ পেলেন না তিনি।

Bipin Rawat: ৪০ বছরের দীর্ঘ কেরিয়ারে স্পর্শ করেছিলেন বহু শিখর, ছিলেন দেশের প্রথম সেনা সর্বাধিনায়কও

জল্পনা ছিল যে, অবসরের আগে রাওয়াতকে পাঁচতারা ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত করা হতে পারে। জীবদ্দশায় সেই সুযোগ পেলেন না তিনি।

তাঁর দীর্ঘ ৪০ বছরের কেরিয়ারে সেনা সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াত (Bipin&nbsp;Rawat) স্পর্শ করেছিলেন বহু শিখর।
জল্পনা ছিল যে, অবসরের আগে রাওয়াতকে পাঁচতারা ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত করা হতে পারে। জীবদ্দশায় সেই সুযোগ পেলেন না তিনি।
কীভাবে শুরু করেছিলেন নিজের কেরিয়ার? কোন কোন শিখর স্পর্শ করতে পেরেছিলেন তিনি? একবার দেখে নেবো আমরা।
&nbsp;
১) নরেন্দ্র মোদীর জমানায় নিযুক্ত প্রথম সেনাপ্রধান ছিলেন বিপিন লক্ষ্মণ সিংহ রাওয়াত। পেয়েছেন উত্তম যুদ্ধ সেবা মেডেল, পরম বিশিষ্ট সেবা মেডেল, অতি বিশিষ্ট সেবা মডেল, বিশিষ্ট সেবা মডেল, যুদ্ধ সেবা মডেল, সেনা মডেল -সহ একাধিক সেনা-সম্মাননা।
২) ৩ বছর কাজ করার পর ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর স্থলসেনা প্রধান হিসেবে অবসর নেওয়ার কথা ছিল রাওয়াতের। তাঁর এক দিন আগেই দেশের প্রথম সেনা সর্বাধিনায়ক পদে তাঁকে নিযুক্ত করে মোদী সরকার।
৩) স্বাধীন ভারতের সামরিক ইতিহাসে সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার সর্বাধিনায়ক হওয়ার কৃতিত্বের পালকও তাঁর টুপিতে। ছিলেন সমস্ত সামরিক বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পরামর্শদাতা।
৪) গোর্খা রেজিমেন্টের তৃতীয় অফিসার হিসেবে ২০১৬ সালের ১৭ ডিসেম্বর সেনাপ্রধান হন বিপিন রাওয়াত। তাঁর আগে এই শিরোপা ছিল গোর্খা রেজিমেন্টের মাত্র দু&rsquo;জন অফিসারের। তাঁর মধ্যে একজন হলেন জেনারেল দলবীর সিং সুহাগ এবং ফিল্ড মার্শাল শ্যাম মানেকশ।
৫) উত্তরাখণ্ডের পৌড়ীতে জন্মানো বিপিন রাওয়াত ১৯৭৮ সালের ডিসেম্বরে যোগ দেন সেনার ১১ গোর্খা রাইফেলসের পঞ্চম ব্যাটালিয়নে। 
৬) তাঁর বাবা লেফটেন্যান্ট জেনারেল লক্ষ্মণ সিংহ রাওয়াত ভারতীয় সেনার সহ-সেনাপ্রধান হিসাবে অবসর নেন ১৯৮৮ সালে। 
৭) শিমলার সেন্ট এডওয়ার্ড স্কুলে পড়াশোনা শেষ করে তিনি যান পুনেতে খড়কভাসলার ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমিতে। এর পর দেরাদুনে ইন্ডিয়ান মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণ শেষ করেন।
৮) তাঁর ৪০ বছরের দীর্ঘ সেনা-কেরিয়ারে তিনি উত্তর, পূর্ব এবং দাক্ষিণাত্যের বিভিন্ন বাহিনীর দায়িত্ব সামলেছেন।
৯) ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাঁকে সহ-সেনাপ্রধান পদে উন্নীত করা হয়।
১০) ২০১৫ সালে মণিপুরে জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে ১৮ জন জওয়ানের মৃত্যুর পর মায়ানমার সীমান্তে ভারতীয় সেনার যে ইউনিটটি জঙ্গি নিকেশ করেছিল, তার নেতৃত্বে ছিলেন বিপিন রাওয়াত।
১১) তিনি শুধুমাত্র একজন সেনা আধিকারিকই ছিলেন না। তাঁর সঙ্গেই ছিলেন সামরিক কৌশল বিষয়ক বিদ্যার মনোযোগী ছাত্রও। তিনি এমফিল এবং পিএইচডিও করেছিলেন তাতে।

obituary

ক্যাটাগরি

Trending topics