খবর এবং তথ্যের জনপ্রিয় একটি ভারতীয় প্ল্যাটফর্ম- Editorji । ২০১৮ সালে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় সাংবাদিক বিক্রম চন্দ্রা'র নেতৃত্বে এই ডিজিটাল  প্ল্যাটফর্মের যাত্রা শুরু। অল্প সময়ের মধ্যেই দেশের দর্শক এবং শ্রোতাদের নজরে এসেছে এই প্ল্যাটফর্ম। অ্যান্ড্রয়েড এবং iOS অ্যাপ্লিকেশন আছে, এমন সমস্ত মোবাইল ফোনেই Editorji -র সব খবর দেখা, পড়া এবং শোনা যায়।

ABOUT US

about us editorji

Editorji বাংলা:  Get all latest breaking news videos in Bengali on Editorji. Watch latest Bengali News (বাংলা খবর) videos on politics, entertainment, sports, lifestyle, Business, Kolkata city news and more. 

Editorji বাংলা: Bengali Video News, Latest Bangla News, Breaking News in Bengali | Editorji

+91 11 4035 6666 / info@editorji.com
3rd floor, Plot B, Khasara no 360, Sultanpur, New Delhi, Delhi 110030
<a title="mail to us" href="mailto:info@editorji.com">Send Feedback</a>

REACH US

Contact for any questions, suggestions, comments, feedback or advertisement on Editorji.com, we are always looking forward to hearing from you.

Contact Us for Feedback, Suggestions and Advertising 

Today Gold-Silver Price

Omicron BF7 in India

Covid 19 New variant

Bank Holiday in January 2023

West Bengal Government Jobs

West Bengal Weather update 

Editorji-র যাবতীয় কনটেন্ট একইসঙ্গে

Subhash Bhowmick:  প্রতি বছর ২৯ জুলাই ‘মোহনবাগান দিবসে’ পুরস্কার পাবেন বছরের সেরা ফরোয়ার্ড। 

Mohun Bagan club decided to launch best forward award in the name of late Subhash Bhowmick - Subhash Bhowmick: সুভাষ ভৌমিকের নানে 'সেরা ফরোয়ার্ড' পুরস্কার চালু করল মোহনবাগান

প্রথম বছর এই পুরস্কার পাবেন ডার্বি জয়ের নায়ক কিয়ান নাসিরি

Subhash Bhowmick: সুভাষ ভৌমিকের নামে 'সেরা ফরোয়ার্ড' পুরস্কার চালু করল মোহনবাগান

সুভাষ ভৌমিকের (Sybhash Bhowmick) নামে নতুন পুরস্কার চালু করতে চলেছে মোহনবাগান ক্লাব (Mohun Bagan)।

সদ্যপ্রয়াত প্রাক্তন ফুটবলার তথা দুই প্রধানের অন্যতম সফল কোচ সুভাষ ভৌমিকের (Sybhash Bhowmick) নামে নতুন পুরস্কার চালু করতে চলেছে মোহনবাগান ক্লাব (Mohun Bagan)। প্রতি বছর সবুজ মেরুনের সেরা ফরোয়ার্ডকে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। প্রতি বছর ২৯ জুলাই &lsquo;মোহনবাগান দিবসে&rsquo; পুরস্কার পাবেন বছরের সেরা ফরোয়ার্ড। এ বার এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে এটিকে মোহনবাগানের (ATK Mohun Bagan) ডার্বি জয়ের নায়ক কিয়ান নাসিরিকে।
আরও পড়ুন:&nbsp;<a href="https://www.editorji.com/bengali/sports-news/football/atk-mohun-bagan-coach-juan-ferrando-explains-the-behind-strategy-about-kiyan-nassiri-1643538041968" target="_blank">Kolkata Derby Kiyan Nassiri: কেন নাসিরিকে নামিয়েই ডার্বিতে বাজিমাত, ম্যাচের পর জানালেন কোচ জুয়ান ফেরান্দো</a>
মোহনবাগান ক্লাব এবং জাতীয় দলের প্রবাদপ্রতিম ফুটবলার জার্নেল সিংহের নামে প্রতি বছর সেরা রক্ষণভাগের খেলোয়াড়কে &lsquo;সেরা ডিফেন্ডার&rsquo;-এর পুরস্কার তুলে দেওয়া হত মোহনবাগানের তরফে। এই প্রথম &lsquo;সেরা ফরোয়ার্ডের&rsquo; পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন:&nbsp;<a href="https://www.editorji.com/bengali/sports-news/a-detailed-analysis-of-the-career-of-footballer-and-coach-subhash-bhowmick-1642842420955" target="_blank">Subhash Bhowmick obituary: বাংলা ফের সুভাষহীন। &lsquo;বুলডোজার&rsquo; থেকে &lsquo;গডফাদার&rsquo; ভৌমিকের প্রয়াণে নিঃস্ব ময়দান</a>
সুভাষের স্মরণে মোহনবাগান ক্লাবের টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য বিদেশ বসু এবং মানস ভট্টাচার্য কিয়ানের নাম এই পুরস্কারের প্রথম প্রাপক হিসেবে ঘোষণা করেছেন। শনিবার আইএসএল-এর কলকাতা ডার্বিতে হ্যাটট্রিক করেছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার জামশিদ নাসিরির ছেলে কিয়ান। তরুণতম ফুটবলার হিসেবে হ্যাটট্রিক করেন তিনি।

বরাবরের স্বাধীনচেতা, একরোখা মানুষটি কখনও কারও সঙ্গে আপোস করেননি। ফুটবলারদের যেমন ভালোবাসতেন, আবার ম্যাচ চলাকালীন মাঠেই তর্কেও জড়িয়েছেন সমর্থকদের সঙ্গে। 

Subhash Bhowmik's demise, emotional outburst of teammates   - Subhash Bhowmik demise: একরোখা ভোম্বলের মৃত্যুতে শোকাচ্ছন্ন ময়দান, আবেগে ভাসলেন সুব্রত-শ্যাম-গৌতমরা

বরাবরের স্বাধীনচেতা, একরোখা মানুষটি কখনও কারও সঙ্গে আপোস করেননি। ফুটবলারদের যেমন ভালোবাসতেন, আবার ম্যাচ চলাকালীন মাঠেই তর্কেও জড়িয়েছেন সমর্থকদের সঙ্গে। বরাবরের হার না মানা, একরোখা সুভাষ 'ভোম্বল' ভৌমিক(Subhash Bhowmik) অবশেষে হার মানলেন। শনিবার সকালেই পাড়ি দিলেন ‘না ফেরার দেশে’।‌  

Subhash Bhowmik demise: একরোখা ভোম্বলের মৃত্যুতে শোকাচ্ছন্ন ময়দান, আবেগে ভাসলেন সুব্রত-শ্যাম-গৌতমরা

বরাবরের স্বাধীনচেতা, একরোখা মানুষটি কখনও কারও সঙ্গে আপোস করেননি। ফুটবলারদের যেমন ভালোবাসতেন, আবার ম্যাচ চলাকালীন মাঠেই তর্কেও জড়িয়েছেন সমর্থকদের সঙ্গে। সুভাষ 'ভোম্বল' ভৌমিক&nbsp;শনিবার সকালেই পাড়ি দিলেন &lsquo;না ফেরার দেশে&rsquo;।&zwnj; &nbsp;

মাত্র ১৯ বছর বয়সে বাংলার ফুটবল(Football) জগতে পা রেখেছিলেন তরুণ সুভাষ ভৌমিক(Subhash Bhowmik)। আর তারপর দীর্ঘ প্রায় ১১ বছর ধরে দুই প্রধানের ভরসা ছিলেন ময়দানের 'ভোম্বল দা'। তাঁকে নিয়ে মোহন-ইস্টের দড়ি টানাটানি চলত অহরহ। অবশেষে ১৯৭৯ সালে অবসর নেন ফুটবলার সুভাষ ভৌমিক(Subhash Bhowmik)।
ক্লাব ক্যারিয়ারে মোট ২৭টি ট্রফি জেতা সুভাষ মোহনবাগানকে(Mohun Bagan) এনে দিয়েছিলেন ১৬টি ট্রফি।&zwnj; ইস্টবেঙ্গল(East Bengal) পেয়েছিল ১১টি ট্রফি।&zwnj;এর পাশাপাশি বাংলা এবং দেশের হয়েও ট্রফি জিতেছেন সুভাষ ভৌমিক(Subhash Bhowmik)। অল্প বয়েসে পুত্রের মৃত্যুও টলাতে পারেনি এই একরোখা মানুষটিকে। তাঁর কাছে ফুটবলই(Football) ছিল তাঁর জীবনীশক্তি। তাই সমস্যায় পড়লেই আঁকড়ে ধরেছেন ফুটবলকে। &nbsp;
আরও পড়ুন-&nbsp;<a href="https://www.editorji.com/bengali/sports-news/football/mamata-banerjee-express-grief-of-death-of-ex-footballer-subhash-bhowmick-1642836787799" target="_blank">Subhash Bhowmick death : সুভাষ ভৌমিকের প্রয়াণে শোকবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর, নিমতলা মহাশ্মশানে শেষকৃত্য &nbsp;</a>
তবে ফুটবলার সুভাষকে নিয়ে যত না বেশি উদ্দীপনা ছিল মানুষের, ফুটবল কোচ হিসেবে 'ভোম্বল দা' তার চেয়েও বেশি স্মরণীয় হয়ে রয়েছেন বাংলার ফুটবলপ্রেমীদের(Football lover) কাছে। ডাকাবুকো কোচ সুভাষ জানতেন দলকে কীভাবে এক সুতোয় বেঁধে রাখতে হয়। তাই খাতায়-কলমে দুর্বল দল নিয়েও সাফল্য পেয়েছেন সুভাষ ভৌমিক(Subhash Bhowmik)।
সুব্রত ভট্টাচার্য(Subrata Bhattacharya) থেকে গৌতম সরকার(Goutam Sarkar), শ্যাম থাপা(Shyam Thapa) থেকে অ্যালভিটো-ডি-কুনহা। প্রত্যেকের গলাতেই ঝরে পড়েছে ক্ষেদ। মৃত্যুকে ভবিতব্য জেনেও তাঁরা সকলেই প্রশ্ন তুলেছেন, 'জীবন এতো ছোটো টেনে?' সুভাষ ভৌমিকের(Subhash Bhowmik) ম্যানেজমেন্ট এবং প্রশাসনিক দক্ষতা ছিল অতুলনীয়। নিজের স্বকীয়তার গুণেই ময়দানের বহু ফুটবলারের থেকে ছিলেন একটু অন্যরকম। মানুষকে বড় আপন করে নিতে পারতেন সুভাষ। দীপেন্দু বিশ্বাসের(Dipendu Biswas) কথায়, "যে কোনও সময়, যে কোনও প্রয়োজনে খেলোয়াড়দের পাশে থাকতেন সুভাষ ভৌমিক। খারাপ সময়েও ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাস জোগাতেন তিনি।" অ্যালভিটো জানালেন, "আমার কাছে পিতৃসম ছিলেন সুভাষ ভৌমিক। শুধু ভালো কোচই নয়, একজন ভালো মানুষ ছিলেন তিনি।"
আরও পড়ুন-&nbsp;<a href="https://www.editorji.com/bengali/sports-news/cricket/kl-rahul-and-hardik-pandya-named-as-the-captain-of-lucknow-and-ahmedabad-team-in-ipl-1642841855421" target="_blank">KL Rahul-Hardik Pandya: মেগা নিলামের আগে অধিনায়কদের নাম জানালো লখনউ-আমেদাবাদ, লখনউয়ের দায়িত্ব পেলেন রাহুল</a>
বরাবরের স্বাধীনচেতা, একরোখা মানুষটি কখনও কারও সঙ্গে আপোস করেননি। ফুটবলারদের যেমন ভালোবাসতেন, আবার ম্যাচ চলাকালীন মাঠেই তর্কেও জড়িয়েছেন সমর্থকদের সঙ্গে। প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূর থেকে কলকাতায় খেলতে এসে ভালোবেসে ফেলেছিলেন তিলোত্তমাকে। বরাবরের হার না মানা, একরোখা সুভাষ 'ভোম্বল' ভৌমিক(Subhash Bhowmik) অবশেষে হার মানলেন। শনিবার সকালেই পাড়ি দিলেন &lsquo;না ফেরার দেশে&rsquo;।&zwnj; &nbsp;

১৯৫০ সালের ২ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন সুভাষ ভৌমিক। ১৯৬৯ সালে প্রথমবার যোগ দেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে। এক বছর বাদেই ১৯৭০ সালে আবার সই করেন মোহনবাগানে। 

A detailed analysis of the career of footballer and coach Subhash Bhowmick - Subhash Bhowmick obituary: খেলোয়াড় জীবনে 'গুরু' ছিলেন পিকে, কোচ হিসেবে আবার প্রভাব ছিল অমল দত্ত-র

Subhash Bhowmick obituary: খেলোয়াড় জীবনে 'গুরু' ছিলেন পিকে, কোচ হিসেবে আবার প্রভাব ছিল অমল দত্ত-র

উত্তরবঙ্গের মালদহ থেকে কলকাতা ময়দান। কতটা পথ পেরলে তবে ফুটবলার হওয়া যায়, উত্তাল সত্তরের শুরুতে বাঙালিকে দেখিয়েছিলেন উনিশ বছরের এক যুবক। প্রতিপক্ষের জাল ছিঁড়েছে তাঁর পায়ে। তাঁর মগজাস্ত্রে নতজানু হয়েছে বেকতেরো সাসানার মতো প্রতিপক্ষ। ময়দানের সেই &lsquo;বুলডোজার&rsquo;, সেই &lsquo;গডফাদার&rsquo; আর নেই। প্রয়াত সুভাষ ভৌমিক। শনিবাসরীয় ভোরে ময়দান নিঃস্ব।&nbsp;
জন্ম ১৯৫০ সালের দোসরা অক্টোবর। ১৯৬৯ সালে মালদহ থেকে সোজা ময়দানে ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে সুভাষের যোগদান। একবছরের মাথায় ক্লাব বদল। লাল-হলুদ থেকে এবার সবুজ-মেরুন। সালটা ছিল ১৯৭৩। ফের ফিরে আসা ইস্টবেঙ্গলে।&nbsp;
খেলোয়াড় জীবনে গুরু মানতেন প্রয়াত পি কে বন্দ&zwj;্যোপাধ&zwj;্যায়কে। পিকেও তাঁর প্রিয় ছাত্রকে আদর করে ডাকতেন &lsquo;ভোম্বলবাবু&rsquo; নামে। সেই সুভাষই ছিলেন ১৯৭৫ সালে আইএফএ শিল্ড ফাইনালে মোহনবাগানকে ৫-০ গোলে হারানোর অন&zwj;্যতম নায়ক।&nbsp;
ফুটবলার সুভাষ ইতি টেনেছিলেন ইস্টবেঙ্গলে। কোচ সুভাষ শুরু করলেন ইস্টবেঙ্গল থেকেই। তবে লাল-হলুদে কোচ সুভাষের রূপকথা ২০০২ থেকে ২০০৫। দু&rsquo;বার আই লিগ, ত্রিমুকুট, এবং সর্বপরি ২০০৩ সালে জার্কাতায় বেকতেরো সাসানাকে হারিয়ে আশিয়ান কাপ জয়। একবালপুরের নার্সিংহোমে এ সব আজ অতীত।&nbsp;
ময়দান আজ নিঃস্ব। থেকে গেল &lsquo;বুলডোজার&rsquo; থেকে &lsquo;গডফাদার&rsquo; হয়ে ওঠা সুভাষ ভৌমিকের রূপকথা।&nbsp;

১৯৫০ সালের ২ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন সুভাষ ভৌমিক। ১৯৬৯ সালে প্রথমবার যোগ দেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে। এক বছর বাদেই ১৯৭০ সালে আবার সই করেন মোহনবাগানে।

উত্তরবঙ্গের মালদহ থেকে কলকাতা ময়দান। কতটা পথ পেরলে তবে ফুটবলার হওয়া যায়, উত্তাল সত্তরের শুরুতে বাঙালিকে দেখিয়েছিলেন উনিশ বছরের এক যুবক। প্রতিপক্ষের জাল ছিঁড়েছে তাঁর পায়ে। তাঁর মগজাস্ত্রে নতজানু হয়েছে বেকতেরো সাসানার মতো প্রতিপক্ষ ক্লাবের মাথা। ময়দানের সেই &lsquo;বুলডোজার&rsquo;, সেই &lsquo;গডফাদার&rsquo; আর নেই। প্রয়াত সুভাষ ভৌমিক। শনিবাসরীয় ভোরে ময়দান নিঃস্ব।&nbsp;
জন্ম ১৯৫০ সালের দোসরা অক্টোবর। আন্তঃজেলা স্কুল ফুটবলে প্রখমে নজরে আসে ছোট্ট সুভাষ। ১৯৬৯ সালে মালদহ থেকে সোজা ময়দান ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে তাঁর যোগদান। একবছরের মাথায় ক্লাব বদল। লাল-হলুদ থেকে এবার সবুজ-মেরুন। সালটা ছিল ১৯৭৩। ফের ফিরে আসা ইস্টবেঙ্গলে। এরপর টানা তিন বছর লাল-হলুদকে তাঁর সেরাটা দিয়েছিলেন ততদিনে ময়দানে বুলডোজার নামে বিখ&zwj;্যাত সুভাষ ভৌমিক।&nbsp;
খেলোয়াড় জীবনে গুরু মানতেন প্রয়াত পি কে বন্দ&zwj;্যোপাধ&zwj;্যায়কে। পিকেও তাঁর প্রিয় ছাত্রকে আদর করে ডাকতেন &lsquo;ভোম্বলবাবু&rsquo; নামে। সেই সুভাষই ছিলেন ১৯৭৫ সালে আইএফএ শিল্ড ফাইনালে মোহনবাগানকে ৫-০ গোলে হারানোর অন&zwj;্যতম নায়ক। ১৯৭৯ সালে ইস্টবেঙ্গল জার্সিতে ময়দানকে বিদায় জানিয়েছিলেন ফুটবলার সুভাষ। কিন্তু ময়দান তাঁকে আলবিদা জানায়নি। বরং নতুন সুভাষকে চিনিয়ে ছিল গড়ের মাঠ। এবার কোচের ভূমিকায়।&nbsp;
দেবজিৎ ঘোষ থেকে অ&zwj;্যালভিটো ডি&rsquo;কুনহা। দীপক মণ্ডল থেকে সুরকুমার সিংয়ের একদা গডফাদারের নাম সুভাষ ভৌমিক। &lsquo;সব ঠিক যাবে&rsquo;- এই বার্তাতেই দলকে আগলে রাখতেন। কখনও দাদা সুভাষ তো আবার কখনও স&zwj;্যর সুভাষ হয়ে। বিদেশি ফুটবল সম্পর্কে তাঁর অধ&zwj;্যাবসায় ছিল কোচ সুভাষের সাফল&zwj;্যের চাবিকাঠি। সে কারণে ময়দানে প্রথম জাকুজি বসেছিল ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে। রোজ মাঠে যাওয়া শত শত ইস্টবেঙ্গল সমর্থক দেখেছিলেন ভারতীয় ফুটবলে বিদেশি অনুশীলনের ছোঁয়া।&nbsp;
ঠিক যেখানে শেষ করেছিলেন, ঠিক সেখান থেকেই শুরু। ফুটবলার সুভাষ ইতি টেনেছিলেন ইস্টবেঙ্গলে। কোচ সুভাষ শুরু করলেন ইস্টবেঙ্গল থেকেই। তবে লাল-হলুদে কোচ সুভাষের রূপকথা ২০০২ থেকে ২০০৫। দু&rsquo;বার আই লিগ, ত্রিমুকুট, এবং সর্বপরি ২০০৩ সালে জার্কাতায় বেকতেরো সাসানাকে হারিয়ে আশিয়ান কাপ জয়। এই সবই এই তিন বছরের মধ&zwj;্যে।&nbsp;
কোচ সুভাষকে সুভাষকে দেখা গিয়েছিল মহমেডান স্পোর্টিং এবং মোহনবাগানেও। কিন্তু সেখানে সাফল&zwj;্য ছিল না। তবে তাঁর জীবনের শেষ সাফল&zwj;্য গঙ্গাপারে নয়, মাণ্ডবী নদীর তীরে। এ লাইসেন্স ছিল না। তাই কোচ নয়, টেকনিক&zwj;্যাল ডিরেক্টর সুভাষ ভৌমিকের প্রখরতায় আই লিগ জয় করেছিল চার্চিল ব্রাদার্স।&nbsp;
বরাবরই সোজাসাপটা। তাই বিতর্ক ছিল তাঁর সঙ্গী। কিন্তু মাঠের বাইরে তাঁর জীবনে বিতর্ক ছুঁয়ে গিয়েছিল এক ঘুষকাণ্ডকে কেন্দ্র করে।
২২ জানুয়ারির ভোরে একবালপুর নার্সিংহোমে সব অতীত হয়ে গেল। ময়দান আজ নিঃস্ব। থেকে গেল &lsquo;বুলডোজার&rsquo; থেকে &lsquo;গডফাদার&rsquo; হয়ে ওঠা সুভাষ ভৌমিকের রূপকথা।&nbsp;

সুভাষ ভৌমিকের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ কলকাতা ময়দান । শোকস্তদ্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । প্রাক্তন ফুটবলারের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন তিনি ।
শোকবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘বিশিষ্ট ফুটবলার ও কোচ সুভাষ ভৌমিকের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি । তিনি আজ কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন । বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর । সুভাষ ভৌমিক ইস্ট বেঙ্গল, মোহনবাগান ক্লাব ছাড়াও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন ।'
তিনি আরও বলেন, '১৯৭০ সালে এশিয়ান গেমসে ভারতের ব্রোঞ্জজয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি। এ ছাড়াও তিনি কলকাতার তিন প্রধান ফুটবল দলের কোচের দায়িত্ব সুচারু ভাবে পালন করেছেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১৩ সালে তাঁকে ‘ক্রীড়াগুরু’ সম্মানে ভূষিত করে। তাঁর প্রয়াণে ক্রীড়া জগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি হল ।'
ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও শোকপ্রকাশ করেছেন । এদিন তিনি প্রয়াত ফুটবলারের বাড়িতে যান । পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলেন । সেখানে তিনি জানিয়েছেন, সুভাষের মরদেহ ময়দানের কোথাও নিয়ে যাওয়া হবে না । শনিবার নিমতলা মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে । তাই হাসপাতাল থেকে সরাসরি নিমতলাতেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাঁর মরদেহ । কোভিডবিধি মেনে পরিবারের তরফে পাঁচজন উপস্থিত থাকতে পারবেন ।
অরূপ বিশ্বাসের আক্ষেপ, "তাঁর ভবিষ্যৎ চিকিৎসার ব্যাপারে পরিকল্পনা করেই রেখেছিলাম । কিন্তু, কোনও কিছুরই সুযোগ দিলেন না ।”
২৩ বছর আগে বাইপাস সার্জারিও হয়েছিল তাঁর । দীর্ঘ দিন ধরেই সুগার এবং কিডনির অসুখে ভুগছিলেন । তিন মাস ধরে ডায়ালিসিসও চলছিল তাঁর । শেষে বুকে সংক্রমণ নিয়ে বেশ কয়েকদিন ভর্তি ছিলেন একবালপুরের একটি নার্সিংহোমে । অবশেষে শনিবার সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রাক্তন ফুটবলার সুভাষ ভৌমিক ।

Mamata Banerjee express grief of death of ex footballer Subhash Bhowmick - Subhash Bhowmick death : সুভাষ ভৌমিকের প্রয়াণে শোকবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর, নিমতলা মহাশ্মশানে হবে শেষকৃত্য  

সুভাষের মরদেহ ময়দানের কোথাও নিয়ে যাওয়া হবে না । শনিবার নিমতলা মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে । 

Subhash Bhowmick death : সুভাষ ভৌমিকের প্রয়াণে শোকবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর, নিমতলা মহাশ্মশানে হবে শেষকৃত্য  

সুভাষ ভৌমিকের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ কলকাতা ময়দান । শোকস্তদ্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । প্রাক্তন ফুটবলারের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন তিনি ।
তিনি জানিয়েছেন,&nbsp;সুভাষ ভৌমিক ইস্ট বেঙ্গল, মোহনবাগান ক্লাব ছাড়াও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন ।&nbsp;তাঁর প্রয়াণে ক্রীড়া জগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি হল ।
ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও শোকপ্রকাশ করেছেন । এদিন তিনি প্রয়াত ফুটবলারের বাড়িতে যান ।&nbsp;সেখানে তিনি জানিয়েছেন, সুভাষের মরদেহ ময়দানের কোথাও নিয়ে যাওয়া হবে না । শনিবার নিমতলা মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে ।
বাইট যাবে শেষে ০.২১-০.৩১, অরূপ বিশ্বাস, ক্রীড়ামন্ত্রী

সুভাষের মরদেহ ময়দানের কোথাও নিয়ে যাওয়া হবে না । শনিবার নিমতলা মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে ।

সুভাষ ভৌমিকের (Subhash&nbsp;Bhowmick) প্রয়াণে শোকস্তব্ধ কলকাতা ময়দান । শোকস্তদ্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata&nbsp;Banerjee) । প্রাক্তন ফুটবলারের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন তিনি ।
শোকবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, &lsquo;বিশিষ্ট ফুটবলার ও কোচ সুভাষ ভৌমিকের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি । তিনি আজ কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন । বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর । সুভাষ ভৌমিক ইস্ট বেঙ্গল, মোহনবাগান ক্লাব ছাড়াও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন ।'
তিনি আরও বলেন, '১৯৭০ সালে এশিয়ান গেমসে ভারতের ব্রোঞ্জজয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি। এ ছাড়াও তিনি কলকাতার তিন প্রধান ফুটবল দলের কোচের দায়িত্ব সুচারু ভাবে পালন করেছেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১৩ সালে তাঁকে &lsquo;ক্রীড়াগুরু&rsquo; সম্মানে ভূষিত করে। তাঁর প্রয়াণে ক্রীড়া জগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি হল ।'
আরও পড়ুন,&nbsp;<a href="https://www.editorji.com/bengali/sports-news/legendary-football-coach-subhash-bhowmick-passes-away-1642826808414" target="_blank">Subhash Bhowmick: প্রয়াত সুভাষ ভৌমিক! কিংবদন্তি ফুটবলার এবং প্রাক্তন কোচের মৃত্যুতে ময়দানে ইন্দ্রপতন!</a> &nbsp;
ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও (Arup&nbsp;Biswas) শোকপ্রকাশ করেছেন । এদিন তিনি প্রয়াত ফুটবলারের বাড়িতে যান । পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলেন । সেখানে তিনি জানিয়েছেন, সুভাষের মরদেহ ময়দানের কোথাও নিয়ে যাওয়া হবে না । শনিবার নিমতলা মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে । তাই হাসপাতাল থেকে সরাসরি নিমতলাতেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাঁর মরদেহ । কোভিডবিধি মেনে পরিবারের তরফে পাঁচজন উপস্থিত থাকতে পারবেন ।
অরূপ বিশ্বাসের আক্ষেপ, "তাঁর ভবিষ্যৎ চিকিৎসার ব্যাপারে পরিকল্পনা করেই রেখেছিলাম । কিন্তু, কোনও কিছুরই সুযোগ দিলেন না ।&rdquo;
২৩ বছর আগে বাইপাস সার্জারিও হয়েছিল তাঁর । দীর্ঘ দিন ধরেই সুগার এবং কিডনির অসুখে ভুগছিলেন । তিন মাস ধরে ডায়ালিসিসও চলছিল তাঁর । শেষে বুকে সংক্রমণ নিয়ে বেশ কয়েকদিন ভর্তি ছিলেন একবালপুরের একটি নার্সিংহোমে । অবশেষে শনিবার সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রাক্তন ফুটবলার সুভাষ ভৌমিক ।

Subhash Bhowmick: মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের হয়ে দাপিয়ে খেলেছেন, ভারতের হয়ে জিতেছেন এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জ পদক।

legendary football coach subhash bhowmick passes away - Subhash Bhowmick: ময়দানে ইন্দ্রপতন! প্রয়াত কিংবদন্তি ফুটবলার এবং কোচ সুভাষ ভৌমিক

ময়দানে ইন্দ্রপতন! প্রয়াত কিংবদন্তি ফুটবলার এবং কোচ সুভাষ ভৌমিক

Subhash&nbsp;Bhowmick:&nbsp;মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের হয়ে দাপিয়ে খেলেছেন সুভাষ ভৌমিক, ভারতের হয়ে জিতেছেন এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জ পদক।

ভারীয় ফুটবলে ইন্দ্রপতন। অভিভাবকহীন বাংলার ফুটবল জগত।&nbsp;প্রয়াত&nbsp;কিংবদন্তী ফুটবলার ও কোচ সুভাষ ভৌমিক (Subhash&nbsp;Bhowmick)। শনিবার ভোররাত সাড়ে তিনটে নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ময়দানের সকলের প্রিয় ভোম্বলদা।
দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন সুভাষ ভৌমিক। গত সাড়ে তিন মাস ধরে তাঁর ডায়ালিসিস চলছিল। গত কয়েকদিন ধরে বুকে সংক্রমণের জেরে ভর্তি ছিলেন কলকাতার এক নামী নার্সিংহোমে।&nbsp; কিন্তু শেষমেশ এই লড়াইটা জেতা হল না।&nbsp;
ভারতীয় ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ড হিসেবে তাঁকে মনে রাখবে ফুটবল জগত। মোহনবাগান (Mohun&nbsp;Bagan) ও ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) হয়ে দাপিয়ে খেলেছেন, ভারতের হয়ে জিতেছেন এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জ পদক।
খেলোয়াড় হিসেবে যতটা সফল ছিলেন, তার থেকেও অধিক সফল ছিলেন কোচ হিসেবে। মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল সহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন ক্লাবে সাফল্যের সাথে কোচিং করিয়েছেন। তবে কোচ হিসেবে সুভাষের সেরা জয় হবে ২০০৩ সালে আশিয়ান কাপ।

subhash bhowmick

ক্যাটাগরি

Trending topics