অগ্নিপথের ধাঁচেই কর্মী নিয়োগ করতে শুরু করেছে স্টেট ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক অব বরোদা সহ কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক (Bank recruitment)। চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ করা হচ্ছে অফিসার গ্রেড-এর পদগুলিতে। কিছু দিন আগেও ওই পদগুলিতে স্থায়ী কর্মী নিয়োগ করা হত।
ব্যাংক কর্মী ইউনিয়নগুলির অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার এ ভাবে সব জায়গাতেই অগ্নিপথ মডেল এনে কম টাকায় কাজ করিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। যাঁদের অস্থায়ী ভাবে চাকরি দেওয়া হচ্ছে, তাঁরা বঞ্চিত হবেন। বহু মেধাবী ছেলেমেয়ের কেরিয়ার নষ্ট হবে। চুক্তি শেষে কেউ অন্য জায়গায় কাজ না পেলে আর্থিক অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে, কারণ আর্থিক ভাবে কোনও বাড়তি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না তাঁদের।
iPhone:গত বছরে আইফোন বিক্রি করে রেকর্ড মুনাফা, অ্যাপল কৃতিত্ব দিচ্ছে ভারতকে
যে সব পদে নিয়োগ করা হচ্ছে, তাতে বেতন এবং চাকরির মেয়াদ, দু’টিই আগে থেকে নির্দিষ্ট করে বেঁধে দেওয়া হচ্ছে চুক্তিতে। মাসে মাসে থোক টাকা বেতনে দুই থেকে সাত বছরের চুক্তি হচ্ছে। মেয়াদ শেষ হলে তা নবীকরণ হবে কি না, সেটা নির্ভর করবে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের ইচ্ছের উপরে। বেতনের বাইরে তেমন কোনও আর্থিক সুবিধা দেওয়ার বন্দোবস্তও নেই। চুক্তিতে নিযুক্ত অফিসাররা পেনশন বা গ্র্যাচুইটি পাবেন না বলে জানিয়েছে ইউনিয়নগুলি। তাদের মতে, এর ফলে যাঁরা চুক্তি শেষে কাজ থেকে বাদ পড়বেন, তাঁদের কোনও আর্থিক নিশ্চয়তা থাকবে না। অনেকেরই প্রশ্ন, ৪০ বছর বয়সে কারও চুক্তি শেষ হলে নতুন কাজ পাওয়া কি সহজ?
ইউনিয়নগুলি ইতিমধ্যেই প্রতিবাদ জানিয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক অফিসার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় দাস বলেন, “নিয়োগের এই নতুন মডেলে তুলনামূলক ভাবে অনেক কম টাকায় কাজ করিয়ে নিতে চাইছেন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। ওই সব অফিসারদের পেনশন দেওয়ার দায়ও ঘাড় থেকে ঝেড়ে ফেলতে পারবে সরকার।’’ সঞ্জয়বাবুর সঙ্গে একমত ব্যাঙ্ক শিল্পের বিভিন্ন ইউনিয়নের যৌথ মঞ্চ ইউএফবিইউ-র আহ্বায়ক গৌতম নিয়োগী। তিনি বলেন, “প্রতিরক্ষায় যেমন অগ্নিপথ প্রকল্প আনা হয়েছে, খানিকটা সেই ধাঁচেই ব্যাঙ্ক শিল্পে নিয়োগের পরিকল্পনা করেছে সরকার। বহু কর্মী এর মাসুল গুনবেন।’’