রাজ্যে বিপুল কর্মসংস্থানের হদিশ। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে এমনই ঘোষণা করলেন দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়। স্বাস্থ্যক্ষেত্র থেকে খাদ্য দফতর, বেকার সমস্যা দূরীকরণে উদ্যোগী রাজ্যের মন্ত্রিসভা।
তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার পরই শিল্প এবং কর্মসংস্থানে জোর দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে শিল্প বিনিয়োগ আনতে চাইছেন তিনি। পাশাপাশি রাজ্যের যুবসমাজের কর্মসংস্থান করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই উদ্দেশ্যপূরণে সোমবার একাধিক সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রিসভা।
- গ্রাম এবং শহরাঞ্চলের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়নে জোর দিচ্ছে রাজ্য। তাই দুই ক্ষেত্রেই ১১ হাজার ৫২১ জন স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করবে রাজ্য। তবে পুরো নিয়োগই হবে চুক্তিভিত্তিক এবং আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে।
- খাদ্য দফতরে ৩৪২ ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ করবে নবান্ন। নিয়োগ হবে প্রকল্পভিত্তিক।
- গত বছর হুগলি এবং মুর্শিদাবাদে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছিল ২৬ জনের। তাঁদের পরিবারের সদস্যকেও সরকারি চাকরি দেবে রাজ্য।
- মগরাহাটের নিহত দু’ জনের পরিবারের সদস্যকে চাকরি দেওয়ার ঘোষণা রাজ্যের।
- রাজ্যের ট্রাক টার্মিনালগুলি অধিগ্রহণ করবে সরকার। এগুলিতে বিভিন্ন বেনিয়মের অভিযোগ আসছিল। তাই টার্মিনালগুলি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেখানকার কর্মীদের চুক্তিভিত্তিক চাকরি দেবে রাজ্য। রাজ্য সরকার চুক্তির ভিত্তিতে তাঁদের বেতন দেবে।
- পণ্য পরিবাহী আন্তর্জাতিক লরিগুলির কর কাঠামোর সরলীকরণ করা হল। এতদিন আলাদা আলাদা কর দেওয়া হত। এবার ন্যূনতম একটা কর দিয়ে যেতে পারবে লরিগুলি। পচনশীল সামগ্রীর ট্রাক আগে ছাড়া হবে। তারপর যাবে বাকি ট্রাক।
- সিলিকন ভ্যালির জমি বন্টন নিয়েও বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই ভ্যালিতে এতদিন ইনফরমেশন টেকনোলজি সংস্থাকে জমি দেওয়া হত। এবার থেকে সেখানে চিপ এবং সেমি কনডাক্টর প্রস্তুতকারক সংস্থাকেও জমি দেওয়া হবে।