কোনও জঙ্গিযোগ নয়, বরং বড়লোক সইফ আলি খানের ঘরে চুরি করে মায়ের চিকিৎসার টাকা জোগাড় করাই ছিল ধৃত শরিফুল ইসলাম শেহজাদের উদ্দেশ্য। এমনকি ধরা পড়ার পর ধৃত স্বীকার করেছেন, তিনি কার ঘরে ঢুকেছেন জানতেন না। এমনকি তিনি সইফ আলি খান বলে কোনও অভিনেতাকে চেনেন না। বরং তিনি চেনেন শাহরুখ খানকে। সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছে মুম্বই পুলিশের অপরাধ দমন শাখা।
জানা গিয়েছে, গভীর রাতে সইফের বাড়িতে ঢুকে পরা ওই ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক। মাস সাতেক আগে মেঘালয়ের কাছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ডাউকি নদী পেরিয়ে ভারতে ঢোকেন তিনি। কলকাতায় কিছুদিন থাকার পর, কাজের সন্ধানে মুম্বই চলে যান। তবে তাঁর সঙ্গে কোনও জঙ্গি যোগের দাবি করছে না মুম্বই পুলিশ। বরং তাদের দাবি, দারিদ্রতার কারণে কাজের সন্ধানে ভারতে এসেছিলেন ধৃত ওই ব্যক্তি। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল কাজ করে মায়ের চিকিৎসার টাকা জোগাড় করা।
ঠাণে এলাকার একটি হোটেলে কাজও জুটে যায় ধৃত শরিফুলের। কিন্তু বেতন মিলত বড়জোর ১৩ হাজার টাকা। যে টাকার বেশিরভাগ অংশ তাঁকে পাঠিয়ে দিতে হত মায়ের চিকিৎসার জন্য। গত অগস্ট মাসেও ওরলির একটি রেস্তরাঁয় চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে যান শরিফুল। একথা জানিয়েছেন ওই রেস্তোরাঁর ম্যানেজার। এরই মধ্যে গত ১৫ ডিসেম্বর চাকরি কাজটি হারান তিনি। তারপর থেকে টাকা উপার্জনের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন তিনি।
এরপরই বিভিন্ন অভিজাত এলাকা ঘুরে ঘুরে দেখেন শরিফুল। তাঁকে দেখা গিয়েছিল মন্নতের আশেপাশেও। কিন্তু কড়া পাহারা আর কুকুরের চিৎকারে কিং খানের বাড়িতে ঢুকতে পারেননি তিনি। যদিও পুলিশকে ধৃত জানিয়েছেন শাহরুখকে দেখতেই মন্নতের সামনে গিয়েছিলেন। কারণ তাঁর পরিবার এবং বন্ধুদের দাবি, তাঁকে নাকি শাহরুখ খানের মতোই দেখতে।
এরপর অজান্তেই সইফের বাড়ি পৌঁছন শরিফুল। গার্ডদের ঘুমোতে দেখে সোজা ১২ তলায় উঠে যান তিনি। অভিনেতা তাঁর মুখোমুখি হলে তাঁকে ছুরি দিয়ে লাগাতার আঘাত করেন। এমনকি তাঁর পিঠে গেঁথে যায় ছুরির একটা টুকরো। হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে অপারেশন করে সেই ছুরির অংশ বের করতে হয়। ৬ দন পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান সইফ। আপাতত বেশ সুস্থই আছেন তিনি।