উদ্ধব ঠাকরে নয়, একনাথ শিন্ডেই (Eknath Shinde) আইনসভায় তাঁদের নেতা । মহারাষ্ট্রের (Maharashta Crisis) রাজ্যপাল এবং ডেপুটি স্পিকারকে চিঠি লিখে জানিয়ে দিলেন ৩৭ জন বিধায়ক । এই চিঠিতে শিন্ডেকেরই দলনেতা উল্লেখ হয়েছে । এদিকে, একদিন আগেই জিরওয়াল, শিবসেনা (Shivsena) বিধায়ক দলের গোষ্ঠী নেতা হিসাবে অজয় চৌধুরীর নাম অনুমোদন করেছিলেন । সেক্ষেত্রে, মহারাষ্ট্র মহা বিকাশ অগাড়ি (MVA) সরকারের ভবিষ্যৎ ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে ।
উদ্ধব শিবির থেকে ডেপুটি স্পিকারকে চিঠি দিয়ে ১২ জন বিদ্রোহী বিধায়ককে ‘ডিসকোয়ালিফাই’ করার আবেদন জানানো হয় । শিন্ডে ওই আবেদনকে শুধু ‘বেআইনি’ বলেননি, তাঁর পক্ষে থাকা বিধায়কদের সই করা পাল্টা চিঠি পাঠালেন ডেপুটি স্পিকারের কাছে । এই মুহূর্তে তাঁরা গুয়াহাটিতে রয়েছেন । সেইসঙ্গে আরও জানা গিয়েছে, শিবসেনা বিধায়ক ভারত গোগাওয়ালেকে সুনীল প্রভুর জায়গায় বিধানসভায় দলের চিফ হুইপ হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছে ।
প্রসঙ্গত, বুধবার বিকাল পাঁচটার সময় বিদ্রোহী বিধায়কদের দলের বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য ‘অন্তিম সময়সীমা’ জারি করেন উদ্ধব ঠাকরে । বৈঠকে উপস্থিত না থাকলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বার্তাও দেন তিনি । কিন্তু কেউ সেই বৈঠকে কেউ হাজির হননি । এরপরই টুইট করেন শিন্ডে ।
শিন্ডে লেখেন, ‘আপনি কাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন? আমরা আইন জানি।’ এ প্রসঙ্গে তিনি সংবিধানের উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘সংবিধানের ১০ম তফসিল অনুযায়ী বিধানসভার কাজে বাধ্যতামূলক উপস্থিত থাকার জন্য হুইপ জারি করা যায়, কোনও দলীয় বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য নয়। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টেরও একাধিক রায় আছে।’শিন্ডের বার্তা, ‘১২ জন বিধায়কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়ে আপনি আমাদের ভয় দেখাতে পারবেন না। কারণ আমারই প্রকৃত শিবাসেনা, শ্রদ্ধেয় বালা ঠাকরের শিব সৈনিক।’