আবারও ছাত্র সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে উঠল দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (JNU)। রামনবমীর দিন মাংস খাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লেন সংঘ পরিবারের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি এবং বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের ছাত্রছাত্রীরা। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। বামপন্থীদের দাবি, এবিভিপির পড়ুয়ারা মাংস খেতে বাধা দিয়েছেন। এবিভিপির (ABVP) পাল্টা অভিযোগ, রামনবমীর প্রার্থনায় বাধা দিয়েছেন বামেরা। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বাম জোটের দখলে থাকা জেএনইউ-এর ছাত্র সংসদ।
ঘটনার সূত্রপাত জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNU) কাবেরী হস্টেলে (Cauvery Hostel)। এবিভিপি প্রভাবিত পড়ুয়াদের একাংশ রামনবমী পালনের আয়োজন করেছিলেন। তবে মেস কমিটির পক্ষ থেকে অন্য দিনের মতোই খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। অভিযোগ, তাতে ক্ষুব্ধ হন এবিভিপির সমর্থকেরা। এসএফআই, আইসা-সহ বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি এবিভিপি-র বিরুদ্ধে আমিষ খাবার পরিবেশনে বাধা দেওয়া এবং মেস সেক্রেটারিকে নিগ্রহের অভিযোগ তুলেছে। পাল্টা বামেদের বিরুদ্ধে রামনবমীর (Ram Navami) প্রার্থনায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP)।
বামেদের দাবি, মেস কমিটির আবাসিকদের খাদ্যাভ্যাস অনুযায়ী খাদ্যতালিকায় মাংস এবং পনির- দুই রকমের পদই রেখেছিল। কিন্তু এবিভিপি দাবি করে, রামননবমীর দিন মাংস পরিবেশন করা যাবে না৷ এরপর শুরু হয় বচসা। ক্রমে তা হাতাহাতিতে গড়ায়।
বামপন্থী পড়ুয়াদের দাবি, এবিভিপির মারে ৫০-৬০ জন ছাত্রছাত্রী আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ছাত্র সংসদের প্রাক্তন নেতা এন সাই বালাজিও রয়েছেন। জেএনইউ ছাত্র সংসদের নেত্রী ঐশী ঘোষের দাবি, অনেকের মাথা ফেটে গিয়েছে, হাতও ভেঙেছে একাধিক জনের।
অন্যদিকে, জেএনইউ-এর এবিভিপি সংগঠনের সভাপতি রোহিত কুমার জানান, আমিষ নিয়ে কোনও গণ্ডগোল হয়নি। রামনবমীর প্রার্থনায় বামেরা বাধা দিয়েছেন। তা নিয়েই শুরু হশ গোলমাল। এই ঘটনায় রবি রাজ নামে এক এবিভিপি সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন বলে দাবি।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNU) কর্তৃপক্ষ একটি নির্দেশ জারি করে। যেখানে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বা মেসে আমিষ খাবারের উপর কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। দিল্লির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ-পশ্চিম) মনোজ সি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্র সঙ্ঘর্ষের ঘটনায় ছ’জন আহত হয়েছেন।