এ যেন কেঁচো খুঁড়তে কেউটে। অঙ্কিতা ভান্ডারী কান্ডের তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেলেন গোয়েন্দারা। শুধু অঙ্কিতা নন, এর আগেও 'স্পেশাল সার্ভিস' দিতে অস্বীকার করায় অঙ্কিতার মতোই আরও এক হতভাগ্য নিখোঁজ হয়ে যান পাউরির এই রিসর্ট থেকে। উল্লেখ্য, ওই নিখোঁজ তরুণী প্রিয়াঙ্কা অঙ্কিতার গ্রামেরই বাসিন্দা।
অঙ্কিতা ভান্ডারীর মৃত্যু নিয়ে ইতিমধ্যেই তোলপাড় গোটা দেশ। এই তরুণীর মৃত্যুতে দেবভূমি উত্তরাখন্ডের রাজনীতিতে ঝড় উঠেছে। তবে এর মাঝেই পুলিশের হাতে এসেছে নয়া তথ্য। এবার অঙ্কিতার এক বন্ধুর দাবি, মৃত্যুর আগে তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপে অঙ্কিতা জানান, গরিব হলেও ১০ হাজার টাকায় তিনি বিক্রি হবেন না। আর এই ঘটনা সামনে আসতেই ফের শুরু হয়েছে চাপানউতোর।
বছর উনিশের রিসেপশনিস্ট অঙ্কিতা কাজ করতেন উত্তরাখন্ডের বিজেপি নেতা বিনোদ আর্যর ছেলে পুলকিতের রিসর্টে। দিন সাতেক আগে পুলকিত জানায়, রিসর্টের সমস্ত টাকা-পয়সা নিয়ে পালিয়েছেন অঙ্কিতা। কিন্তু তদন্তে নেমে অন্য রহস্যের সন্ধান পায় পুলিশ। প্রিয়াঙ্কা নিখোঁজ হতেও একই দাবি করেছিলেন পুলকিত। তবে অঙ্কিতা কান্ডের মাঝেই প্রিয়াঙ্কার নাম এনে হইচই ফেলে দেন স্থানীয় যুবক বিট্টু ভান্ডারী।