ক্রিসমাসের উৎসবে (Christmas 2021) দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত গণ্ডগোলের খবর এসেছে। এরপরই মাদার টেরিজার (Mother Teresa) স্মৃতিধন্য মিশনারিজ অফ চ্যারিটিজের (Missionaries Of Charity) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
কিছু সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট থেকে প্রথম এই খবর সামনে আসে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এরপরই একটি টুইট করে জানান, এই ঘটনায় তিনি স্থম্ভিত। সংস্থার ২২ হাজার রোগী ও কর্মীদের খাদ্য ও চিকিৎসা অনিশ্চিত হয়ে পড়ল। এরপরই এই ঘটনায় বিবৃতি দেন কলকাতার ভাইসার জেনারেল ফাদার ডমিনিক গোমস। তিনি জানান, মিশনারিজ অফ চ্যারিটিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে ক্রিসমাসে একটি নৃশংস উপহার দিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
এরপরই বিবৃতি দেয় কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Home Ministry)। জানানো হয়, ফরেন কন্ট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্ট (FCRA) অনুযায়ী মিশনারিজ অফ চ্যারিটিজের লাইসেন্সের মেয়াদ ৩১ অক্টোবর শেষ হয়ে যায়। স্টেট ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে এই মেয়াদ বাড়ানো হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, মাদার টেরিজার সংস্থা নিজেরাই এই অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার কথা জানিয়েছে। এই FCRA লাইসেন্স শেষ হবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর।
১৯৫০ সালে কলকাতায় স্থাপিত হয় মাদার টেরিজার মিশনারিজ অফ চ্যারিটিজ। কেন্দ্রের বিবৃতির পর মিশনারি অফ চ্যারিটিজের পক্ষ থেকেও বিবৃতি দেওয়া হয়। সেখানে জানানো হয়েছে, তাঁদের FCRA লাইসেন্স বাতিল করা হয়নি। লাইসেন্সের মেয়াদও শেষ হয়নি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক তাঁদের কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেনি। জানানো হয়, FCRA আইনের আওতায় তাঁদের জমা দেওয়া আবেদন মঞ্জুর হয়নি। এরপর কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাঁরা যেন FC অ্যাকাউন্ট ব্যবহার না করে।
আরও পড়ুন: মিশনারিজ অফ চ্যারিটিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ, টুইটে ক্ষোভ মুখ্যমন্ত্রীর
ডিসেম্বরের শুরুর দিকে আল জাজিরার একটি রিপোর্ট সামনে আসে। ভদোদরায় মিশনারিজ অফ চ্যারিটির সদস্যরা কিছু যুবতীকে ক্রস পরা ও বাইবেল পড়া নিয়ে জোর করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে তদন্ত করছে গুজরাট পুলিশ।
সম্প্রতি কিছু ডানপন্থী হিন্দুত্ববাদী গ্রুপ ক্রিসমাস চলাকালীন উত্তর ভারতে বিক্ষিপ্ত গণ্ডগোল চালায়। আগ্রাতে সান্তা ক্লজের মূর্তিও পোড়ানো হয়।