ফেব্রুয়ারি মাসের ১০ তারিখ থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোট (Assembly election)। গোয়ায় (Goa) বিধানসভা ভোটকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস (Congress)-তৃণমূলের (Tmc) পাশাপাশি আসার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। যা এখন মাণ্ডবী নদীর (Mandavi river) জলের সঙ্গেই ভেসে গিয়েছে। তবুও সংসদে (Parliament) আসন্ন বাজেট অধিবেশনে (Budget session) সরকারকে কোণঠাসা করতে তৃণমূলকেই পাশে চান কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি (Sonia Gandhi)। সরাসরি না বললেও, সমমনভাবাপন্ন দলগুলির জোটবার্তার মধ্যেই তৃণমূলকে এই বার্তা দিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী।
রাজনৈতিক মহলের দাবি, কোনও সন্দেহ নেই বাংলায় গত বিধানসভা ভোট পরবর্তী সময়ে এখন জাতীয় রাজনীতিতে মোদী বিরোধী সবচেয়ে বড় মুখ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। যার প্রমাণ মিলিয়ে সংসদের গত দুটি অধিবেশনে। যা ভালই বোঝেন স্বয়ং কংগ্রেস সভানেত্রীও। যদিও, শেষ শীত অধিবেশনে রাজ্যসভার সাংসদদের সাসপেনশন প্রত্যাহার প্রসঙ্গে সব বিরোধী দলই একসঙ্গে আন্দোলন করলেও, বেশ কিছু ক্ষেত্রে কংগ্রেসের সঙ্গে মতাদর্শগত দূরত্ব রেখেছিল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, বৈঠকের এই সিদ্ধান্তে মূলত তৃণমূলকেই সংসদে একসঙ্গে চলার বার্তা দিল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন : গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থীপদ তুলে নিলেন ফালেইরো, সুযোগ দেবেন নতুন প্রজন্মকে
গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সামনে অন্যতম হার্ডল হিসাবে উঠে এসেছে তৃণমূল। গোয়ার নির্বাচনে কংগ্রেসের কাছে একসঙ্গে লড়ার আহ্বানও করেছিল তৃণমূল, যাকে গুরুত্ব দেয়নি কংগ্রেস। উত্তরপ্রদেশ, গোয়া, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাবে কংগ্রেসের অন্যতম প্রতিপক্ষ আম আদমি পার্টি। শুক্রবারের বৈঠকে সংসদে সরকার বিরোধী লড়াইয়ে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই দুই দলকে পাশে পেতেই একসঙ্গে লড়ার বার্তা দিল কংগ্রেস, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী সমাজবাদি পার্টি সংসদের ভিতরের লড়াইয়ে সাধারণত কংগ্রেসের সঙ্গেই থাকে। এবারও তাদের পাশে পেতে কোনও সমস্যা হবে না বলেই মনে করছে কংগ্রেস হাইকমান্ড।
সনিয়ার নেতৃত্বে শুক্রবার হওয়া ভার্চুয়াল বৈঠকে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী, রাজ্যসভার উপবিরোধী দলনেতা আনন্দ শর্মা, মণিক্কম টেগোর, কে সি বেণুগোপাল, কে সুরেশ, এ কে অ্যান্টনি, গৌরব গগৈ, মণীশ তিওয়ারি, জয়রাম রমেশরা উপস্থিত থাকলেও ছিলেন না লোকসভায় দলের অন্যতম মুখপাত্র রভনীত সিং বিট্টু। ঘনিষ্ঠমহলে তিনি নাকি জানিয়েছেন, পাঞ্জাবের নির্বাচনে ব্যস্ত থাকায় উপস্থিত থাকতে পারেননি বৈঠকে।