রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সিপিএমের(CPIM) এখন কার্যত শাঁখের করাতের মতো অবস্থা। মঙ্গলবার বিকেল থেকেই ক্ষোভের পারদ চড়ছিল। এরপর রাত যত বেড়েছে, বাম মহলে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে যশবন্ত সিনহাকে (Yashwant Sinha) সমর্থন নিয়ে ক্ষোভের পারদ চড়েছে। বুধবার পরিস্থিতি এমন জায়গায় যায় যে, সিপিএমের (CPM) সর্বভারতীয় ফেসবুক পেজে যশবন্ত সংক্রান্ত পোস্টে কমেন্ট সেকশনই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
অটল বিহারী বাজপেয়ী(Atal Bihari Bajpayee) জমানার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বর্তমানে তৃণমূল নেতা যশবন্ত সিনহাকে(TMC Candidate Yashwant Sinha) রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী করার পরেই নজর ছিল বামেদের দিকে। তাঁরা কি তৃণমূল মনোনীত বিরোধী জোটের এই প্রার্থীকে আদৌ সমর্থন করবেন?
দেখা যায়, সিপিএমের ফেসবুক পেজে যশবন্তকে সমর্থন করা সংক্রান্ত পোস্টের পরেই বাম কর্মী-সমর্থকদের(Left Supporters) ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ৯০টিরও বেশি কমেন্ট পড়ে। অধিকাংশ কমেন্টে যশবন্তকে সমর্থন করার প্রসঙ্গে দলীয় নেতৃত্বকে তুলোধনা করা হয়। তারপরই ওই পোস্টে কমেন্ট করার অপশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরপর বুধবার সন্ধেয় যশবন্ত সিনহার একটি প্রেস বিবৃতি পোস্ট করা হয়েছে সর্বভারতীয় সিপিএমের ফেসবুক পেজ(CPIM Facebook PAge) থেকে। সেই পোস্ট প্রথম থেকেই কমেন্ট অপশন বন্ধ রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন- Tripura By Election:আজ উপনির্বাচনে প্রার্থী স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী, ত্রিপুরার ৪ বিধানসভায় লড়ছে তৃণমূলও
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রণব মুখোপাধ্যায়(Pranab Mukherjee) বা মীরা কুমারের(Meera Kumar) পক্ষ নিয়ে অতীতে সিপিএম ও তৃণমূল একপথে হেঁটেছে। জাতীয় স্তরে কংগ্রেসের সঙ্গে বামেদের সমন্বয় রেখে চলার ইতিহাসও পুরনো। কিন্তু সরাসরি তৃণমূলের কোনও নেতা তথা প্রার্থীকে বামেদের সমর্থন করতে যাওযার ঘটনা এই প্রথম। দলীয় নির্দেশ(Party Mandate) অনুসারে কেরল, তামিলনাড়ু, ত্রিপুরা, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র বা বিহার থেকে বাম সাংসদ ও বিধায়কদের যশবন্তকেই ভোট দিতে হবে। বাংলা থেকে সরাসরি সেই কাজ করতে হবে রাজ্যসভার একমাত্র সাংসদ বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যকে(Bikash Ranjan Bhattacharya)। যিনি মনে করছেন, ‘‘জাতীয় স্তরে বিরোধী ঐক্যের স্বার্থে একটা অবস্থান নিতেই হত। কিন্তু প্রার্থী বাছাই ঠিক হয়নি, আপাতত এটুকু বলতে পারি।’’