বহু মিথ ও মিথ্যে চালু রয়েছে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে নিয়ে। রয়েছে একাধিক সত্যকাহিনি, যা শুনলে বহু যুগ পেরিয়ে গিয়েও শিহরণ জাগে বাঙালি তথা ভারতীয়দের মনে। সেটি হল, সুভাষচন্দ্রের মহানিষ্ক্রমণের কাহিনি। যা ঘটেছিল ১৯৪১ সালের জানুয়ারি মাসে। কিন্তু কী ঘটেছিল? দেখে নেওয়া যাক আরও একবার।
প্রায় দেড়মাস ধরে পরিকল্পনা করার তাঁর ভাইপো শিশির কুমার বসুর সঙ্গে ১৯৪১ সালের ১৭ জানুয়ারি মধ্যরাতে বেরিয়ে পড়লেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। আদেশ ছিল, তিনি চলে যাওয়ার পরেই যেন তাঁর ঘরের আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়। সেই আদেশের বিন্দুমাত্র অমান্য করেননি তাঁর ভাইঝি ইলা বসু। সকলের সন্দেহ এড়াতে তিনি নিজেই ওই ঘরে একঘণ্টা বা তার বেশি সময় ধরে চুপচাপ শুয়ে থাকেন। এমনকী নেতাজি চলে যাওয়ার পরও তিনি সকলের সন্দেহ এড়াতে দিনদশেক তাঁকে খাবার দেওয়ার ভান করেন।
সারারাত নিজের গাড়ি চালিয়ে সকালে ধানবাদের কাছে বারারি বলে একটি জায়গা পৌঁছলেন নেতাজিরা। তারপর রাতে নেতাজিকে বারারি থেকে গোমর স্টেশন অবধি পৌঁছে দিয়েছিলেন। এটি ছিল আদতে সুভাষ চন্দ্র থেকে নেতাজিতে উত্তরণের প্রথম পদক্ষেপ। তিনি মহম্মদ জিয়াউদ্দিন বেশে ছদ্মবেশে দিল্লি হয়ে পেশোয়ার পৌঁছলেন।
পেশোয়ার তাঁর অপেক্ষায় ছিলেন তাঁর সহকর্মী আকবর শাহ। ওই পেশোয়ার থেকে আকবর শাহের সহায়তায় কাবুল পৌঁছে যান সুভাষচন্দ্র বসু। সেখান থেকে তারপরে ইউরোপ। যদিও, তার কয়েকবছর বাদে দেশে ফিরে আসেন তিনি। ইউরোপ থেকে এশিয়া। সাবমেরিনে করে এসেছিলেন। ১৯৪৩ সালে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করেন। তবে, নিজের পৈতৃক বাড়িতে আর কখনও ফেরা হয়নি তাঁর।