গত তিনদিন ধরে টানা বিক্ষোভের আগুনে জ্বলেছে বিহার। এবার কেন্দ্রের অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরুদ্ধে বনধ ডাকা হল। শনিবার রাজ্যে ছাত্র ও যুব সংগঠনের ডাকা বনধকে সমর্থন করেছে বিরোধী দল আরজেডিও। তাদের সঙ্গে আছে হ্য়াম ও ভিআইপির মতো রাজনৈতিক দলগুলি। পুলিশ সূত্রে খবর, দু একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া বিহার বনধ এখনও পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ। সকাল থেকেই রাজধানী পাটনা-সহ একাধিক জেলায় কড়া পুলিশি টহল চলছে। এরমধ্য়েই অবশ্য, আরা, জেহানাবাদ, ভাগলপুর থেকে বিক্ষিপ্ত হিংসার খবর পাওয়া গিয়েছে।
শুক্রবার প্রায় গোটাদিন অগ্নিপথের বিরোধিতায় পথে নামে বিহার। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে নীতীশ কুমার সরকারকে কার্যত নাকানিচোবানি খেতে হয়। রেল থেকে সড়ক পরিবহন -- আক্রান্ত হয় বিক্ষোভকারীদের হাতে। বিজেপি দলীয় দফতরেও হামলার অভিযোগ উঠেছে। হামলার অভিযোগ উঠেছে রাজ্য়ের উপমুখ্য়মন্ত্রীর বাড়িতেও। এই পরিস্থিতিতে শনিবার সকাল থেকেই কড়া নিরাপত্তা বিহারে।
যদিও এদিন সকালেই অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়ম আরও শিথিল করার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং অসম রাইফেলসে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়া হবে। একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, প্রথম ব্যাচের অগ্নিবীরদের বয়সের ঊর্ধ্বসীমা আরও ৫ বছর বাড়ানো হল। প্রথমে ২১ বছর, পরে আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ২৩, এ বার আরও বাড়ল নিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা। তবে এটা শুধু প্রথম ব্যাচের অগ্নিবীরদের জন্য। তা ছাড়াও, অগ্নিবীররা অবসরের পর কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনী এবং অসম রাইফেলসে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ পাবেন। শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করেছিলেন সিআরপিএফে অগ্নিবীরদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তার পর দিনই সামনে এল এই ঘোষণা। এর ফলে চার দিন ধরে চলা বিক্ষোভের প্রশমন হবে বলে আশা করছে ওয়কিবহাল মহল।
গত বৃহস্পতিবার থেকে টানা বিক্ষোভের ঘটনায় বিহার ও উত্তরপ্রদেশ থেকে এখনও পর্যন্ত ২৬০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে।