চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নানঘরের ছবি লিক হওয়ার ঘটনায় ধরপাকড় চলছে। এই ঘটনায় যুক্ত অভিযোগে সোমবার আরও একজন গ্রেফতার করল পাঞ্জাব পুলিশ। ফলে সবমিলিয়ে গ্রেফতারের সংখ্যা হল তিন। এরআগে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী, ও তার প্রেমিককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। যদিও পাঞ্জাব পুলিশ এবং চণ্ডীগড়় বিশ্ববিদ্য়ালয় দাবি করেছিল, রটনা যতটা, ঘটনা কিন্তু ততটা নয়। কিন্তু পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়ে তৎপরতা জারি রেখেছে পুলিশ।
চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সমস্ত ক্লাস সাসপেন্ড করা হয়েছে। সকল অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পড়ুয়াদের লাগাতার প্রতিবাদের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি, ভিডিও-কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের দুই ওয়ার্ডেনকেও বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত বিক্ষোভের পর আপাতত তা স্থগিত রাখা হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছিল, ছাত্রীদের হস্টেলের এক আবাসিক অন্যান্য আবাসিকদের আপত্তিকর ভিডিয়ো রেকর্ড করেন। ওই ছাত্রী কমপক্ষে ৬০ জন ছাত্রীর স্নানের দৃশ্য মোবাইল বন্দি করেছেন বলেও অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগও ওঠে যে, সেই ভিডিয়োগুলি নেটমাধ্যমে ছড়াতেই আট ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। শনিবার রাত থেকে এই খবর চাউর হতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। প্রতিবাদে যোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় হাজার পড়ুয়া। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, এই সংক্রান্ত কেবলমাত্র একটি ভিডিয়োই ফাঁস হয়েছে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশও একই কথা জানিয়েছে।