বিলকিস বানো (Bilkis Bano)-কাণ্ডে ১১ জন দোষীর মুক্তির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া মামলায় গুজরাত সরকারকে নোটিস ধরাল দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। ১১ ধর্ষকের মুক্তি নিয়ে গুজরাত সরকারকে জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মামলায় ১১ দোষীকে যুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী দু’সপ্তাহ পর আবার এই মামলার শুনানি হবে।
বিলকিস বানোকে ধর্ষণের অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত এগারোজন দোষীকে স্বাধীনতা দিবসের দিনই জেল থেকে মুক্ত করেছে গুজরাত সরকার। মুক্তির জন্য শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছিল এক অপরাধী। স্বাধীনতা দিবসের দিন গোধরা সাব জেলের সামনেই মালা এবং মিষ্টি নিয়ে তাঁদের মুক্তি উদযাপন করা হয়েছে ।
AIFF elections 2022: ফেডারেশনের নির্বাচনে, মনোনয়ন জমা বাইচুংয়ের, প্রতিদ্বন্দ্বী কল্যাণ চৌবে
২৩ অগস্ট, মঙ্গলবার বিলকিসের ধর্ষকদের মুক্তির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন সিপিআইএমের পলিটব্যুরো সদস্য সুভাষিণী আলি, তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্ররা। মামলাটি উত্থাপন করেন আইনজীবী অপর্ণা ভট্ট।
দেশের ৭৬তম স্বাধীনতা দিবসে বিলকিস বানো-কাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত ১১ জনকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাত সরকার। মুক্তির জন্য শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন এক অপরাধী। সেই আবেদনের ভিত্তিতে রাজ্য সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছিল আদালত। এর পরই গোধরা জেল থেকে ১১ জনকে মুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অপরাধীদের ফুল, মালা, মিষ্টিতে শুধু বরণ করে নেওয়াই হয়নি, তাদের ব্রাহ্মণ পরিচয় দেখিয়ে সংস্কারী আখ্যাও দিয়েছেন বিজেপির এক বিধায়ক।
২০০২ সালে গোধরা-কাণ্ডের পর গুজরাতে সাম্প্রদায়িক অশান্তি চলাকালীন ৩ মে দাহোড় জেলার দেবগড় বারিয়া গ্রামে ভয়াবহ হামলা চালানো হয়। গ্রামের বাসিন্দা পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ করা হয়।